ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

বৈধ কাগজ ছাড়াই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভারতে থাকতে পারবেন

1022
২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর বা তার আগে বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে নাগরিকরা ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের ভারতে অবস্থানের অনুমতি মিলছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শাস্তি থেকে অব্যাহতি প্রদানের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যারা ভারতে প্রবেশের পর দেশটিতে অবস্থান করছিলেন অথবা যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা সেখানে অবস্থান করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ কার্যকর হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য স্টেটসম্যান ও ভারতের কয়েকটি বার্তা সংস্থা। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট আইন, ১৯২০ ও বিদেশী অধিকার আইন, ১৯৪৬-এর আওতায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই আইনসমূহের আওতায় গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি গেজেটে দুটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে বাংলাদেশী ও পাকিস্তানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের প্রবেশ ও অবস্থান বিধিসম্মত করার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে বা নির্যাতনের আশঙ্কায় হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান, জৈন, পারসী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাসপোর্ট বা ভ্রমণ সংক্রান্ত অনুমোদন জাতীয় কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশে করেছিলেন তারা। কিংবা যারা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, সেসব ডকুমেন্টের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ ধরনের শরণার্থীর সঠিক বা সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান দেয়া হয়নি। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু ও শিখ শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। গত বছরের মে মাসে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ শরণার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা ইস্যুসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেক্ষপ গ্রহণ করে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

বৈধ কাগজ ছাড়াই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভারতে থাকতে পারবেন

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

1022
২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর বা তার আগে বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে নাগরিকরা ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের ভারতে অবস্থানের অনুমতি মিলছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শাস্তি থেকে অব্যাহতি প্রদানের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যারা ভারতে প্রবেশের পর দেশটিতে অবস্থান করছিলেন অথবা যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা সেখানে অবস্থান করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ কার্যকর হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য স্টেটসম্যান ও ভারতের কয়েকটি বার্তা সংস্থা। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট আইন, ১৯২০ ও বিদেশী অধিকার আইন, ১৯৪৬-এর আওতায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই আইনসমূহের আওতায় গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি গেজেটে দুটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে বাংলাদেশী ও পাকিস্তানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের প্রবেশ ও অবস্থান বিধিসম্মত করার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে বা নির্যাতনের আশঙ্কায় হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান, জৈন, পারসী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাসপোর্ট বা ভ্রমণ সংক্রান্ত অনুমোদন জাতীয় কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশে করেছিলেন তারা। কিংবা যারা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, সেসব ডকুমেন্টের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ ধরনের শরণার্থীর সঠিক বা সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান দেয়া হয়নি। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু ও শিখ শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। গত বছরের মে মাসে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ শরণার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা ইস্যুসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেক্ষপ গ্রহণ করে।