ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা “সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত”

‘বোমা আর ডিম মেরে উন্নয়ন বন্ধ হবে না’

2055
দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটি ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার হোটেল সোনারগাঁও এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের পানি শোধনাগার উদ্বোধন শেষে নিজ বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের হোসেনী দালানে যে ছেলেটা মারা গেছে সে কিন্তু শিয়া না, সুন্নি। যে কয়জন আহত হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই কিন্তু সুন্নি মুসলমান। আমাদের যেকোন অনুষ্ঠান সবাই মিলিতভাবেই করে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ ধরনের হামলার মূল উদ্দেশ্য বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। কখন? যখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমি এটাই বলতে চাই, দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটা ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, ঢাকার জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার পানির সমস্যা সমাধানে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পদ্মা পানি শোধনাগার প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, যশলদিয়ায় এখন যেটা নির্মিত হচ্ছে, সেটা প্রথম পর্যায়। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মিত হলে আরও ৪৫ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাবে। বিএনপির সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির জন্য হাহাকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের প্রথম পর্যায় চালু করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে চালু করা হয় পর্যায়-২ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ঢাকায় পানির চাহিদা ছিল ২১২ কোটি লিটার। তার বিপরীতে আমরা পেতাম ৮৮ কোটি লিটার। এখন ২০১৫ সালে আমরা ২২০ থেকে ২২৫ কোটি লিটার পানি পাচ্ছি। বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের চেয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বৃষ্টির পানি ব্যবহারের নানা উপকারী দিকও আলোকপাত করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট

‘বোমা আর ডিম মেরে উন্নয়ন বন্ধ হবে না’

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

2055
দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটি ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার হোটেল সোনারগাঁও এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের পানি শোধনাগার উদ্বোধন শেষে নিজ বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের হোসেনী দালানে যে ছেলেটা মারা গেছে সে কিন্তু শিয়া না, সুন্নি। যে কয়জন আহত হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই কিন্তু সুন্নি মুসলমান। আমাদের যেকোন অনুষ্ঠান সবাই মিলিতভাবেই করে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ ধরনের হামলার মূল উদ্দেশ্য বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। কখন? যখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমি এটাই বলতে চাই, দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটা ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, ঢাকার জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার পানির সমস্যা সমাধানে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পদ্মা পানি শোধনাগার প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, যশলদিয়ায় এখন যেটা নির্মিত হচ্ছে, সেটা প্রথম পর্যায়। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মিত হলে আরও ৪৫ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাবে। বিএনপির সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির জন্য হাহাকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের প্রথম পর্যায় চালু করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে চালু করা হয় পর্যায়-২ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ঢাকায় পানির চাহিদা ছিল ২১২ কোটি লিটার। তার বিপরীতে আমরা পেতাম ৮৮ কোটি লিটার। এখন ২০১৫ সালে আমরা ২২০ থেকে ২২৫ কোটি লিটার পানি পাচ্ছি। বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের চেয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বৃষ্টির পানি ব্যবহারের নানা উপকারী দিকও আলোকপাত করেন।