ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশ বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী ওয়েলস কুলাউড়া সোসাইটি ইউকের উদ্দোগে কার্ডিফে মরহুম ফিরুজ আলীর মৃত্যুতে শোক সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত নো-ভিসা ফি বৃদ্ধি ও ম্যানচেস্টার থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বন্ধের পায়তারার দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা নতুন দল গঠন নিয়ে বিএনপি হিংসা করে না: মির্জা আব্বাস আমার সারাক্ষণই ভূমিকম্প অনুভব হয়: পরীমণি ‘অর্থনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার’ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৪১ বিডিআর জওয়ান ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে: ইসি মাছউদ ‘বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে চায়’

ব্যাংকক হামলার মূল হোতার বাংলাদেশে অবতরণ নিয়ে ধোঁয়াশা

1078

এ মাসের শেষদিকে চাকরি থেকে অবসরে যাবেন থাইল্যান্ডের পুলিশ জেনারেল সোমিয়োত পুমপানমুয়াং। গত মাসে ব্যাংককের প্রাণকেন্দ্রে ভয়াবহ বোমা হামলার পথ করে দেয়ার জন্য দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের দায়ী করেন তিনি। এদিকে সোমিয়োত গতকাল বলেন, বোমা হামলার মূল হোতা আবু দাস্তার আবদুল রহমান ওরফে ইযান কিনা, থাইল্যান্ডের পুলিশ এখনও সে ব্যাপারে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। তিনি বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে কর্মকর্তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে তাকে খুঁজে বের করতে কাজ করছেন। পুলিশের মুখপাত্র ও থাইল্যান্ডের জাতীয় পুলিশ বিভাগের সহকারী কমিশনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রায়ুত থাভোরনিসিরি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ইযান থাইল্যান্ড ছেড়েছেন। কিন্তু, তিনি বাংলাদেশে অবতরণ করেছেন কিনা, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে নিশ্চিত কোন তথ্য নেই। এ খবর দিয়েছে থাইল্যান্ডভিত্তিক অনলাইন সংবাদপত্র দ্য নেশন।
এদিকে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ গতকাল বলেছে, বোমা হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজনের বিষয়ে বাংলাদেশ ইন্টারপোলের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের যে কোন অনুরোধ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেছেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে থাইল্যান্ড কোন সহায়তা চাচ্ছে কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ইন্টারপোলে মাধ্যমে যখনই কোন সহায়তা চাওয়া হয়, আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করি ও আইনী ব্যবস্থা নেই। এর আগে থাইল্যান্ড পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছিল, ইযান ব্যাংক বোমা হামলার মূল হোতা বা পরিকল্পনাকারী। গত ১৬ই আগস্ট থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট বিজি০০৮৯-এ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বাংলাদেশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবো এবং অবশ্যই তা খতিয়ে দেখবো।
এদিকে একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ও-চাকে লেখা এক চিঠিতে পুলিশ জেনারেল সোমিয়োত ইমিগ্রেশনে কর্মরত কয়েক পুলিশ কর্মকর্তার অযথাযথ বা অসঙ্গত আচরণের বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন এবং তাদের এ আচরণের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সোমিয়োত বলেন, ঘুষ কেলেঙ্কারি বহু সমস্যা তৈরি করেছে এবং এমনকি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকেও আক্রান্ত করেছে। সোমিয়োত ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ঘুষ কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে তিনি বহু ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তাকে জাতীয় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে বদলির প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই সূত্র অনুযায়ী, প্রায়ুত জানতে পেরেছেন, কয়েকজন ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা থাইল্যান্ডে বিদেশীদের থাকার অনুমতি প্রদান করেছিলেন। থাইল্যান্ডে থাকার জন্য তাদের আইনসঙ্গতভাবে অকাট্য কোন কারণ ছিল না। শুধু তাই নয়। কয়েক ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা কম্পিউটারে কোন তথ্য রেকর্ড না করেই বিদেশীদের সীমান্ত অতিক্রমের অনুমতি দিয়েছিলেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাকদা চুয়েনফাকদীর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ১লা সেপ্টেম্বর ২৬ বছর বয়সী মিয়েরাইলি ইউসুফুকে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী সা কায়েও প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই দুটি বোমা হামলার ঘটনায় তার ভূমিকা ছিল, এমন অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তদন্ত করছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক নারেস নাথাচোতি এবং আশা করা হচ্ছে আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন।
এদিকে বোমা হামলায় জড়িত সব অপরাধীকে ধরতে সক্রিয় কর্মকর্তারা। প্রায়ুত বলেন, হামলাগুলোতে ইযান জড়িত ছিল। কিন্তু, ওই দলে তার ভূমিকা কি ছিল, সে ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোন সুস্পষ্ট তথ্য ছিল না। গত ১৭ই আগস্ট ইরাওয়ান মন্দিরে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ১৭ জন ২০ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন। পরদিন সাদোর্ন পিয়ের এলাকার কাচে অপর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে সে ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশ বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

ব্যাংকক হামলার মূল হোতার বাংলাদেশে অবতরণ নিয়ে ধোঁয়াশা

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

1078

এ মাসের শেষদিকে চাকরি থেকে অবসরে যাবেন থাইল্যান্ডের পুলিশ জেনারেল সোমিয়োত পুমপানমুয়াং। গত মাসে ব্যাংককের প্রাণকেন্দ্রে ভয়াবহ বোমা হামলার পথ করে দেয়ার জন্য দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের দায়ী করেন তিনি। এদিকে সোমিয়োত গতকাল বলেন, বোমা হামলার মূল হোতা আবু দাস্তার আবদুল রহমান ওরফে ইযান কিনা, থাইল্যান্ডের পুলিশ এখনও সে ব্যাপারে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। তিনি বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে কর্মকর্তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে তাকে খুঁজে বের করতে কাজ করছেন। পুলিশের মুখপাত্র ও থাইল্যান্ডের জাতীয় পুলিশ বিভাগের সহকারী কমিশনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রায়ুত থাভোরনিসিরি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ইযান থাইল্যান্ড ছেড়েছেন। কিন্তু, তিনি বাংলাদেশে অবতরণ করেছেন কিনা, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে নিশ্চিত কোন তথ্য নেই। এ খবর দিয়েছে থাইল্যান্ডভিত্তিক অনলাইন সংবাদপত্র দ্য নেশন।
এদিকে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ গতকাল বলেছে, বোমা হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজনের বিষয়ে বাংলাদেশ ইন্টারপোলের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের যে কোন অনুরোধ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেছেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে থাইল্যান্ড কোন সহায়তা চাচ্ছে কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ইন্টারপোলে মাধ্যমে যখনই কোন সহায়তা চাওয়া হয়, আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করি ও আইনী ব্যবস্থা নেই। এর আগে থাইল্যান্ড পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছিল, ইযান ব্যাংক বোমা হামলার মূল হোতা বা পরিকল্পনাকারী। গত ১৬ই আগস্ট থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট বিজি০০৮৯-এ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বাংলাদেশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবো এবং অবশ্যই তা খতিয়ে দেখবো।
এদিকে একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ও-চাকে লেখা এক চিঠিতে পুলিশ জেনারেল সোমিয়োত ইমিগ্রেশনে কর্মরত কয়েক পুলিশ কর্মকর্তার অযথাযথ বা অসঙ্গত আচরণের বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন এবং তাদের এ আচরণের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সোমিয়োত বলেন, ঘুষ কেলেঙ্কারি বহু সমস্যা তৈরি করেছে এবং এমনকি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকেও আক্রান্ত করেছে। সোমিয়োত ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ঘুষ কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে তিনি বহু ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তাকে জাতীয় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে বদলির প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই সূত্র অনুযায়ী, প্রায়ুত জানতে পেরেছেন, কয়েকজন ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা থাইল্যান্ডে বিদেশীদের থাকার অনুমতি প্রদান করেছিলেন। থাইল্যান্ডে থাকার জন্য তাদের আইনসঙ্গতভাবে অকাট্য কোন কারণ ছিল না। শুধু তাই নয়। কয়েক ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা কম্পিউটারে কোন তথ্য রেকর্ড না করেই বিদেশীদের সীমান্ত অতিক্রমের অনুমতি দিয়েছিলেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাকদা চুয়েনফাকদীর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ১লা সেপ্টেম্বর ২৬ বছর বয়সী মিয়েরাইলি ইউসুফুকে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী সা কায়েও প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই দুটি বোমা হামলার ঘটনায় তার ভূমিকা ছিল, এমন অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তদন্ত করছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক নারেস নাথাচোতি এবং আশা করা হচ্ছে আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন।
এদিকে বোমা হামলায় জড়িত সব অপরাধীকে ধরতে সক্রিয় কর্মকর্তারা। প্রায়ুত বলেন, হামলাগুলোতে ইযান জড়িত ছিল। কিন্তু, ওই দলে তার ভূমিকা কি ছিল, সে ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোন সুস্পষ্ট তথ্য ছিল না। গত ১৭ই আগস্ট ইরাওয়ান মন্দিরে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ১৭ জন ২০ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন। পরদিন সাদোর্ন পিয়ের এলাকার কাচে অপর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে সে ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।