ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

ভারতীয় টিভি চ্যানেল- নানামুখী প্রভাব বাংলাদেশে

বিনোদন প্রতিনিধি,
1272
ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর অবাধ সম্প্রচার নানাভাবে প্রভাব ফেলছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়। বিশেষ করে এসব চ্যানেলের সিরিয়ালগুলো রাখছে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব। কারণ, উচ্চবিত্তের পরকীয়া, বহুবিবাহ, বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ, পারিবারিক বিরোধ প্রভৃতি এসব সিরিয়ালের মূল বিষয়বস্তু। যা কঠিন ব্যাধির মতোই মানসিকতায় আঘাত হানছে দেশীয় অনেক দর্শক তথা নারী দর্শকদের। এমনকি প্রচার চলতি একটি সিরিয়ালের একটি চরিত্রের নামে পোশাক এদেশের মার্কেটে আসার পর সেটি না পাওয়ায় ঘটেছে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এসব সিরিয়ালের প্রভাবে আমাদের দেশে ভয়াবহভাবে বাড়ছে পরকীয়া, বহুবিবাহ, মনোমালিন্য, সন্দেহ, ডিভোর্সসহ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ঘটনা। আর অনেকেই আসক্ত হয়ে পড়ছে হিন্দি ভাষায়। মোদ্দাকথায়, পুরো সমাজব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলছে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর এসব সিরিয়াল। এ কারণে দেশের সমাজব্যবস্থা পড়েছে হুমকির মুখে। সমাজের অন্যান্যের মতো বিষয়টি নিয়ে কি ভাবছেন আমাদের শোবিজ তারকারাও, তা নিয়েই তাদের নিজ বয়ানে ধারাবাহিক এ প্রতিবেদন। গ্রন্থনায় বিনোদন ডেস্ক

এ চ্যানেলগুলো আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে- দেলোয়ার জাহান ঝণ্টু

ভারতীয় চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে যেভাবে প্রভাব বিস্তার করছে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ চ্যানেলগুলো আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে। আমাদের সংস্কৃতি, তাদের সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, বাঙালির সংস্কৃতি। কিন্তু ভারতীয় চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি আমাদের সমাজে অপসংস্কৃতি হিসেবে প্রবেশ করে সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিশেষ করে যে সকল টিভি চ্যানেলে নাটক এবং সিরিয়াল প্রচার হয়। এগুলো মহিলারাই বেশি দেখে বলে এর বিরূপ প্রভাবটা পরিবারে বেশি করে পড়ছে। ছেলেমেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির কাজের মেয়েরাও এখন তাদের ভাষায় কথা বলে। এভাবে চলতে থাকলে রক্ত দিয়ে ভাষা আন্দোলনের সকল সফলতা ম্লান হয়ে যাবে। তাই তো আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, সরকারের যতই আর্থিক ক্ষতি হোক না কেন, এসব চ্যানেল বন্ধ করে দেয়ার জন্য। আমাদের দেশের নিজস্ব কৃষি ও সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। তা না হলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি বলে কিছুই থাকবে না।

সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে- খুরশীদ আলম
আমাদের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ভিনদেশী একটি প্রভাব থাকে। বিশেষ করে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল আমাদের সমাজের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হলেও এ বিষয়ে আমরা সচেতন হচ্ছি না। শুধু তাই নয়। আমাদের গানে, নাটকে, সিনেমায়ও ভারতের প্রভাব লক্ষণীয়। দিন দিন এটা আরও বাড়ছে। আমাদের স্টেজে পর্যন্ত ভারতীয় শিল্পীদের এনে শো করানো হচ্ছে অনেক অর্থ খরচ করে। সরকারি একটা উদ্যোগ দরকার রয়েছে এক্ষেত্রে। পাশাপাশি শুধু সরকারের কাঁধে দ্বায় তুলে দিলেও চলবে না। সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা কোন বিষয়টা নেবো, কোন বিষয়টা নেবো না সেটা আমাদেরই বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সচেতনতা দরকার অভিভাবকদের। ভাল বিষয়গুলো গ্রহণ ও খারাপ বিষয়গুলো বর্জনের অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই গড়ে তুলার চেষ্টা করতে হবে। আসলে বিশ্বায়নের যুগে হয়তো চ্যানেল বন্ধ করে সব সমস্যার সমাধান হবে না। বরং নিজেদের মধ্যে সচেতনতাটাই বেশি জরুরি বলে আমি মনে করি।

নেতিবাচক প্রভাবই পড়ছে- মামুনুর রশীদ

ভারতীয় টিভি চ্যানেলের নানা প্রভাব নিয়ে আমি অনেক বলেছি। লেখালেখিও করেছি প্রচুর। তবে এখানে একটা কথা বলতে হয় যে, ভারতীয় চ্যানেল আমাদের মিডিয়া ও সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাবই ফেলছে। টিভি নাটকের দর্শক এখন ভারতীয় চ্যানেলের ওপরই বেশি নির্ভশীল। এক দুই কথায় শেষ করা যাবে না। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। আর সামাজিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মানুষ। সংসারগুলো ভেঙে যাচ্ছে, পরকীয়া বাড়ছেই। পাশাপাশি মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। সব মিলিয়ে বলবো ভারতীয় চ্যানেলগুলো আমাদের ক্ষতি ছাড়া ভাল কিছু করছে না।

সরকারের উচিত হবে বিদেশী চ্যানেলগুলোকে সংকুচিত করা- মৌসুমী
একটি দেশের সমাজব্যবস্থা নির্ভর করে তার দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ধারণ করে যারা তাদের ওপর। শুধু সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। আমাদের দেশের অনেক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। তারা কি তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হচ্ছেন? আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যদি ভাল ভাল অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারতো তাহলে আমাদের যে সকল দর্শক ভারতীয় টেলিভিশন এবং টেলিভিশনের সিরিয়ালের প্রতি নির্ভরশীল তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে পারতো। এতে করে সমাজে বিরূপ প্রভাবও পড়তো না। এখন যেটা হচ্ছে সেটা একদিকে যেমন ক্ষতিকারক অন্যদিকে আমাদের জন্য একটা শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আমরা ভুল পথে হাঁটছি। ভুল জিনিস থেকে শিক্ষা নিচ্ছি। ভারতীয় চ্যানেলের সিরিয়ালগুলোর নির্লজ্জ অনুকরণে ব্যস্ত অনেকেই। শুধু হিন্দিতে কথাবার্তাই নয়, বিয়ে-শাদিতেও এখন ভারতীয় সিরিয়ালের বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এখন আমাদের দেশের বিয়ের অনুষ্ঠানের সবকিছুই হচ্ছে ভারতীয় স্টাইলে। এসব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের নিজস্ব শিল্প সংস্কৃতির গুরুত্বটা সবাইকে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে হবে। আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পাশাপাশি নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। সরকারের উচিত হবে বিদেশী চ্যানেলগুলোকে সংকুচিত করা। অন্যান্য দেশে কিন্তু সব দেশের চ্যানেল দেখানো হয় না। আমাদের দেশেও যদি নির্দিষ্ট কিছু ভাল বিদেশী চ্যানেল থেকে বাকিগুলো বন্ধ করে দেয়া সম্ভব হয়, তাহলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা নানা রকমের হুমকির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

ভারতীয় টিভি চ্যানেল- নানামুখী প্রভাব বাংলাদেশে

আপডেট সময় : ০৯:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বিনোদন প্রতিনিধি,
1272
ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর অবাধ সম্প্রচার নানাভাবে প্রভাব ফেলছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়। বিশেষ করে এসব চ্যানেলের সিরিয়ালগুলো রাখছে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব। কারণ, উচ্চবিত্তের পরকীয়া, বহুবিবাহ, বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ, পারিবারিক বিরোধ প্রভৃতি এসব সিরিয়ালের মূল বিষয়বস্তু। যা কঠিন ব্যাধির মতোই মানসিকতায় আঘাত হানছে দেশীয় অনেক দর্শক তথা নারী দর্শকদের। এমনকি প্রচার চলতি একটি সিরিয়ালের একটি চরিত্রের নামে পোশাক এদেশের মার্কেটে আসার পর সেটি না পাওয়ায় ঘটেছে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এসব সিরিয়ালের প্রভাবে আমাদের দেশে ভয়াবহভাবে বাড়ছে পরকীয়া, বহুবিবাহ, মনোমালিন্য, সন্দেহ, ডিভোর্সসহ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ঘটনা। আর অনেকেই আসক্ত হয়ে পড়ছে হিন্দি ভাষায়। মোদ্দাকথায়, পুরো সমাজব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলছে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর এসব সিরিয়াল। এ কারণে দেশের সমাজব্যবস্থা পড়েছে হুমকির মুখে। সমাজের অন্যান্যের মতো বিষয়টি নিয়ে কি ভাবছেন আমাদের শোবিজ তারকারাও, তা নিয়েই তাদের নিজ বয়ানে ধারাবাহিক এ প্রতিবেদন। গ্রন্থনায় বিনোদন ডেস্ক

এ চ্যানেলগুলো আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে- দেলোয়ার জাহান ঝণ্টু

ভারতীয় চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে যেভাবে প্রভাব বিস্তার করছে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ চ্যানেলগুলো আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে। আমাদের সংস্কৃতি, তাদের সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, বাঙালির সংস্কৃতি। কিন্তু ভারতীয় চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি আমাদের সমাজে অপসংস্কৃতি হিসেবে প্রবেশ করে সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিশেষ করে যে সকল টিভি চ্যানেলে নাটক এবং সিরিয়াল প্রচার হয়। এগুলো মহিলারাই বেশি দেখে বলে এর বিরূপ প্রভাবটা পরিবারে বেশি করে পড়ছে। ছেলেমেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির কাজের মেয়েরাও এখন তাদের ভাষায় কথা বলে। এভাবে চলতে থাকলে রক্ত দিয়ে ভাষা আন্দোলনের সকল সফলতা ম্লান হয়ে যাবে। তাই তো আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, সরকারের যতই আর্থিক ক্ষতি হোক না কেন, এসব চ্যানেল বন্ধ করে দেয়ার জন্য। আমাদের দেশের নিজস্ব কৃষি ও সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। তা না হলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি বলে কিছুই থাকবে না।

সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে- খুরশীদ আলম
আমাদের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ভিনদেশী একটি প্রভাব থাকে। বিশেষ করে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল আমাদের সমাজের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হলেও এ বিষয়ে আমরা সচেতন হচ্ছি না। শুধু তাই নয়। আমাদের গানে, নাটকে, সিনেমায়ও ভারতের প্রভাব লক্ষণীয়। দিন দিন এটা আরও বাড়ছে। আমাদের স্টেজে পর্যন্ত ভারতীয় শিল্পীদের এনে শো করানো হচ্ছে অনেক অর্থ খরচ করে। সরকারি একটা উদ্যোগ দরকার রয়েছে এক্ষেত্রে। পাশাপাশি শুধু সরকারের কাঁধে দ্বায় তুলে দিলেও চলবে না। সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা কোন বিষয়টা নেবো, কোন বিষয়টা নেবো না সেটা আমাদেরই বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সচেতনতা দরকার অভিভাবকদের। ভাল বিষয়গুলো গ্রহণ ও খারাপ বিষয়গুলো বর্জনের অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই গড়ে তুলার চেষ্টা করতে হবে। আসলে বিশ্বায়নের যুগে হয়তো চ্যানেল বন্ধ করে সব সমস্যার সমাধান হবে না। বরং নিজেদের মধ্যে সচেতনতাটাই বেশি জরুরি বলে আমি মনে করি।

নেতিবাচক প্রভাবই পড়ছে- মামুনুর রশীদ

ভারতীয় টিভি চ্যানেলের নানা প্রভাব নিয়ে আমি অনেক বলেছি। লেখালেখিও করেছি প্রচুর। তবে এখানে একটা কথা বলতে হয় যে, ভারতীয় চ্যানেল আমাদের মিডিয়া ও সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাবই ফেলছে। টিভি নাটকের দর্শক এখন ভারতীয় চ্যানেলের ওপরই বেশি নির্ভশীল। এক দুই কথায় শেষ করা যাবে না। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। আর সামাজিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মানুষ। সংসারগুলো ভেঙে যাচ্ছে, পরকীয়া বাড়ছেই। পাশাপাশি মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। সব মিলিয়ে বলবো ভারতীয় চ্যানেলগুলো আমাদের ক্ষতি ছাড়া ভাল কিছু করছে না।

সরকারের উচিত হবে বিদেশী চ্যানেলগুলোকে সংকুচিত করা- মৌসুমী
একটি দেশের সমাজব্যবস্থা নির্ভর করে তার দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ধারণ করে যারা তাদের ওপর। শুধু সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। আমাদের দেশের অনেক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। তারা কি তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হচ্ছেন? আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যদি ভাল ভাল অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারতো তাহলে আমাদের যে সকল দর্শক ভারতীয় টেলিভিশন এবং টেলিভিশনের সিরিয়ালের প্রতি নির্ভরশীল তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে পারতো। এতে করে সমাজে বিরূপ প্রভাবও পড়তো না। এখন যেটা হচ্ছে সেটা একদিকে যেমন ক্ষতিকারক অন্যদিকে আমাদের জন্য একটা শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আমরা ভুল পথে হাঁটছি। ভুল জিনিস থেকে শিক্ষা নিচ্ছি। ভারতীয় চ্যানেলের সিরিয়ালগুলোর নির্লজ্জ অনুকরণে ব্যস্ত অনেকেই। শুধু হিন্দিতে কথাবার্তাই নয়, বিয়ে-শাদিতেও এখন ভারতীয় সিরিয়ালের বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এখন আমাদের দেশের বিয়ের অনুষ্ঠানের সবকিছুই হচ্ছে ভারতীয় স্টাইলে। এসব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের নিজস্ব শিল্প সংস্কৃতির গুরুত্বটা সবাইকে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে হবে। আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পাশাপাশি নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। সরকারের উচিত হবে বিদেশী চ্যানেলগুলোকে সংকুচিত করা। অন্যান্য দেশে কিন্তু সব দেশের চ্যানেল দেখানো হয় না। আমাদের দেশেও যদি নির্দিষ্ট কিছু ভাল বিদেশী চ্যানেল থেকে বাকিগুলো বন্ধ করে দেয়া সম্ভব হয়, তাহলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা নানা রকমের হুমকির হাত থেকে রক্ষা পাবে।