ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

ভয়াবহ খরার কবলে শ্রীলঙ্কা, পানি সংকটে ১০ লাখ মানুষ

বিদেশ ডেস্ক

চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র পানি সংকটে দিন কাটাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা খবরটি জানিয়েছে।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) আলজাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর কম বৃষ্টিপাতের কারণে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকার নদীগুলোতে পানি কমে গেছে। অনাবৃষ্টির কারণে গত বছরে দেশের কিছু অংশে নদীর পানির স্তর অনেক নিচুতে নেমে যায়। ফলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে পরিশোধিত করার মতো পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়নি। সে কারণে বিশেষত কুলুতারা শহরের সরবরাহ ব্যবস্থা দুষণমুক্ত করা যায়নি।

বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি থাকায় কালুগঙ্গা গ্রামে ২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আরও দুই থেকে তিন মাস বৃষ্টিপাত হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তখন আরও বেশি পানির সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। দেশটির পানি সংরক্ষাণাগারগুলোতে পানির স্বল্পতা রয়েছে। কিছু সংরক্ষণাগারে মাত্র ধারণক্ষমতার ৫ ভাগের ১ ভাগ পানি আছে।

শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া বিভাগের মহাপরিচালক ললিত চন্দ্রপালা আলজাজিরাকে বলেন, ‘এ খরা কৃষি এবং জলবিদ্যুৎ প্রজন্ম দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলছে। ১৯৭০ এর দশকের পর যতগুলো খরা হয়েছে তারমধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ।’

পানি স্বল্পতার কারণে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। ৮ লাখ হেক্টর চাষাবাদ উপযোগী জায়গার মাত্র তিন ভাগের এক ভাগের মধ্যে তারা শস্য বপন করতে পেরেছেন যা ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

রাবান্দা নামের স্থানীয় এক কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের সব শস্য নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের টিকে থাকার কোনও উপায় নেই এবং এখন আমাদের পান করার জন্যও পানি নেই।’

খরার কারণে সৃষ্ট খাদ্য স্বল্পতা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এরইমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

ভয়াবহ খরার কবলে শ্রীলঙ্কা, পানি সংকটে ১০ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৭

বিদেশ ডেস্ক

চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র পানি সংকটে দিন কাটাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা খবরটি জানিয়েছে।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) আলজাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর কম বৃষ্টিপাতের কারণে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকার নদীগুলোতে পানি কমে গেছে। অনাবৃষ্টির কারণে গত বছরে দেশের কিছু অংশে নদীর পানির স্তর অনেক নিচুতে নেমে যায়। ফলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে পরিশোধিত করার মতো পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়নি। সে কারণে বিশেষত কুলুতারা শহরের সরবরাহ ব্যবস্থা দুষণমুক্ত করা যায়নি।

বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি থাকায় কালুগঙ্গা গ্রামে ২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আরও দুই থেকে তিন মাস বৃষ্টিপাত হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তখন আরও বেশি পানির সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। দেশটির পানি সংরক্ষাণাগারগুলোতে পানির স্বল্পতা রয়েছে। কিছু সংরক্ষণাগারে মাত্র ধারণক্ষমতার ৫ ভাগের ১ ভাগ পানি আছে।

শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া বিভাগের মহাপরিচালক ললিত চন্দ্রপালা আলজাজিরাকে বলেন, ‘এ খরা কৃষি এবং জলবিদ্যুৎ প্রজন্ম দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলছে। ১৯৭০ এর দশকের পর যতগুলো খরা হয়েছে তারমধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ।’

পানি স্বল্পতার কারণে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। ৮ লাখ হেক্টর চাষাবাদ উপযোগী জায়গার মাত্র তিন ভাগের এক ভাগের মধ্যে তারা শস্য বপন করতে পেরেছেন যা ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

রাবান্দা নামের স্থানীয় এক কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের সব শস্য নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের টিকে থাকার কোনও উপায় নেই এবং এখন আমাদের পান করার জন্যও পানি নেই।’

খরার কারণে সৃষ্ট খাদ্য স্বল্পতা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এরইমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার।