ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র প্রথম মত বিনিময় সভা ও নৈশভোজ। যাত্রী আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে হরষপুর পর্যন্ত আন্দোলন করলেও মৌলভীবাজার লাভবান হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মো. ফয়সল মাধবপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-চুরির মামলা চাঞ্চল্যকর জিয়া হত্যা: দীর্ঘ এক বছর পর আপন ভাই বাবুল গ্রেফতার, পরিবারের দিকেই সন্দেহের তীর গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র দ্বীবার্ষিক সম্মেলন ও নতুন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রেলের টিকেট ঘরে বসে বুকিং আর নয়, স্টেশনে গেলেই “দৈত্যের” হাতে মিলবে রেলের টিকিট! আমিরাতে লটারি জিতে একসঙ্গে ভাগ্য খুলে গেল দুই বাংলাদেশির মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম ১২ কর্মকর্তাকে ঢাকায় না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ সড়ক উপদেষ্টার

ভয়াবহ খরার কবলে শ্রীলঙ্কা, পানি সংকটে ১০ লাখ মানুষ

বিদেশ ডেস্ক

চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র পানি সংকটে দিন কাটাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা খবরটি জানিয়েছে।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) আলজাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর কম বৃষ্টিপাতের কারণে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকার নদীগুলোতে পানি কমে গেছে। অনাবৃষ্টির কারণে গত বছরে দেশের কিছু অংশে নদীর পানির স্তর অনেক নিচুতে নেমে যায়। ফলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে পরিশোধিত করার মতো পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়নি। সে কারণে বিশেষত কুলুতারা শহরের সরবরাহ ব্যবস্থা দুষণমুক্ত করা যায়নি।

বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি থাকায় কালুগঙ্গা গ্রামে ২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আরও দুই থেকে তিন মাস বৃষ্টিপাত হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তখন আরও বেশি পানির সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। দেশটির পানি সংরক্ষাণাগারগুলোতে পানির স্বল্পতা রয়েছে। কিছু সংরক্ষণাগারে মাত্র ধারণক্ষমতার ৫ ভাগের ১ ভাগ পানি আছে।

শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া বিভাগের মহাপরিচালক ললিত চন্দ্রপালা আলজাজিরাকে বলেন, ‘এ খরা কৃষি এবং জলবিদ্যুৎ প্রজন্ম দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলছে। ১৯৭০ এর দশকের পর যতগুলো খরা হয়েছে তারমধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ।’

পানি স্বল্পতার কারণে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। ৮ লাখ হেক্টর চাষাবাদ উপযোগী জায়গার মাত্র তিন ভাগের এক ভাগের মধ্যে তারা শস্য বপন করতে পেরেছেন যা ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

রাবান্দা নামের স্থানীয় এক কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের সব শস্য নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের টিকে থাকার কোনও উপায় নেই এবং এখন আমাদের পান করার জন্যও পানি নেই।’

খরার কারণে সৃষ্ট খাদ্য স্বল্পতা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এরইমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র প্রথম মত বিনিময় সভা ও নৈশভোজ।

ভয়াবহ খরার কবলে শ্রীলঙ্কা, পানি সংকটে ১০ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৭

বিদেশ ডেস্ক

চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র পানি সংকটে দিন কাটাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা খবরটি জানিয়েছে।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) আলজাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর কম বৃষ্টিপাতের কারণে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকার নদীগুলোতে পানি কমে গেছে। অনাবৃষ্টির কারণে গত বছরে দেশের কিছু অংশে নদীর পানির স্তর অনেক নিচুতে নেমে যায়। ফলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে পরিশোধিত করার মতো পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়নি। সে কারণে বিশেষত কুলুতারা শহরের সরবরাহ ব্যবস্থা দুষণমুক্ত করা যায়নি।

বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি থাকায় কালুগঙ্গা গ্রামে ২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আরও দুই থেকে তিন মাস বৃষ্টিপাত হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তখন আরও বেশি পানির সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। দেশটির পানি সংরক্ষাণাগারগুলোতে পানির স্বল্পতা রয়েছে। কিছু সংরক্ষণাগারে মাত্র ধারণক্ষমতার ৫ ভাগের ১ ভাগ পানি আছে।

শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া বিভাগের মহাপরিচালক ললিত চন্দ্রপালা আলজাজিরাকে বলেন, ‘এ খরা কৃষি এবং জলবিদ্যুৎ প্রজন্ম দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলছে। ১৯৭০ এর দশকের পর যতগুলো খরা হয়েছে তারমধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ।’

পানি স্বল্পতার কারণে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। ৮ লাখ হেক্টর চাষাবাদ উপযোগী জায়গার মাত্র তিন ভাগের এক ভাগের মধ্যে তারা শস্য বপন করতে পেরেছেন যা ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

রাবান্দা নামের স্থানীয় এক কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের সব শস্য নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের টিকে থাকার কোনও উপায় নেই এবং এখন আমাদের পান করার জন্যও পানি নেই।’

খরার কারণে সৃষ্ট খাদ্য স্বল্পতা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এরইমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার।