ঢাকা ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

মক্কায় ক্রেন ছিড়ে নিহত ১০৭, ৪০ বাংলাদেশিসহ আহত ২৩৮

1086

পবিত্র হজের মাত্র কয়েকদিন আগে মক্কা শরীফের আল হারেমে ক্রেন ছিড়ে পড়ে কমপক্ষে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন। গ্রান্ড মসজিদের ভিতরে বাংলাদেশের সময় গত রাত প্রায় ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন ৪০ বাংলাদেশিসহ প্রায় ২৩৮ জন মানুষ। সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ এক টুইট বার্তায় এ কথা বলেছে। কুয়েত নিউজ এজেন্সি কুনা রিপোর্টে বলেছে, এ ঘটনা ঘটেছে প্রচন্ড বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের জন্য। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। পাঠানো হয়েছে এম্বুলেন্স। স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ সেখানে লাল সতর্কতা জারি করেছে। মক্কার রেড ক্রিসেন্ট প্রধান বলেছেন, কমপক্ষে ৩৯টি এম্বুলেন্স জরুরি ভিত্তিতে সেখানে সেবা দিচ্ছে। নিহতদের পরিচয়ের বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয় নি। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বিডি নিউজকে জানিয়েছেন, এতে ৪০ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপিও অফিসিয়াল ফেইজবুক পেইজে ৪০ বাংলাদেশি আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহত চাঁদ মিয়ার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। এছাড়া মক্কার জায়েদ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও তিন বাংলাদেশি। বাংলাদেশি চিকিৎসক দল ও দূতাবাস কর্মকর্তারা হাসপাতালে রয়েছেন।
এমনিতেই শুক্রবার পবিত্র কাবা শরিফ মুসল্লিতে ভরপুর থাকে। তার ওপর এখন হজ মওসুম। ফলে এদিন কাবা শরিফ ছিল মুসল্লিতে কানায় কানায় ভর্তি। ক্রেন ছিড়ে নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হজযাত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। সামাজিক মিডিয়ায় যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে হজযাত্রীদের রক্তাক্ত দেহ। তাদের সাদা কাপড় রক্তে লাল হয়ে আছে। যেখানে মসজিদের ভিতরে ক্রেন ছিড়ে পড়েছে সেখানে পড়ে আছে লাশ। রক্তে সয়লাব হয়ে গেছে চারদিক। এমনিতেই সৌদি আরব বিশ্ব মুসলিমদের এই পবিত্র হজকে সুসম্পন্ন করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি শেষ করেছে আগেই। গত বছর গ্রান্ড মসজিদের সম্প্রসারণ কাজের জন্য হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় সমস্যা হতে পারে এমন বিবেচনায় সৌদি আরব হজযাত্রীর সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছিল। গত কয়েক বছর পবিত্র হজে কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটে নি। হজ যাতে নিরাপদে সম্পন্ন হয় সে জন্য কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে সৌদি আরব। এর মধ্যে রয়েছে পরিবহন খাত, অবকাঠামোর উন্নয়ন। বর্তমানে পবিত্র এ মসজিদ ৪ লাখ বর্গমিটার আয়তন বর্ধিত করার কাজ চলছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে ২২ লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে সেখানে সমবেত হতে পারবেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। এ সময়ে সারা বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি সমবেত হবেন সৌদি আরব তথা মক্কায়। এরই মধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছেন কয়েক লাখ হজযাত্রী। মক্কা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হাসান পাতেল বলছেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে বলেছেন স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে গ্রান্ড মসজিদের তৃতীয় তলায় ওই ক্রেনটি ছিড়ে পড়ে। এ সময় মসজিদ ছিল মুসল্লি ও হজযাত্রীতে ঠাসা। কারণ, কিছুক্ষণ পরেই মাগরিবের নামাজের জন্য মুসল্লিরা মসজিদে অবস্থান করা শুরু করেছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

মক্কায় ক্রেন ছিড়ে নিহত ১০৭, ৪০ বাংলাদেশিসহ আহত ২৩৮

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

1086

পবিত্র হজের মাত্র কয়েকদিন আগে মক্কা শরীফের আল হারেমে ক্রেন ছিড়ে পড়ে কমপক্ষে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন। গ্রান্ড মসজিদের ভিতরে বাংলাদেশের সময় গত রাত প্রায় ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন ৪০ বাংলাদেশিসহ প্রায় ২৩৮ জন মানুষ। সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ এক টুইট বার্তায় এ কথা বলেছে। কুয়েত নিউজ এজেন্সি কুনা রিপোর্টে বলেছে, এ ঘটনা ঘটেছে প্রচন্ড বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের জন্য। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। পাঠানো হয়েছে এম্বুলেন্স। স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ সেখানে লাল সতর্কতা জারি করেছে। মক্কার রেড ক্রিসেন্ট প্রধান বলেছেন, কমপক্ষে ৩৯টি এম্বুলেন্স জরুরি ভিত্তিতে সেখানে সেবা দিচ্ছে। নিহতদের পরিচয়ের বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয় নি। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বিডি নিউজকে জানিয়েছেন, এতে ৪০ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপিও অফিসিয়াল ফেইজবুক পেইজে ৪০ বাংলাদেশি আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহত চাঁদ মিয়ার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। এছাড়া মক্কার জায়েদ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও তিন বাংলাদেশি। বাংলাদেশি চিকিৎসক দল ও দূতাবাস কর্মকর্তারা হাসপাতালে রয়েছেন।
এমনিতেই শুক্রবার পবিত্র কাবা শরিফ মুসল্লিতে ভরপুর থাকে। তার ওপর এখন হজ মওসুম। ফলে এদিন কাবা শরিফ ছিল মুসল্লিতে কানায় কানায় ভর্তি। ক্রেন ছিড়ে নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হজযাত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। সামাজিক মিডিয়ায় যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে হজযাত্রীদের রক্তাক্ত দেহ। তাদের সাদা কাপড় রক্তে লাল হয়ে আছে। যেখানে মসজিদের ভিতরে ক্রেন ছিড়ে পড়েছে সেখানে পড়ে আছে লাশ। রক্তে সয়লাব হয়ে গেছে চারদিক। এমনিতেই সৌদি আরব বিশ্ব মুসলিমদের এই পবিত্র হজকে সুসম্পন্ন করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি শেষ করেছে আগেই। গত বছর গ্রান্ড মসজিদের সম্প্রসারণ কাজের জন্য হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় সমস্যা হতে পারে এমন বিবেচনায় সৌদি আরব হজযাত্রীর সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছিল। গত কয়েক বছর পবিত্র হজে কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটে নি। হজ যাতে নিরাপদে সম্পন্ন হয় সে জন্য কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে সৌদি আরব। এর মধ্যে রয়েছে পরিবহন খাত, অবকাঠামোর উন্নয়ন। বর্তমানে পবিত্র এ মসজিদ ৪ লাখ বর্গমিটার আয়তন বর্ধিত করার কাজ চলছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে ২২ লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে সেখানে সমবেত হতে পারবেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। এ সময়ে সারা বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি সমবেত হবেন সৌদি আরব তথা মক্কায়। এরই মধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছেন কয়েক লাখ হজযাত্রী। মক্কা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হাসান পাতেল বলছেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে বলেছেন স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে গ্রান্ড মসজিদের তৃতীয় তলায় ওই ক্রেনটি ছিড়ে পড়ে। এ সময় মসজিদ ছিল মুসল্লি ও হজযাত্রীতে ঠাসা। কারণ, কিছুক্ষণ পরেই মাগরিবের নামাজের জন্য মুসল্লিরা মসজিদে অবস্থান করা শুরু করেছিলেন।