শীত আসি আসি করে বিদায়ই নিয়ে নিল। বিশেষ করে রাজধানীতে এবার তেমন জেঁকে বসেনি শীত। যেটুকুই বা এল, দেরিতে এল। আবার চলেও গেল হুট করে, আগে আগে। এখন এই শীতের মাস মাঘের শেষ সময়ে ঝপ করে নেমে এল গরম।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত বছর এই দিনে (৭ ফেব্রুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে এবার তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত যাওয়ার পথে- এই তথ্য জানিয়ে আবহাওয়া অফিসের ভাষ্য, সামনে আর কোনো বড় রকমের শৈত্যপ্রবাহ নেই।
ঢাকা আবহাওয়া অফিসের উপপরিচালক এ কে এম রুহুল কুদ্দুস ঢাকাটাইমসকে বলেন, এবার শীত দেরিতে আসার কারণ গত বছর ডিসেম্বরের প্রথমে দুটি ঘূর্ণিঝড় ‘নাদা’, ‘ভাদ্রা’ সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা ছিল উষ্ণ। ফলে আরব মহাসাগর থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস বাধা পেয়েছে। এতে শীতের তীব্রতা ছিল কম। আর এখন সূর্যের কিরণ খাড়াখাড়িভাবে পড়ছে বলে তাপমাত্রাও বাড়ছে।
তবে দেশের কোথাও কোথাও বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে এবার কয়েক দিন শীতের তীব্রতা ছিল বেশ। গত ১৪ জানুয়ারি তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে সর্বনিম্ন ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এবার শীতে উষ্ণ তাপমাত্রার জন্য বৈশ্বিক আবহাওয়ার প্রভাবেরও ভূমিকা আছে বলে জানান আরেক আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান। তিনি ঢাকাটাইমকে জানান, বৈশ্বিক তাপমাত্রা একেক সময় একেক রকম হয়ে থাকে। এবার তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দেশে শীতের তীব্রতা কম ছিল। আবার বাতাসের গতি-প্রকৃতিও একেক সময় একেক রকমের হয়ে থাকে। এবার ঠান্ডা বাতাস ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলে বেশি শীত পড়ত। শীত এখন যাওয়ার পথে। সামনে শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার এবং তৎসংলগ্ন এলাকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।