ঢাকা ১২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা “সিলেট প্রদেশ প্রতিষ্ঠার দাবীতে লন্ডনে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সভা অনুষ্ঠিত” জাউয়াবাজারে বিএনপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সমাবেশ গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্য জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে সংবর্ধনা ও গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত

মার্কিন তরুণীকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন আইএস প্রধান

স্টাফ রিপোর্টার,
474
নিহত মার্কিন ত্রাণ কর্মী কেইলা মুলারকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান নেতা আবু বকর আল বাগদাদি। শুক্রবার স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম এবিসি নিউজের কাছে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।আইএসের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিহত হন ২৬ বছরের মার্কিন তরুণী কেইলা মুলার। ২০১৩ সালে সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ত্রাণকর্মী হিসেবে কাজ করার সময় অপহৃত হয়েছিলেন মুলার। আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের এ ত্রাণকর্মী ২০১২ সালে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরে আইএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, জর্ডানে মার্কিন বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন। তবে তার মৃত্যুর জন্য আইএসকে দায়ি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিহত হওয়ার আগে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির হাতে উপর্যুপরি ধর্ষিতা হয়েছিলেন ওই মার্কিন তরুণী। সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতায় অংশ নেয়া মার্কিন কর্মকর্তারা গত জুনেই তার পরিবারকে এই ধর্ষণের বিষয়ে সচেতন করেছিলেন।নিহত মুলারের বাবা-মা কার্ল ও মার্শা এবিসি নিউজকে জানান, আমরা আগেই খবর পেয়েছিলাম কায়লার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বাগদাদি তাকে নিজস্ব সম্পত্তির মতই ব্যবহার করছেন। গত জুনেই সরকার আমাদের এ কথা জানিয়েছিল।
মুলারকে আবু সাইফ ও তার স্ত্রী উম্মে সাইফ ধরে নিয়ে যায়। মে মাসের অভিযানে উম্মে সাইফকে আটক করে মার্কিন সেনারা। ওই অভিযানে বেশ কিছু ইয়াজিদি নারীকেও উদ্ধার করা হয়। এসব নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করত আইএস যোদ্ধারা। আবু সাইফ ও উম্মে সাইফ এসব নারীর তত্ত্বাবধান করত বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
আবু সায়াফ ছিলেন আইএসের তেল-গ্যাস বিভাগের প্রধান। মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে তিনি নিহত হন। গত সপ্তাহে উম্মে সাইফকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কুর্দি কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের জন্য তুলে দেয় মার্কিন সেনারা।
সায়াফের বাসায় নিয়মিত কেইলারকে যৌন নির্যাতন করতেন বাগদাদি। কর্মকর্তারা বলছেন, ওই বাড়িতে মে মাসের অভিযানে উদ্ধার হওয়া দুই ইয়াজিদী মেয়ের কাছ থেকে তারা এই তথ্য উদঘাটন করেছেন।
তবে বন্দি অবস্থায় মুলার তার বাবা-মাকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, জিহাদিরা তার সঙ্গে সম্মানজনক ও সদয় ব্যবহার করছে।সম্প্রতি তার যৌন নিপীড়নের তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, যে কোনো কারণেই মুলার তার যৌন নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে চাননি। তবে তিনি কেন মিথ্যা বলেছিলেন তার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

মার্কিন তরুণীকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন আইএস প্রধান

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার,
474
নিহত মার্কিন ত্রাণ কর্মী কেইলা মুলারকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান নেতা আবু বকর আল বাগদাদি। শুক্রবার স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম এবিসি নিউজের কাছে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।আইএসের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিহত হন ২৬ বছরের মার্কিন তরুণী কেইলা মুলার। ২০১৩ সালে সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ত্রাণকর্মী হিসেবে কাজ করার সময় অপহৃত হয়েছিলেন মুলার। আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের এ ত্রাণকর্মী ২০১২ সালে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরে আইএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, জর্ডানে মার্কিন বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন। তবে তার মৃত্যুর জন্য আইএসকে দায়ি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিহত হওয়ার আগে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির হাতে উপর্যুপরি ধর্ষিতা হয়েছিলেন ওই মার্কিন তরুণী। সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতায় অংশ নেয়া মার্কিন কর্মকর্তারা গত জুনেই তার পরিবারকে এই ধর্ষণের বিষয়ে সচেতন করেছিলেন।নিহত মুলারের বাবা-মা কার্ল ও মার্শা এবিসি নিউজকে জানান, আমরা আগেই খবর পেয়েছিলাম কায়লার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বাগদাদি তাকে নিজস্ব সম্পত্তির মতই ব্যবহার করছেন। গত জুনেই সরকার আমাদের এ কথা জানিয়েছিল।
মুলারকে আবু সাইফ ও তার স্ত্রী উম্মে সাইফ ধরে নিয়ে যায়। মে মাসের অভিযানে উম্মে সাইফকে আটক করে মার্কিন সেনারা। ওই অভিযানে বেশ কিছু ইয়াজিদি নারীকেও উদ্ধার করা হয়। এসব নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করত আইএস যোদ্ধারা। আবু সাইফ ও উম্মে সাইফ এসব নারীর তত্ত্বাবধান করত বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
আবু সায়াফ ছিলেন আইএসের তেল-গ্যাস বিভাগের প্রধান। মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে তিনি নিহত হন। গত সপ্তাহে উম্মে সাইফকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কুর্দি কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের জন্য তুলে দেয় মার্কিন সেনারা।
সায়াফের বাসায় নিয়মিত কেইলারকে যৌন নির্যাতন করতেন বাগদাদি। কর্মকর্তারা বলছেন, ওই বাড়িতে মে মাসের অভিযানে উদ্ধার হওয়া দুই ইয়াজিদী মেয়ের কাছ থেকে তারা এই তথ্য উদঘাটন করেছেন।
তবে বন্দি অবস্থায় মুলার তার বাবা-মাকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, জিহাদিরা তার সঙ্গে সম্মানজনক ও সদয় ব্যবহার করছে।সম্প্রতি তার যৌন নিপীড়নের তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, যে কোনো কারণেই মুলার তার যৌন নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে চাননি। তবে তিনি কেন মিথ্যা বলেছিলেন তার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।