নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে গঠন করা সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি মহাসচি মির্জা ফখরুল ইসলাম যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সেটি অন্যায্য বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে গঠতি সার্চ কমিটি নিরেপেক্ষ নয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন কথা বলা ঠিক হয়নি।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও জাতীয় নাক-কান গলা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন নাসিম।
বুধবার গঠন করা সার্চ কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কমিটির সদস্যদেরকে দেখে তারা হতাশ নন, ক্ষুব্ধ।
মির্জা ফখরুল যখন এই বক্তব্য দেন তখনও সার্চ কমিটির সদস্যদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়নি। তবে গণমাধ্যমে নানা সূত্রের বরাত দিয়ে ছয় জনের নামই প্রকাশ করেছিল গণমাধ্যম। এরা হলেন: আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মহাহিসাব নিরীক্ষক মাসুদ আলম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য শিরীণ আক্তার।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত পত্রপত্রিকা আর অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি সার্চ কমিটিতে কারা কারা আছেন। যেসব নাম দেখছি, তাতে এটা আওয়ামী লীগের পছন্দের সার্চ কমিটি। এতে আমরা হতাশই নই, ক্ষুব্ধ হয়েছি।’
তবে মোহাম্মদ নাসিম বলছেন, সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপির ইতিবাচক মনোভাব দেখানো উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে যাদের নাম আছে তারা সবাই সন্মানিত ব্যক্তি। তাই আমি মনে করি, বিএনপির দায়িত্বশীল মহাসচিবের সার্চ কমিটি নিয়ে এমন কথা বলা ঠিক হয়নি। এ ব্যপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো উচিত ছিল।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিচারকরা কোন দল করেন না। কোন শিক্ষক কি দল করেন? তারা বিভিন্ন পেশায় আছেন তাদের নিজেদের যোগ্যতা বলে। তাদের মনে কোন রাজনৈতিক দলের চিন্তা ভাবনা থাকতে পারে, সেটা অন্য কথা। তারা সবাই কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তারা কোন দিন কোন বিতর্কিত অবস্থায় ছিলেন না।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য তিন জন ব্যক্তির নাম ঠিক করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। এই সার্চ কমিটি তো নির্বাচন কমিশনার ঠিক করবেন না। তাই সার্চ কমিটি নিয়ে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া না দিয়ে অপেক্ষা করা উচিত ছিল।’