তথ্য না জানানোয় ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী। তিনি জানান, প্রকৃত তথ্য না পাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে মৃতদের নামে স্মার্ট কার্ডও তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মত বিনিময়ে এ কথা জানান জাবেদ আলী। ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যকম উপলক্ষে সেখানে নিয়েছিলেন তিনি।
জাবেদ আলী বলেন, ‘মৃত ভোটাররা শুধু আমাদের নয়, প্রার্থীদের বেলায়ও সমস্যা করে। এতে দেশের অর্থের অপচয় হয়।’ তিনি বলেন, ‘অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন অফিসে তাদের সমর্থনে এক শতাংশ ভোটারদের যে নামের তালিকা জমা দেন। তাতেও দু-একটি মৃত ভোটারদের নাম থেকে যায়। এসব প্রমাণ হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল হয়েছে।’
জাবেদ আলী বলেন, ‘মৃত ব্যাক্তিদের নামে ল্যামিশন করা ভোটার আইডি কার্ড এবং স্মার্ট কার্ডও তৈরি হয়েছে। প্রতি ল্যামিনেশন কার্ড তৈরিতে দুই টাকা ৩৪ পয়সা এবং প্রতি স্মার্টকার্ড তৈরিতে খরচ পড়েছে ৮০ টাকা।’
জাবেদ আলী বলেন, ‘বছরে বাংলাদেশে প্রায় শতকরা দশমিক ৫৬ শতাংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আমাদের হিসেবে ভোটার হয় প্রায় শতকরা আড়াই শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরো হিসেব অনুযায়ী লোকসংখ্যার বৃদ্ধি শতকরা দুই শতাংশের কিছু কম। মৃত্যুর হার যদি গড়ে শতকরা দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়, তাহলেও তো ভোটার তালিকায় বিরাট রকমের কর্তন হওয়ার কথা।’
মৃত্যুর খবর সঠিক সময়ে পৌঁছাতে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার-দফাদারদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তারপরও তা সঠিক সময়ে আসছে না।’
গাজীপুর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন গোলাম হায়দার খান, গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।