যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে ইরান। ইরানসহ মোট সাতটি ইসলামি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ঠিক কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা তেহরান ঘোষণা করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মার্কিন নাগরিকদের ইরান ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। খবর আরটি নিউজের।
ইরাক, ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন এই সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ৯০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সিরিয়ার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর। বাকি ছ’টি দেশের তরফে এখনও ট্রাম্পের এই নির্দেশ নিয়ে মুখ খোলা না হলেও, ইরান কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, তিন মাসের অস্থায়ী সময়কালের জন্য হলেও, মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা মার্কিন প্রশাসন জারি করেছে, তা গোটা ইসলামি বিশ্বের জন্য, বিশেষ করে ইরানের জন্য অপমানজনক। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ইরানের নাগরিকদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া ‘অপমানজনক নিষেধাজ্ঞা’ যত দিন না প্রত্যাহার করা হচ্ছে, তত দিনই মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইরানের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে তেহরান জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নিন্দা করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও, ইতিহাসে এই ঘটনা লিপিবদ্ধ থাকবে কট্টরপন্থী ও তাদের সমর্থকদেরকে দেয়া একটা বিরাট উপহার হিসেবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জরিফ বিষয়টি নিয়ে টুইটও করেছেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মতো সিদ্ধান্ত ইরান নেবে না। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, বৈধ ভিসা থাকলে যে কোনো মার্কিন নাগরিক ইরানে প্রবেশ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশের ভিসাধারীদের বিমানবন্দরে আটকে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না দেয়ার বিষয়ে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছেন আদালত। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ফেডারেল আদালত স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার এই স্থগিতাদেশ দেয়।