তোফায়েল আহমেদ
বর্তমানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় ভালো বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।তিনি বলেন, ‘বিএনপি সার্চ কমিটি মেনে নিয়েছে বলেই তারা নাম প্রস্তাব করেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সিস্টেম মতোই হবে। অতীতের দিকে তাকানোর সুযোগ নেই।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) নব নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নিহাদ কবির, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন এই সরকারের অধীনেই হবে। তবে এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে, যার দায়িত্ব থাকবে রুটিন ওয়ার্ক এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। আমাদের বিশ্বাস বিএনপি নির্বাচনে আসবে এবং নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের গ্যাস সমস্যা রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার ১০৮টি গ্যাসকূপ খননের প্রস্তুতি নিয়েছে। এর জন্য বাপেক্স কাজ করছে। তবে আপাতত এ সংকট নিরসনের জন্য এলএমজির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল বলেন, ‘শিল্প জমির জন্য সরকার ১০০টি ইপিজেডের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বর্তমানে ২১টির কাজ চলছে, যার মধ্যে ১৮টি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি।’
আইটি খাত বিষয়ে তোফায়েল বলেন, ‘আইটি খাতে ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই এর অনুমোদন দেবেন। এছাড়া রফতানি বহুমুখী করার জন্য আমরা কৃষি খাত, শিপ বিল্ডিং, ফার্নিচার এসব ক্ষেত্রে ইনসেনটিভ দিচ্ছি।’