যশোর প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে সার্চ কমিটির সদস্য করায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে ধন্যবাদ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তার মতো একজন অরাজনৈতিক ও যোগ্য ব্যক্তিকে সার্চ কমিটির সদস্য করেছেন রাষ্ট্রপতি, এটা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার বিষয়।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৩তম জন্মবাষিকীতে আয়োজিত মধুমেলা ষষ্ঠ ও সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই, তিনি কখনই আওয়ামী লীগ করেননি। এমন একজন গুণী মানুষের সার্চ কমিটিতে উপস্থিতির বিষয়টি যারা প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, তাদের ব্যাপারটা আমাদের ভাবতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে যারা সাংবিধানিক নানা পদে দলীয় লোক বসিয়েছিলেন, তারা এখন সার্চ কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।’
সেতুমন্ত্রী মধুমেলার সাজসজ্জা বিষয়ে আয়োজকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আগেও মধুমেলায় এসেছি, কিন্তু সাজসজ্জায় আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রীদের ছবি ও দলের শ্লোগানের বিষয়টির প্রকট উপস্থিতি লক্ষ্য করিনি।’ এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সাজসজ্জা আর শ্লোগান শুনে মনে হচ্ছে, এটি আওয়ামী লীগের সমাবেশ, মহাকবির বিষয়টি এখানে ক্ষীণ হয়ে গেছে। অথচ এখানে থাকবে মধুমেলার বিষয় ও মহাকবি মধুসূদনের ছবি।’ আগামীতে যেন এ ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আয়োজকদের নজর রাখতেও বলেন মন্ত্রী।
সমাপনী দিনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহাকবি মধুসূদন পদক ২০১৭ প্রাপ্ত কবি নির্মলেন্দু গুণের হাতে এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের হাতে পদক ও সম্মাননাটি কবি মারুফুল ইসলামের হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক প্রমুখ বক্তৃতা দেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যশোর সদরের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ হাদীউজ্জামান ও পীযুষকান্তি ভট্টাচার্য্য এমপি প্রমুখ।