ঢাকা: নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে।সার্চ কমিটির প্রধান, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটির অন্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে ওই তালিকা তুলে দেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া নাম থেকেই বিশিষ্ট নাগরিকদের সমামতের ভিত্তিতে ওই ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। তবে তালিকা প্রকাশ করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্তে নেবেন রাষ্ট্রপতি।
রাত ৯টায় এ বিষয়ে সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় সার্চ কমিটির সর্বশেষ বৈঠক শেষে কমিটি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই তালিকা তুলে দেয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ এসব কথা বলেন।
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই সার্চ কমিটি তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত হওয়া ১০ জনের নাম কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না—এর জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। রাষ্ট্রপতি নাম প্রকাশ করার আগে অনুসন্ধান কমিটি নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সার্চ কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকেরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তার আলোকেই ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এর আগে বিকেল চারটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। ছয়টার দিকে বৈঠক শেষ করে কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে গেছেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করা লোকজনের নাম এবং ১৬ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে মতবিনিময়ের সারসংক্ষেপ তুলে দেয় সার্চ কমিটি।
২৫ জানুয়ারি সার্চ কমিটি গঠনের পর ছয়টি বৈঠক হয়েছে। এর মধ্যে দুই দিন বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। আর রাজনৈতিক দল থেকে নাম পাওয়ার পর অনুসন্ধান কমিটি দুটি বৈঠক করে। বিশিষ্ট নাগরিকেরা দলনিরপেক্ষ, সাহসী, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করার সুপারিশ করেছেন।
তাদের মত হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন হতে হবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে, মেরুদণ্ড হতে হবে সোজা। যাতে চাপ কিংবা হুমকির মুখেও প্রভাবমুক্ত হয়ে তারা কাজ করতে পারেন।
নির্বাচন কমিশন গঠনে গত ২৫ জানুয়ারি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটিকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নারীসহ ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও অন্য তিন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কমিশনার শাহনেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।