ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

রিজার্ভের চুরি যাওয়া ‘সামান্য’ টাকা ‘কিছুই না’: মুহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের যে টাকা চুরি হয়েছে সেটি কিছুই না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি মনে করেন, টাকার অংকের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে সেটা অনেক বড়।

সোমবার বিকালে জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন রিজার্ভের চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারের অগ্রগতির বিষয়ে।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের মধ্য থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। বাকি আট কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। ফিলিপাইন থেকে এখন পর্যন্ত ফেরত এসেছে দেড় কোটি ডলারের মত। বাকি রয়েছে আরও সাড়ে ছয় কোটি ডলার (৫১০ কোটি টাকা)। বাকি অর্থ ফেরত নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান দায়িত্ব ছেড়েছেন, ফিলিপাইন থেকে টাকা ফেরাতে সরকার নানা চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে অর্থমন্ত্রী বলছেন, ‘রিজার্ভের সামান্য টাকা, এমন কিছুই নয়। আমাদের যেটা ক্লেইম ফর ডেলিগেস টু বাংলাদেশ, ডেস্ট্রাকশন দ্য ইকোনমি, এটা অনেক বড়। রিজার্ভের টাকা সেটা কত হতে পারতো তখন? সেটা ১০০ মিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি কিছু হতে পারতো না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আওয়ামী লীগ যতদিন কোনো সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, সেটা কোয়ালিশন বা অন্য কিছু হোক এর পেছনে লেগে থাকবে। এখনও লেগে আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।’

রিজার্ভের টাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও অর্থমন্ত্রী শুরুতে পাকিস্তান থেকে পাওনা আদায় নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই সুযোগ পাই, তখনই আমাদের পাওনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখি। এটলিস্ট আওয়ামী লীগের সরকার, শেখ হাসিনার সরকার সেটা সব সময়ই করে। …আওয়ামী লীগ সরকার এটা তৈরি করেছে এবং আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ রয়েছে। কারণ এর রচয়িতা আমি নিজেই।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চারটি পদ্ধতিতে আমাদের ক্লেইম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। চারটি পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিপূরণ, খেসারত আমরা চেয়েছি এবং সে লক্ষ্যে আমরা এখনও অটুট আছি।’

অর্থমন্ত্রী এই কথা বলার পর একজন তাকে স্মরণ করিয়ে দেন প্রশ্নটি ছিল রিজার্ভের টাকা নিয়ে। এরপর তিনি এ বিষয়ে কথা শুরু করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

রিজার্ভের চুরি যাওয়া ‘সামান্য’ টাকা ‘কিছুই না’: মুহিত

আপডেট সময় : ০৯:১১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের যে টাকা চুরি হয়েছে সেটি কিছুই না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি মনে করেন, টাকার অংকের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে সেটা অনেক বড়।

সোমবার বিকালে জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন রিজার্ভের চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারের অগ্রগতির বিষয়ে।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের মধ্য থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। বাকি আট কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। ফিলিপাইন থেকে এখন পর্যন্ত ফেরত এসেছে দেড় কোটি ডলারের মত। বাকি রয়েছে আরও সাড়ে ছয় কোটি ডলার (৫১০ কোটি টাকা)। বাকি অর্থ ফেরত নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান দায়িত্ব ছেড়েছেন, ফিলিপাইন থেকে টাকা ফেরাতে সরকার নানা চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে অর্থমন্ত্রী বলছেন, ‘রিজার্ভের সামান্য টাকা, এমন কিছুই নয়। আমাদের যেটা ক্লেইম ফর ডেলিগেস টু বাংলাদেশ, ডেস্ট্রাকশন দ্য ইকোনমি, এটা অনেক বড়। রিজার্ভের টাকা সেটা কত হতে পারতো তখন? সেটা ১০০ মিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি কিছু হতে পারতো না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আওয়ামী লীগ যতদিন কোনো সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, সেটা কোয়ালিশন বা অন্য কিছু হোক এর পেছনে লেগে থাকবে। এখনও লেগে আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।’

রিজার্ভের টাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও অর্থমন্ত্রী শুরুতে পাকিস্তান থেকে পাওনা আদায় নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই সুযোগ পাই, তখনই আমাদের পাওনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখি। এটলিস্ট আওয়ামী লীগের সরকার, শেখ হাসিনার সরকার সেটা সব সময়ই করে। …আওয়ামী লীগ সরকার এটা তৈরি করেছে এবং আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ রয়েছে। কারণ এর রচয়িতা আমি নিজেই।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চারটি পদ্ধতিতে আমাদের ক্লেইম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। চারটি পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিপূরণ, খেসারত আমরা চেয়েছি এবং সে লক্ষ্যে আমরা এখনও অটুট আছি।’

অর্থমন্ত্রী এই কথা বলার পর একজন তাকে স্মরণ করিয়ে দেন প্রশ্নটি ছিল রিজার্ভের টাকা নিয়ে। এরপর তিনি এ বিষয়ে কথা শুরু করেন।