ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যাত্রী আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে হরষপুর পর্যন্ত আন্দোলন করলেও মৌলভীবাজার লাভবান হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মো. ফয়সল মাধবপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-চুরির মামলা চাঞ্চল্যকর জিয়া হত্যা: দীর্ঘ এক বছর পর আপন ভাই বাবুল গ্রেফতার, পরিবারের দিকেই সন্দেহের তীর গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র দ্বীবার্ষিক সম্মেলন ও নতুন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রেলের টিকেট ঘরে বসে বুকিং আর নয়, স্টেশনে গেলেই “দৈত্যের” হাতে মিলবে রেলের টিকিট! আমিরাতে লটারি জিতে একসঙ্গে ভাগ্য খুলে গেল দুই বাংলাদেশির মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম ১২ কর্মকর্তাকে ঢাকায় না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ সড়ক উপদেষ্টার “সিলেট পলিটেকনিকে দিনব্যাপী স্কিলস এন্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন সম্পন্ন”

শিক্ষিকাকে পিটিয়ে শিক্ষক কারাগারে

8296
শ্রীনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে পিটিয়ে আহত করে শ্রীঘরে গেছেন অপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। ওই শিক্ষক ও শিক্ষিকা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কামারগাঁও এলাকায়। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কামারগাঁও চৌধুরীবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দুলাল মৃধা (৩৮) চার বছর আগে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী আ. বারী খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানাকে (৩১) বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে জাইফা (২) নামে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের পর পরই দুলাল মৃধা বিভিন্ন সময় জাকিয়ার কাছে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

এ নিয়ে দুলাল মৃধা বিভিন্ন সময় জাকিয়াকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। প্রায় সাত মাস আগে জাকিয়া নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। পরে উপজেলা শিক্ষক নেতারা উপজেলা শিক্ষা অফিসে বসে সালিশ-মীমাংসা করে জাকিয়াকে তার স্বামীর সংসারে ফেরত পাঠান। তিন মাস আগে দুলাল মৃধা যৌতুকের দাবিতে ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ পাঁচ দিন আগে রাতের বেলা দুলাল মৃধা জাকিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। গুরুতর অবস্থায় জাকিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে জাকিয়া সুলতানা তার স্বামী, শাশুড়িসহ ৬ জনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। গত পরশু শ্রীনগর থানা পুলিশ দুলাল মৃধাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। জাকিয়া সুলতানার ভাই জুয়েল অভিযোগ করেন, দুলালকে গ্রেপ্তারের পর থেকে উপজেলা শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন তাদের মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। অন্যথায় জাকিয়া কীভাবে চাকরি করে তা তারা দেখে নেবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

যাত্রী আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে হরষপুর পর্যন্ত আন্দোলন করলেও মৌলভীবাজার লাভবান

শিক্ষিকাকে পিটিয়ে শিক্ষক কারাগারে

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

8296
শ্রীনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে পিটিয়ে আহত করে শ্রীঘরে গেছেন অপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। ওই শিক্ষক ও শিক্ষিকা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কামারগাঁও এলাকায়। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কামারগাঁও চৌধুরীবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দুলাল মৃধা (৩৮) চার বছর আগে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী আ. বারী খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানাকে (৩১) বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে জাইফা (২) নামে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের পর পরই দুলাল মৃধা বিভিন্ন সময় জাকিয়ার কাছে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

এ নিয়ে দুলাল মৃধা বিভিন্ন সময় জাকিয়াকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। প্রায় সাত মাস আগে জাকিয়া নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। পরে উপজেলা শিক্ষক নেতারা উপজেলা শিক্ষা অফিসে বসে সালিশ-মীমাংসা করে জাকিয়াকে তার স্বামীর সংসারে ফেরত পাঠান। তিন মাস আগে দুলাল মৃধা যৌতুকের দাবিতে ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ পাঁচ দিন আগে রাতের বেলা দুলাল মৃধা জাকিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। গুরুতর অবস্থায় জাকিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে জাকিয়া সুলতানা তার স্বামী, শাশুড়িসহ ৬ জনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। গত পরশু শ্রীনগর থানা পুলিশ দুলাল মৃধাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। জাকিয়া সুলতানার ভাই জুয়েল অভিযোগ করেন, দুলালকে গ্রেপ্তারের পর থেকে উপজেলা শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন তাদের মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। অন্যথায় জাকিয়া কীভাবে চাকরি করে তা তারা দেখে নেবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন।