ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

‘সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় ক্ষমতাসীনরা’

2046
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীলদের জন্য বাংলাদেশে সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান-স্ট্র্যাটফোর। প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার পর, বাংলাদেশ এবার নিজস্ব জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই করছে। বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তাদের ইসলামী শরিকদের রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে ঢাকার মনোযোগ দেশটির প্রলম্বিত রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট উগ্রপন্থার দিকে সরে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জামায়াত-ই-ইসলামীর মতো গোষ্ঠীসমূহকে টার্গেট করছে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে নিজ অবস্থান শক্তিশালী করতে ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় শাসকদল আওয়ামী লীগ। সুতরাং, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সহায়তা ও রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য সরকার নয়াদিল্লির সমর্থন কামনা অব্যাহত রাখবে। তীব্রমাত্রার সহিংসতায়ও ঢাকা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সুতরাং, জঙ্গি হামলার দরুন সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া অথবা বছরের এ চতুর্ভাগে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কার্যকরভাবে ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে যদি জঙ্গিরা সফলভাবে পশ্চিমা রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। সে জন্যই ঢাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করছে। দেশকে স্থিতিশীল করতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দেশের তৃতীয় শক্তির পুনঃঅন্তর্ভূক্তির জন্য যথেষ্ট বড় কারণ হতে পারে দেশে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি ও চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা।
স্ট্র্যাটফোর এ পূর্বাভাষে দক্ষিণ এশিয়া অংশে ভারতের ভূমিকা আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকা- বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বেগের ফলে চলমান নিরাপত্তা সহযোগিতাকে জোরদার করবে। কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-আফগানিস্তান অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদ এবং নেপালে সংবিধান নিয়ে বিরোধ থেকে সংঘর্ষ শুরুর ঝুঁকি থাকায় সন্ত্রাসবাদের বর্ধিত শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত নিজের সীমান্তসংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

‘সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় ক্ষমতাসীনরা’

আপডেট সময় : ১০:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

2046
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীলদের জন্য বাংলাদেশে সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান-স্ট্র্যাটফোর। প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার পর, বাংলাদেশ এবার নিজস্ব জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই করছে। বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তাদের ইসলামী শরিকদের রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে ঢাকার মনোযোগ দেশটির প্রলম্বিত রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট উগ্রপন্থার দিকে সরে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জামায়াত-ই-ইসলামীর মতো গোষ্ঠীসমূহকে টার্গেট করছে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে নিজ অবস্থান শক্তিশালী করতে ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় শাসকদল আওয়ামী লীগ। সুতরাং, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সহায়তা ও রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য সরকার নয়াদিল্লির সমর্থন কামনা অব্যাহত রাখবে। তীব্রমাত্রার সহিংসতায়ও ঢাকা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সুতরাং, জঙ্গি হামলার দরুন সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া অথবা বছরের এ চতুর্ভাগে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কার্যকরভাবে ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে যদি জঙ্গিরা সফলভাবে পশ্চিমা রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। সে জন্যই ঢাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করছে। দেশকে স্থিতিশীল করতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দেশের তৃতীয় শক্তির পুনঃঅন্তর্ভূক্তির জন্য যথেষ্ট বড় কারণ হতে পারে দেশে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি ও চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা।
স্ট্র্যাটফোর এ পূর্বাভাষে দক্ষিণ এশিয়া অংশে ভারতের ভূমিকা আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকা- বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বেগের ফলে চলমান নিরাপত্তা সহযোগিতাকে জোরদার করবে। কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-আফগানিস্তান অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদ এবং নেপালে সংবিধান নিয়ে বিরোধ থেকে সংঘর্ষ শুরুর ঝুঁকি থাকায় সন্ত্রাসবাদের বর্ধিত শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত নিজের সীমান্তসংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করবে।