তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এক নারীর করা মামলায় গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। আজ রোববার রিমান্ড শুনানি শুরুর আগে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমি নির্দোষ। সম্পূর্ণ নির্দোষ।’
আরাফাত সানিকে আজ সকালে ঢাকার আমিনবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। বেলা তিনটার পর ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমারের আদালতে তাঁর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। পুলিশ তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানি চলাকালে আরাফাত সানির চোখে পানি দেখা যায়। তবে তিনি আদালতে কোনো কথা বলেননি। তাঁর পক্ষে আইনজীবী আদালতে শুনানি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আদালতকে বলেন, আসামি আরাফাত সানির সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়েছিল। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি বাদীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে দুজনের একান্ত ব্যক্তিগত ছবি এবং বাদীর একক আপত্তিকর ছবি পাঠান। পরে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দেন। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ভোররাত চারটার দিকে আরাফাত আবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে ওই নারীকে আপত্তিকর ছবি পাঠান। তিনি আরও ভয়াবহ অবস্থার জন্য ওই নারীকে অপেক্ষা করতে বলে হুমকি দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম জুয়েল আহমেদ বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। এই আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে হওয়ার তথ্য-প্রমাণ নেই। এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী বিয়ের একটি কাবিননামা আদালতে দেন।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, ৫ জানুয়ারি মামলাটি করেন ওই নারী।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকারের সঙ্গে আজ দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যাঁর দায়ের করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই মেয়েটিকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। বিয়ে করলেও মেয়েটিকে ঘরে তুলতে রাজি ছিলেন না। এমন অভিযোগ মামলার এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেছেন বলে জানান তিনি।
রিমান্ড শুনানি শেষ হওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রথম আলো। প্রথম আলোর কাছে তিনি দাবি করেন, আরাফাত সানির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি ঘরে তুলে নিতে বললে সানি টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে ফেসবুক মেজেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে হুমকি দিতে থাকেন।
তবে আদালত প্রাঙ্গণে সানির মা নার্গিস বেগম দাবি করেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ।