ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

সিলেট-২ আসনে কে হচ্ছেন ‘নৌকার মাঝি


ডেস্ক নিউজ:সিলেট-২ (বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন এ নিয়ে আলোচনার শুরু হয়েছে তিন উপজেলা জুড়ে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নিয়ে অনিশ্চয়তায় দলের কর্মী ও সমর্থকরা। সাবেক এমপি ও সিলেট জেলা আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপর রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি দুই বছর। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপ শেষ করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলের দলের ঐক্যমতে শক্তিশালী একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর আগেই সরকারি দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভানেত্রী পুনরায় হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলিত বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম ধানমণ্ডিতে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীকে বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নিন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর এমন ঘোষণার পরপরই সারাদেশে ন্যায় সিলেট-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নড়েচড়ে বসেছেন। প্রকাশ্য না হলেও তারা নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের লবিং।
গতবারের মতো এবারও সিলেট-২ আসনে কে পাবেন আওয়ামী লীগের দলীয় টিকেট তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কে হবেন সিলেট-২ আসনের নৌকার কান্ডারী? দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার হাতে নৌকার দায়িত্ব দেন তা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চলছে গুঞ্জন।
বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসন। এই আসনকে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় এখানে আওয়ামী লীগ থেকে কেউ প্রার্থী হননি। বরাবরই এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য লড়াই করেন। আর এতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে লড়তে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী রয়েছেন মাঠে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিন উপজেলায় তাদের অনুসারীরা নিজ নিজ নেতার মনোনয়ন প্রাপ্তির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ২৪ ঘন্টার রাজনীতিবিদ’ হিসেবে খ্যাত শফিকুর রহমান চৌধুরী। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিক চৌধুরী। তার অনুসারী নেতা কর্মীরা মনে করেন ক্লীন ইমেজের ত্যাগী এই নেতার মনোনয়ন না পাওয়ার কোন কারণ নেই।
শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেট-২ আসনে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে এমপি হওয়া সাবেক এমপি হিসেবেও তিনি ছিলেন সফল। ‘২৪ ঘণ্টার রাজনীতিবিদ’ হিসেবে পরিচিত শফিক চৌধুরীর জনপ্রিয়তা, দলে অবস্থান এসব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। দলের প্রয়োজনে প্রতিটি স্থানীয় নির্বাচনে রাত-দিন পরিশ্রম করে দলের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বর্তমানে এমপি না হলেও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করে আসছেন। তার নির্বাচনী এলাকা প্রতিদিন তিনি চষে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতিও লক্ষণীয়।
অপর দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বহিঃবিশ্বের বাংলাদেশি রাজনীতিতে খুবই পরিশ্রমী নেতা। নির্বাচন করার তাড়না থেকেই গত বেশ কিছুদিন ধরে তিনি নিয়মিত এলাকার আসছেন। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করছেন। এলাকায় তরুন নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ ইতোমধ্যেই তার বলয়ে যোগ দিয়েছে। তিন উপজেলায় নিজস্ব বলয় ঠিক করতে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ অব্যাহত রেখে চলেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়া ব্রিটেনে অবস্থানরত শেখ রেহানার স্নেহধন্য হিসেবে তিনি রয়েছেন পুরো আলোচনায়। একজন ভালো ও পরিশ্রমী সংগঠক হিসেবে তার দেশে ও বহিঃবিশ্বের রয়েছে সুনাম।
জানা যায়, দল আন্তপ্রাণ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সর্বশেষ দলীয় সম্মেলনে দলের কোন পদ পাওয়ার ব্যাপারে তদবির লবিং করেননি। উদ্দেশ্য সংসদ নির্বাচনে দলের টিকেট চাওয়া।
প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিয়ে শেষ মুহূর্তে লড়াই জমে ওঠার আশঙ্কাও করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আনোারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নবীন ও প্রবীন নেতাকর্মী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করে দিযেছেন বলে জানা গেছে। বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানী নগরের শফিকুর রহমান চৌধুরী বলয় ও আনোয়ারনুজ্জামান বলয় সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেট-২ আসনে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেয়ে বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী এমপি নির্বাচীত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবীর ওসমানী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করার পর উপনির্বাচনে এ আসনে আশক আলী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক চৌধুরী (বীর প্রতিক) এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোয়ন পেয়ে মকসুদ ইবনে আজিজ লামা এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ষষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দল অংশগ্রহণ না করায় একক প্রার্থী হিসেবে এম ইলিয়াস আলী নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শাহ আজিজুর রহমান এমপি নির্বাচিত হয়। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এম ইলিয়াস আলী এমপি নির্বাচিত হন, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপা নেতা ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া এমপি নির্বাচিত হন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

সিলেট-২ আসনে কে হচ্ছেন ‘নৌকার মাঝি

আপডেট সময় : ০৮:১৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৭


ডেস্ক নিউজ:সিলেট-২ (বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন এ নিয়ে আলোচনার শুরু হয়েছে তিন উপজেলা জুড়ে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নিয়ে অনিশ্চয়তায় দলের কর্মী ও সমর্থকরা। সাবেক এমপি ও সিলেট জেলা আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপর রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি দুই বছর। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপ শেষ করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলের দলের ঐক্যমতে শক্তিশালী একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর আগেই সরকারি দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভানেত্রী পুনরায় হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলিত বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম ধানমণ্ডিতে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীকে বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নিন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর এমন ঘোষণার পরপরই সারাদেশে ন্যায় সিলেট-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নড়েচড়ে বসেছেন। প্রকাশ্য না হলেও তারা নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের লবিং।
গতবারের মতো এবারও সিলেট-২ আসনে কে পাবেন আওয়ামী লীগের দলীয় টিকেট তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কে হবেন সিলেট-২ আসনের নৌকার কান্ডারী? দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার হাতে নৌকার দায়িত্ব দেন তা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চলছে গুঞ্জন।
বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসন। এই আসনকে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় এখানে আওয়ামী লীগ থেকে কেউ প্রার্থী হননি। বরাবরই এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য লড়াই করেন। আর এতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে লড়তে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী রয়েছেন মাঠে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিন উপজেলায় তাদের অনুসারীরা নিজ নিজ নেতার মনোনয়ন প্রাপ্তির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ২৪ ঘন্টার রাজনীতিবিদ’ হিসেবে খ্যাত শফিকুর রহমান চৌধুরী। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিক চৌধুরী। তার অনুসারী নেতা কর্মীরা মনে করেন ক্লীন ইমেজের ত্যাগী এই নেতার মনোনয়ন না পাওয়ার কোন কারণ নেই।
শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেট-২ আসনে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে এমপি হওয়া সাবেক এমপি হিসেবেও তিনি ছিলেন সফল। ‘২৪ ঘণ্টার রাজনীতিবিদ’ হিসেবে পরিচিত শফিক চৌধুরীর জনপ্রিয়তা, দলে অবস্থান এসব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। দলের প্রয়োজনে প্রতিটি স্থানীয় নির্বাচনে রাত-দিন পরিশ্রম করে দলের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বর্তমানে এমপি না হলেও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করে আসছেন। তার নির্বাচনী এলাকা প্রতিদিন তিনি চষে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতিও লক্ষণীয়।
অপর দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বহিঃবিশ্বের বাংলাদেশি রাজনীতিতে খুবই পরিশ্রমী নেতা। নির্বাচন করার তাড়না থেকেই গত বেশ কিছুদিন ধরে তিনি নিয়মিত এলাকার আসছেন। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করছেন। এলাকায় তরুন নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ ইতোমধ্যেই তার বলয়ে যোগ দিয়েছে। তিন উপজেলায় নিজস্ব বলয় ঠিক করতে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ অব্যাহত রেখে চলেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়া ব্রিটেনে অবস্থানরত শেখ রেহানার স্নেহধন্য হিসেবে তিনি রয়েছেন পুরো আলোচনায়। একজন ভালো ও পরিশ্রমী সংগঠক হিসেবে তার দেশে ও বহিঃবিশ্বের রয়েছে সুনাম।
জানা যায়, দল আন্তপ্রাণ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সর্বশেষ দলীয় সম্মেলনে দলের কোন পদ পাওয়ার ব্যাপারে তদবির লবিং করেননি। উদ্দেশ্য সংসদ নির্বাচনে দলের টিকেট চাওয়া।
প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিয়ে শেষ মুহূর্তে লড়াই জমে ওঠার আশঙ্কাও করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আনোারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নবীন ও প্রবীন নেতাকর্মী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করে দিযেছেন বলে জানা গেছে। বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানী নগরের শফিকুর রহমান চৌধুরী বলয় ও আনোয়ারনুজ্জামান বলয় সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেট-২ আসনে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেয়ে বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী এমপি নির্বাচীত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবীর ওসমানী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করার পর উপনির্বাচনে এ আসনে আশক আলী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক চৌধুরী (বীর প্রতিক) এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোয়ন পেয়ে মকসুদ ইবনে আজিজ লামা এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ষষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দল অংশগ্রহণ না করায় একক প্রার্থী হিসেবে এম ইলিয়াস আলী নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শাহ আজিজুর রহমান এমপি নির্বাচিত হয়। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এম ইলিয়াস আলী এমপি নির্বাচিত হন, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপা নেতা ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া এমপি নির্বাচিত হন।