ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার,
mit
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারগাঁও এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেওলা বিল থেকে দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতরা হলো- সুরমা ইউপির বাদারটেক গ্রামের আবদুল ছাত্তার ও তার ছেলে রমজান মিয়া। রমজান কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় হালুয়ারঘাট এলাকায় মাছ বিক্রি শেষে নিজেদের নৌকা করে বাড়ি ফেরার উদ্যোগ নেয় বাবা ও ছেলে। নৌকা তীর থেকে সামান্য দূরে মিজান ব্রিক্স ফিল্ডের পাশের বিদ্যুতের মেইন লাইনের তারে স্পৃষ্ট হয়ে দেওলা বিলের পানিতে পড়ে যায় রমজান। ছেলেকে বাঁচাতে এসে বাবা আবদুস ছাত্তারও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিলের পানিতে পড়ে যায়। সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস ছাত্তার জানান, এ খবর পেয়ে রাতে স্থানীয় লোকজন ও তাদের আত্মীয়স্বজন অনেক চেষ্টা করেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। মঙ্গলবার সকালে ৯টায় স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায় পুলিশ ওই দুজনের লাশ উদ্ধার করে। মিজান ব্রিকফিল্ডের লোকজনের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে ব্রিকফিল্ডের লাইন পানির একহাত ওপরে লোজ হয়ে নেমে এসেছে অন্ধকারে দেখতে না পেয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। ব্রিকফিল্ডের কতৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভাগকে আগে জানালে ও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলে এমনটা হতো না। সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই হাবিব জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে প্রথমে পরিবার চাইছিল কাটাছেড়া না করেই নিয়ে যেতে। পরে তারা ময়না তদন্ত এবং মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:১৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার,
mit
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারগাঁও এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেওলা বিল থেকে দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতরা হলো- সুরমা ইউপির বাদারটেক গ্রামের আবদুল ছাত্তার ও তার ছেলে রমজান মিয়া। রমজান কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় হালুয়ারঘাট এলাকায় মাছ বিক্রি শেষে নিজেদের নৌকা করে বাড়ি ফেরার উদ্যোগ নেয় বাবা ও ছেলে। নৌকা তীর থেকে সামান্য দূরে মিজান ব্রিক্স ফিল্ডের পাশের বিদ্যুতের মেইন লাইনের তারে স্পৃষ্ট হয়ে দেওলা বিলের পানিতে পড়ে যায় রমজান। ছেলেকে বাঁচাতে এসে বাবা আবদুস ছাত্তারও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিলের পানিতে পড়ে যায়। সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস ছাত্তার জানান, এ খবর পেয়ে রাতে স্থানীয় লোকজন ও তাদের আত্মীয়স্বজন অনেক চেষ্টা করেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। মঙ্গলবার সকালে ৯টায় স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায় পুলিশ ওই দুজনের লাশ উদ্ধার করে। মিজান ব্রিকফিল্ডের লোকজনের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে ব্রিকফিল্ডের লাইন পানির একহাত ওপরে লোজ হয়ে নেমে এসেছে অন্ধকারে দেখতে না পেয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। ব্রিকফিল্ডের কতৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভাগকে আগে জানালে ও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলে এমনটা হতো না। সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই হাবিব জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে প্রথমে পরিবার চাইছিল কাটাছেড়া না করেই নিয়ে যেতে। পরে তারা ময়না তদন্ত এবং মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন।