ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

সৌদি আরবে গুড়িয়ে দেওয়া হলো সন্ত্রাসী পরিবারের আস্তানা


সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের কাতিফ এলাকার আল-আওয়ামীয়া নামক স্থানে একই পরিবারের ছয় সদস্যের এক সন্ত্রাসী দলকে শনাক্ত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির গণমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সন্ত্রাসী সন্দেহে গত বুধবার মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিরাপত্তা বাহিনী একই পরিবারের ছয় জনকে সন্ত্রাসী হিসেবে শনাক্ত করে এবং তাদের আস্তানা ধ্বংস করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উন্মুক্তস্থানে মানুষের ওপর গুলি করায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজকে খুঁজছিল। এছাড়াও সে কাতিফে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

ওই সন্ত্রাসী দলের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ আলী আব্দুল রহিম আল-ফারাজ। তিনি মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজের বাবা। গত বুধবার আওয়ামীয়ায় নিজ বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তিনি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মাজেদ আলী আব্দুলরহিম আল ফারাজ সন্ত্রাসী দলের আরেক সদস্য। তবে তাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আটক করতে পারেনি। তার ভাই আব্দুল রহীমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তাকে খুঁজছে। তার অপরাধের মধ্যে রয়েছে- পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া, এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং অস্ত্র লুট করা।

সালমান আলী সালমান আর ফারাজ সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মোস্ট ওয়ানটেড ২৩ আসামির অন্যতম। ভাই আব্দুল রহিমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তাকেও খুঁজছে।

এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আলী বিন আহমাদ আল-ফারাজ এবং তার চাচাতো ভাই হুসাইন মদন আল ফারাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আল ফারাজ পরিবার আওয়ামীয়ার পার্শ্ববর্তী আল মাসুরায় বাস করে। পূর্ব প্রদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

সৌদি আরবে গুড়িয়ে দেওয়া হলো সন্ত্রাসী পরিবারের আস্তানা

আপডেট সময় : ০৬:০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৭


সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের কাতিফ এলাকার আল-আওয়ামীয়া নামক স্থানে একই পরিবারের ছয় সদস্যের এক সন্ত্রাসী দলকে শনাক্ত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির গণমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সন্ত্রাসী সন্দেহে গত বুধবার মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিরাপত্তা বাহিনী একই পরিবারের ছয় জনকে সন্ত্রাসী হিসেবে শনাক্ত করে এবং তাদের আস্তানা ধ্বংস করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উন্মুক্তস্থানে মানুষের ওপর গুলি করায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজকে খুঁজছিল। এছাড়াও সে কাতিফে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

ওই সন্ত্রাসী দলের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ আলী আব্দুল রহিম আল-ফারাজ। তিনি মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজের বাবা। গত বুধবার আওয়ামীয়ায় নিজ বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তিনি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মাজেদ আলী আব্দুলরহিম আল ফারাজ সন্ত্রাসী দলের আরেক সদস্য। তবে তাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আটক করতে পারেনি। তার ভাই আব্দুল রহীমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তাকে খুঁজছে। তার অপরাধের মধ্যে রয়েছে- পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া, এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং অস্ত্র লুট করা।

সালমান আলী সালমান আর ফারাজ সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মোস্ট ওয়ানটেড ২৩ আসামির অন্যতম। ভাই আব্দুল রহিমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তাকেও খুঁজছে।

এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আলী বিন আহমাদ আল-ফারাজ এবং তার চাচাতো ভাই হুসাইন মদন আল ফারাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আল ফারাজ পরিবার আওয়ামীয়ার পার্শ্ববর্তী আল মাসুরায় বাস করে। পূর্ব প্রদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।