ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় গৃহবধূ খুন

2010
রাজশাহীর দুর্গাপুরে স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আমজাদ আলীকে আটক করে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধুর নাম রওশন আরা (২৫)। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার সাহাবাজপুর গ্রামের আবু বাক্কারের কন্যা।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর পূর্বে নরসিংদী জেলা সদরের বাসিন্দা আব্দুল বাতেনের ছেলে আমজাদ আলীর সাথে দুর্গাপুর উপজেলার সাহাবাজপুর গ্রামের আবু বাক্কারের কন্যা রওশন আরার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমজাদ শ্বশুর বাড়ীতে ঘরজামাই হিসেবেই থাকতেন।
নিহত গৃহবধূর মা সেলিনা বেগম বলেন, গত ৩ বছর থেকে ঢাকায় গার্মেন্টসের এক মেয়ের সাথে আমজাদ আলী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে সব সময় মোবাইল ফোনে ওই মেয়ের সাথে কথা বলে এবং মাঝে মধ্যে তার সাথে দেখা করতে ঢাকায় যেতো। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমার মেয়ে প্রতিবাদ করে। তারপর থেকে প্রায় সব সময় কারণে-অকারণে মেয়েকে নির্যাতন করতো।
নিহতের মামা সাখাওয়াত হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের স্বামী আমজাদ আলী বাড়ীতে বসে থেকে মোবাইল ফোনে গার্মেন্সের ওই মেয়ের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলতে থাকে। এসময় এটি শুনে রওশন আরা তার স্বামীকে আর তার সাথে কথা বলতে নিষেধ করে। তখন আমজাদ তাকে মেরে ফেলে ঢাকায় যাবে স্ত্রীকে হুমকি দেয়।
এরপর স্বামী-স্ত্রী ৯ বছরের ছেলে রাশেদুলকে নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর শুক্রবার ভোররাতে নিজ শয়ন কক্ষে বালিশ চাপা দিয়ে গৃহবধূকে হত্যা করে ঘাতক স্বামী আমজাদ আলী। হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুত্র রাশেদুল কান্নাকাটি করতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে ওই ঘরে ঢুকে। এসময় তারা রওশন আরার লাশ দেখেই আমজাদ আলীকে আটক করে। পরে তাকে মারধর করে থানায় খবর দিলে ভোর রাতেই দুর্গাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমজাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আমজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে আসলেই হত্যা করেছে কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে স্পষ্ট বোঝা যাবে।’ এ ঘটনায় গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যামামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় গৃহবধূ খুন

আপডেট সময় : ০৭:৪২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

2010
রাজশাহীর দুর্গাপুরে স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আমজাদ আলীকে আটক করে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধুর নাম রওশন আরা (২৫)। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার সাহাবাজপুর গ্রামের আবু বাক্কারের কন্যা।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর পূর্বে নরসিংদী জেলা সদরের বাসিন্দা আব্দুল বাতেনের ছেলে আমজাদ আলীর সাথে দুর্গাপুর উপজেলার সাহাবাজপুর গ্রামের আবু বাক্কারের কন্যা রওশন আরার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমজাদ শ্বশুর বাড়ীতে ঘরজামাই হিসেবেই থাকতেন।
নিহত গৃহবধূর মা সেলিনা বেগম বলেন, গত ৩ বছর থেকে ঢাকায় গার্মেন্টসের এক মেয়ের সাথে আমজাদ আলী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে সব সময় মোবাইল ফোনে ওই মেয়ের সাথে কথা বলে এবং মাঝে মধ্যে তার সাথে দেখা করতে ঢাকায় যেতো। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমার মেয়ে প্রতিবাদ করে। তারপর থেকে প্রায় সব সময় কারণে-অকারণে মেয়েকে নির্যাতন করতো।
নিহতের মামা সাখাওয়াত হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের স্বামী আমজাদ আলী বাড়ীতে বসে থেকে মোবাইল ফোনে গার্মেন্সের ওই মেয়ের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলতে থাকে। এসময় এটি শুনে রওশন আরা তার স্বামীকে আর তার সাথে কথা বলতে নিষেধ করে। তখন আমজাদ তাকে মেরে ফেলে ঢাকায় যাবে স্ত্রীকে হুমকি দেয়।
এরপর স্বামী-স্ত্রী ৯ বছরের ছেলে রাশেদুলকে নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর শুক্রবার ভোররাতে নিজ শয়ন কক্ষে বালিশ চাপা দিয়ে গৃহবধূকে হত্যা করে ঘাতক স্বামী আমজাদ আলী। হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুত্র রাশেদুল কান্নাকাটি করতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে ওই ঘরে ঢুকে। এসময় তারা রওশন আরার লাশ দেখেই আমজাদ আলীকে আটক করে। পরে তাকে মারধর করে থানায় খবর দিলে ভোর রাতেই দুর্গাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমজাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আমজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে আসলেই হত্যা করেছে কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে স্পষ্ট বোঝা যাবে।’ এ ঘটনায় গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যামামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।