ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশ বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী ওয়েলস কুলাউড়া সোসাইটি ইউকের উদ্দোগে কার্ডিফে মরহুম ফিরুজ আলীর মৃত্যুতে শোক সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত নো-ভিসা ফি বৃদ্ধি ও ম্যানচেস্টার থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বন্ধের পায়তারার দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা নতুন দল গঠন নিয়ে বিএনপি হিংসা করে না: মির্জা আব্বাস আমার সারাক্ষণই ভূমিকম্প অনুভব হয়: পরীমণি ‘অর্থনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার’ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৪১ বিডিআর জওয়ান ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে: ইসি মাছউদ ‘বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে চায়’

হাইকোর্টের নির্বাচনী রূপরেখা অসাংবিধানিক: আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
478
সম্প্রতি হাইকোর্ট যে নির্বাচনী রূপরেখা দিয়েছে সেটি অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে যা লেখা আছে, সেটা না বদলিয়ে কেউ যদি বলে এটার বিপরীত কিছু করতে হবে, সেটা গ্রহণযোগ্য যে নয় তা শুধু না, সেটা অসাংবিধানিক। হাইকোর্ট যে রূপরেখা দিয়েছে সেটিকে সরকার বিবেচনা করতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়না হাইকোর্ট এ ধরণের প্রস্তাব দিতে পারে। আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের রায় যদি ডাইরেকটিভ (নির্দেশনামূলক) হয় তাহলে সেটি অসাংবিধানিক। যদি অবসারভেশন (পর্যবেক্ষণ) হয় তাহলে সেটা সেই আলোকেই দেখা হবে।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান মত দেন রাজনৈতিক দলগুলোকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, এখানে কোর্ট অথবা পার্লামেন্টে ৫০ জনকে সিলেক্ট করে, তাদের মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করিনা। তবে অনুষ্ঠানের আরেকজন প্যানেলিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে হাইকোর্ট যদি কোন প্রস্তাব করে তাহলে সেটিও আমলে নেয়া উচিত। তিনি বলেন, সবাই এখন চায় যে নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়। তবে সে সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারবো না। এটা নিতে হবে জনপ্রতিনিধিদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে।
অপরদিকে এ ধরনের প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন আরেকজন প্যানেলিস্ট যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহান। তিনি মনে করেন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ালে দেশে ‘দ্বৈতশাসনের’ পথ তৈরি হতে পারে। অধ্যাপক জাহান এক্ষেত্রে পাকিস্তানের উদাহরণ তুলে ধরেন।
এর আগে অন্তর্বতী সরকার গঠনের দুটি ফর্মুলা দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রথম ফর্মুলায় বলা হয়েছে, অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন ৫০ জন মন্ত্রী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলো থেকে ভোটের হারের অনুপাতে মন্ত্রী নেয়া হবে। হাইকোর্টের দ্বিতীয় ফর্মুলায় রাষ্ট্রক্ষমতা ভাগাভাগির তত্ত্ব দেয়া হয়েছে। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল প্রথম চার বছর ক্ষমতায় থাকবে। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল সর্বশেষ এক বছর ক্ষমতায় থাকবে। তবে এর পেছনে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। আদালত বলেছে, প্রথম ফর্মুলার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে না। তবে দ্বিতীয় ফর্মুলার জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। হাইকোর্ট মনে করে, ফর্মুলাগুলো হয়তো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর চর্চিত আক্রমণাত্মক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হওয়ার উপায়। এখন দেখা দরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সৃষ্ট রাজনৈতিক জটিলতা বিষয়ে এই ফর্মূলা রাজনৈতিক দলসমুহ কিভাবে গ্রহণ করে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা প্রশ্নে জারিকৃত রুল খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই অভিমত দিয়েছে হাইকোর্ট। সম্প্রতি এ রায় প্রকাশ পেয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশ বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

হাইকোর্টের নির্বাচনী রূপরেখা অসাংবিধানিক: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার
478
সম্প্রতি হাইকোর্ট যে নির্বাচনী রূপরেখা দিয়েছে সেটি অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে যা লেখা আছে, সেটা না বদলিয়ে কেউ যদি বলে এটার বিপরীত কিছু করতে হবে, সেটা গ্রহণযোগ্য যে নয় তা শুধু না, সেটা অসাংবিধানিক। হাইকোর্ট যে রূপরেখা দিয়েছে সেটিকে সরকার বিবেচনা করতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়না হাইকোর্ট এ ধরণের প্রস্তাব দিতে পারে। আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের রায় যদি ডাইরেকটিভ (নির্দেশনামূলক) হয় তাহলে সেটি অসাংবিধানিক। যদি অবসারভেশন (পর্যবেক্ষণ) হয় তাহলে সেটা সেই আলোকেই দেখা হবে।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান মত দেন রাজনৈতিক দলগুলোকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, এখানে কোর্ট অথবা পার্লামেন্টে ৫০ জনকে সিলেক্ট করে, তাদের মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করিনা। তবে অনুষ্ঠানের আরেকজন প্যানেলিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে হাইকোর্ট যদি কোন প্রস্তাব করে তাহলে সেটিও আমলে নেয়া উচিত। তিনি বলেন, সবাই এখন চায় যে নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়। তবে সে সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারবো না। এটা নিতে হবে জনপ্রতিনিধিদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে।
অপরদিকে এ ধরনের প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন আরেকজন প্যানেলিস্ট যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহান। তিনি মনে করেন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ালে দেশে ‘দ্বৈতশাসনের’ পথ তৈরি হতে পারে। অধ্যাপক জাহান এক্ষেত্রে পাকিস্তানের উদাহরণ তুলে ধরেন।
এর আগে অন্তর্বতী সরকার গঠনের দুটি ফর্মুলা দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রথম ফর্মুলায় বলা হয়েছে, অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন ৫০ জন মন্ত্রী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলো থেকে ভোটের হারের অনুপাতে মন্ত্রী নেয়া হবে। হাইকোর্টের দ্বিতীয় ফর্মুলায় রাষ্ট্রক্ষমতা ভাগাভাগির তত্ত্ব দেয়া হয়েছে। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল প্রথম চার বছর ক্ষমতায় থাকবে। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল সর্বশেষ এক বছর ক্ষমতায় থাকবে। তবে এর পেছনে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। আদালত বলেছে, প্রথম ফর্মুলার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে না। তবে দ্বিতীয় ফর্মুলার জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। হাইকোর্ট মনে করে, ফর্মুলাগুলো হয়তো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর চর্চিত আক্রমণাত্মক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হওয়ার উপায়। এখন দেখা দরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সৃষ্ট রাজনৈতিক জটিলতা বিষয়ে এই ফর্মূলা রাজনৈতিক দলসমুহ কিভাবে গ্রহণ করে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা প্রশ্নে জারিকৃত রুল খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই অভিমত দিয়েছে হাইকোর্ট। সম্প্রতি এ রায় প্রকাশ পেয়েছে।