সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সম্পত্তি বিক্রি বাধ্য করতে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কয়েকশ’ মানুষের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুই বছর আগে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কাওয়াই দ্বীপে একশ’ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সাতশ’একর সম্পত্তি কেনেন জাকারবার্গ। তার জমির মধ্যে ছোট ছোট অনেকগুলো প্লট আছে যার মালিকানা দ্বীপের কয়েকজন বিলিয়নিয়র। আর ওই প্লটগুলো কিনতেই তিনি জমির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হুনুলুলুর দৈনিক স্টার-অ্যাডভাইজারের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ইতোমধ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর জাকারবার্গ নিয়ন্ত্রিত কোম্পানির পক্ষ থেকে কাওয়াই আদালতে আটটি আবেদন করা হয়েছে। জাকারবার্গের জমির মধ্যে অন্যদের মালিকানায় থাকা প্লটগুলো বাধ্যতামূলকভাবে তার কাছে বিক্রির আবেদন করা হয়। উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে জাকারবার্গ ওই প্লটগুলো কেনার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। প্লটগুলো কিনতে পারলে দ্বীপটির উত্তর সৈকতটি তার একান্ত সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
জাকারবার্গের কিনতে ইচ্ছা পোষণ করা এমন জমির পরিমাণ আট একর। এসব জমির মালিকরা বংশানুক্রমিকভাবে জমিগুলো ভোগদখল করে আসছে এবং নিজেদের জমিতে যেতে তারা আইনসম্মতভাবেই জাকারবার্গে কেনা জমি ব্যবহার করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ মামলার বিবাদীরা এখনও জীবিত। তবে বিবাদীরা তাদের সিংহভাগ জমি বিক্রি করে দিলেও সামান্য অংশ নিজেদের কাছে রাখতে চাইছেন। কিন্তু ওই জমি পেতে জাকারবার্গ এমনই উন্মুখ হয়ে আছেন যে এসব সম্পত্তি পেতে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন তিনি। জমি বিক্রির জন্য এর মালিকদের মাত্র ২০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে বলেও আইনি নোটিশে বলা হয়েছে।
জাকারবার্গের আইনজীবী কেওনি শুলজ সিএনবিসিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘বিশাল জমির ভেতরে নিজের ছোট্ট একটি অংশ ধরে রেখে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মানুষের স্বভাব। ওই জমিটুকুর বিনিময়ে তারা পরবর্তীতে বেশি টাকা দাবি করে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জমির নতুন মালিকরা তাদের ইচ্ছা বা চাওয়ার বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেন না।’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাকারবার্গের করা ৮ মামলার মধ্যে একটি মামলায় ৩শ’ জনকে বিবাদী করা হয়েছে, এরা ১৮৯৪ সালে পর্তুগিজ এক আখক্ষেত কর্মীর কেনা দুই একর জমি নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
/এসএনএইচ/টিএন/