ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

হাজিদের পকেট মারতে সৌদি যাচ্ছিল ওরা

601
হাজীদের পকেট মারতে সৌদি আরবে পকেটমারদের পাঠানো হয়। প্রতিবছরই পকেটমারদের একটা বা দুটো গ্রুপ হজে গিয়ে পকেটমারাসহ নানা ধরনের অপরাধ করে থাকে। এবছর এ চক্রের তিন সদস্য বাংলাদেশ থেকে হজে যাচ্ছিলো পকেট মারতে। এ তিনজনকে হজে পাঠাতে পরিকল্পনাকারী হাজী আব্দুল গফুর ১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এ বছর হজ থেকে তার আয়ের টার্গেট ছিল এক কোটি টাকা।

গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব কথা জানান। তিনি জানান, এই চক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬ জনের মধ্যে হাজী আব্দুল গফুর বিনিয়োগ ও পরিকল্পনাকারী, মো. টুটুল বিশ্বাস দলনেতা, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কাজী সারোয়ার জামাল ওরফে নেতাজী। অন্য তিনজন হলেন: আলহাজ্ব মো. ইব্রাহিম, মো. মনির হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে বাচ্চু। এদের মধ্যে হাজী মো. আব্দুল গফুর, আলহাজ্ব মো. টুটুল বিশ্বাস ওরফে সুমন এবছর পকেট মারার উদ্দেশ্যে হজ পালন করতে যাচ্ছিলেন। আরেক পকেটমার মো. রওশনও তাদের সঙ্গে সৌদি আরব যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে রওশন এখন পলাতক। মনিরুল ইসলাম জানান, আলহাজ্ব মো. টুটুল বিশ্বাস সৌদি আরবে ধরা পড়েছেন এবং দু’বছর কারাগারে ছিলেন। এবার ঐ তিনজন হজে যাওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছিলেন।

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, আন্তর্জাতিক ৩-৪টি গ্রুপ রয়েছে, যারা প্রতিবছর হজে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধ করে থাকেন। এমনকি বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কিছু রোহিঙ্গাও সেখানে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেন।

অজ্ঞান পার্টির ৬ সদস্য গ্রেফতার

এদিকে গতকাল সকালে শাহবাগ এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন: মো. নুরুল আনোয়ার, মো. সুজন খান, মো. আবুল বাশার, মো. আবুল হাসান, মো. আক্তার হোসেন, মো. আবুল কালাম। এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম বলেন, এই গ্রুপের ৮-১০ সদস্য প্রতিদিন পাবলিক বাসের যাত্রীদের আচার ও অন্যান্য খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্ব নিয়ে বাস থেকে নেমে যায়। এই গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন নুরুল আনোয়ার এবং সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মো. সুজন খান।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

হাজিদের পকেট মারতে সৌদি যাচ্ছিল ওরা

আপডেট সময় : ০৩:৪৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০১৫

601
হাজীদের পকেট মারতে সৌদি আরবে পকেটমারদের পাঠানো হয়। প্রতিবছরই পকেটমারদের একটা বা দুটো গ্রুপ হজে গিয়ে পকেটমারাসহ নানা ধরনের অপরাধ করে থাকে। এবছর এ চক্রের তিন সদস্য বাংলাদেশ থেকে হজে যাচ্ছিলো পকেট মারতে। এ তিনজনকে হজে পাঠাতে পরিকল্পনাকারী হাজী আব্দুল গফুর ১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এ বছর হজ থেকে তার আয়ের টার্গেট ছিল এক কোটি টাকা।

গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব কথা জানান। তিনি জানান, এই চক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬ জনের মধ্যে হাজী আব্দুল গফুর বিনিয়োগ ও পরিকল্পনাকারী, মো. টুটুল বিশ্বাস দলনেতা, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কাজী সারোয়ার জামাল ওরফে নেতাজী। অন্য তিনজন হলেন: আলহাজ্ব মো. ইব্রাহিম, মো. মনির হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে বাচ্চু। এদের মধ্যে হাজী মো. আব্দুল গফুর, আলহাজ্ব মো. টুটুল বিশ্বাস ওরফে সুমন এবছর পকেট মারার উদ্দেশ্যে হজ পালন করতে যাচ্ছিলেন। আরেক পকেটমার মো. রওশনও তাদের সঙ্গে সৌদি আরব যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে রওশন এখন পলাতক। মনিরুল ইসলাম জানান, আলহাজ্ব মো. টুটুল বিশ্বাস সৌদি আরবে ধরা পড়েছেন এবং দু’বছর কারাগারে ছিলেন। এবার ঐ তিনজন হজে যাওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছিলেন।

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, আন্তর্জাতিক ৩-৪টি গ্রুপ রয়েছে, যারা প্রতিবছর হজে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধ করে থাকেন। এমনকি বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কিছু রোহিঙ্গাও সেখানে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেন।

অজ্ঞান পার্টির ৬ সদস্য গ্রেফতার

এদিকে গতকাল সকালে শাহবাগ এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন: মো. নুরুল আনোয়ার, মো. সুজন খান, মো. আবুল বাশার, মো. আবুল হাসান, মো. আক্তার হোসেন, মো. আবুল কালাম। এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম বলেন, এই গ্রুপের ৮-১০ সদস্য প্রতিদিন পাবলিক বাসের যাত্রীদের আচার ও অন্যান্য খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্ব নিয়ে বাস থেকে নেমে যায়। এই গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন নুরুল আনোয়ার এবং সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মো. সুজন খান।