ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশ বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী ওয়েলস কুলাউড়া সোসাইটি ইউকের উদ্দোগে কার্ডিফে মরহুম ফিরুজ আলীর মৃত্যুতে শোক সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত নো-ভিসা ফি বৃদ্ধি ও ম্যানচেস্টার থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বন্ধের পায়তারার দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা নতুন দল গঠন নিয়ে বিএনপি হিংসা করে না: মির্জা আব্বাস আমার সারাক্ষণই ভূমিকম্প অনুভব হয়: পরীমণি ‘অর্থনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার’ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৪১ বিডিআর জওয়ান ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে: ইসি মাছউদ ‘বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে চায়’

২০১৫ ও ২০১৬ সালে ইউরোপে পৌঁছবেন সাড়ে ৮ লাখ শরণার্থী

1046
২০১৫ ও ২০১৬ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে কমপক্ষে সাড়ে ৮ লাখ শরণার্থী ও অভিবাসন-প্রত্যাশী ইউরোপে পৌঁছবেন। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর এক প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রমেই বেড়ে চলা শরণার্থীদের চাপ সামাল দিতে ও তাদের আশ্রয় দিতে শরণার্থী নীতিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউএনএইচসিআর-এর একটি আপিল ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগর পথে সবমিলিয়ে প্রায় ৪ লাখ নতুন শরণার্থী ইউরোপে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। ২০১৬ সালে এ সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখ বা আরও বেশিতে দাঁড়াতে পারে। মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডলার বলেছেন, এ বছর ইউরোপে আশ্রয় নিতে যাওয়া শরণার্থী সংখ্যা নিয়ে যে ধারণা করা হয়েছিল, তা অনেকটাই যথাযথ। কারণ, এরই মধ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ৩ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া ও সমুদ্র আরও উত্তাল হওয়ার পর শরণার্থীরা ইউরোপে যাওয়ার প্রচেষ্টা বন্ধ করার ওপর সংখ্যাটা নির্ভর করবে। শীতের মাস আসন্ন হলেও, এখন পর্যন্ত শরণার্থীরা সমুদ্র পাড়ি দেয়া থেকে বিরত থাকছেন না। ফলে, সংখ্যায় বড় ধরনের পরিবর্তনের কোন ইঙ্গিত নেই। এর মধ্যে জার্মানি সিরীয় শরণার্থীদের জন্য নিয়ম শিথিল করায় তাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশও শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে।
এদিকে ইউএনএইচসিআর প্রধান অ্যান্টোনিও গুতেরেস শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশের জন্য বৈধ উপায় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে ভিসার সংখ্যা বৃদ্ধি ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রে পরিবারবর্গের সঙ্গে শরণার্থীদের মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এদিকে গতকাল জার্মানি তার ইউরোপীয় অংশীদার রাষ্ট্রসমূহের প্রতি জানানো আহ্বানে আরও বেশি সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ, জার্মানি রেকর্ড সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে এরই মধ্যে আশ্রয় দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী কমিশন এ সপ্তাহে একটি কর্মসূচি উদ্বোধন করবে। এর আওতায় ইতালি, হাঙ্গেরি ও গ্রিসে পৌঁছানো ১ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে বিভিন্ন দেশে ভাগ করে পাঠানোর ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। জাতিসংঘের অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি পিটার সাদারল্যান্ড বলছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র, সম্পদশালী গাল্ফ রাষ্ট্রসমূহ ও জাপানসহ অন্যান্য দেশকেও অবশ্যই তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশ বইমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

২০১৫ ও ২০১৬ সালে ইউরোপে পৌঁছবেন সাড়ে ৮ লাখ শরণার্থী

আপডেট সময় : ১০:৩০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

1046
২০১৫ ও ২০১৬ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে কমপক্ষে সাড়ে ৮ লাখ শরণার্থী ও অভিবাসন-প্রত্যাশী ইউরোপে পৌঁছবেন। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর এক প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রমেই বেড়ে চলা শরণার্থীদের চাপ সামাল দিতে ও তাদের আশ্রয় দিতে শরণার্থী নীতিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউএনএইচসিআর-এর একটি আপিল ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগর পথে সবমিলিয়ে প্রায় ৪ লাখ নতুন শরণার্থী ইউরোপে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। ২০১৬ সালে এ সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখ বা আরও বেশিতে দাঁড়াতে পারে। মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডলার বলেছেন, এ বছর ইউরোপে আশ্রয় নিতে যাওয়া শরণার্থী সংখ্যা নিয়ে যে ধারণা করা হয়েছিল, তা অনেকটাই যথাযথ। কারণ, এরই মধ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ৩ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া ও সমুদ্র আরও উত্তাল হওয়ার পর শরণার্থীরা ইউরোপে যাওয়ার প্রচেষ্টা বন্ধ করার ওপর সংখ্যাটা নির্ভর করবে। শীতের মাস আসন্ন হলেও, এখন পর্যন্ত শরণার্থীরা সমুদ্র পাড়ি দেয়া থেকে বিরত থাকছেন না। ফলে, সংখ্যায় বড় ধরনের পরিবর্তনের কোন ইঙ্গিত নেই। এর মধ্যে জার্মানি সিরীয় শরণার্থীদের জন্য নিয়ম শিথিল করায় তাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশও শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে।
এদিকে ইউএনএইচসিআর প্রধান অ্যান্টোনিও গুতেরেস শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশের জন্য বৈধ উপায় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে ভিসার সংখ্যা বৃদ্ধি ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রে পরিবারবর্গের সঙ্গে শরণার্থীদের মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এদিকে গতকাল জার্মানি তার ইউরোপীয় অংশীদার রাষ্ট্রসমূহের প্রতি জানানো আহ্বানে আরও বেশি সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ, জার্মানি রেকর্ড সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে এরই মধ্যে আশ্রয় দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী কমিশন এ সপ্তাহে একটি কর্মসূচি উদ্বোধন করবে। এর আওতায় ইতালি, হাঙ্গেরি ও গ্রিসে পৌঁছানো ১ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে বিভিন্ন দেশে ভাগ করে পাঠানোর ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। জাতিসংঘের অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি পিটার সাদারল্যান্ড বলছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র, সম্পদশালী গাল্ফ রাষ্ট্রসমূহ ও জাপানসহ অন্যান্য দেশকেও অবশ্যই তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।