ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর বিজয়নগরে স্কুল শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট “লন্ডনে ‘প্রবাসীদের ক্ষমতায়ন: অধিকার, স্বীকৃতি ও জাতি গঠন – একটি এনআরবি প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে চলন্ত সিএনজিতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ ‘মানুষের উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া’ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকঃ দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির “যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেনকে ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদির লুনার অভিনন্দন” বায়ান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি নর্থইষ্ট বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় লাভ করেন সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা

৪ মানবাধিকার কর্মীর মুক্তি দাবি ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্সের

1224
গত ১২ই সেপ্টেম্বর মানব পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় চার মানবাধিকার কর্মীকে। আরিয়ান আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, হাসিবুল হাসান সবুজ ও ফিরোজ আলম খান শুভর একটি জামিন আবেদন সম্প্রতি ঢাকার একটি আদালতে খারিজ করে দেয়া হয়। আগামীকাল ২০শে সেপ্টেম্বর আদালতের পরবর্তী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে গতকাল ১৮ই সেপ্টেম্বর ওই ৪ মানবাধিকার কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও বাংলাদেশের সব মানবাধিকার কর্মীকে নির্বিঘে তাদের মানবাধিকার কর্মকা- পরিচালনার নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেছে মানবাধিকার সংগঠন ‘ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্স’। নিচে বিবৃতিটি তুলে ধরা হলো:

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্সের অনুরোধ:
আরিয়ান আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, হাসিবুল হাসান সবুজ ও ফিরোজ আলম শুভকে অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার আতঙ্ক ও নির্বিঘে সকল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সব মানবাধিকার কর্মী যাতে তাদের বৈধ মানবাধিকার কর্মকা- পরিচালনা করতে পারেন, তার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
ওই বিবৃতির শুরুতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালত মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত আটক ৪ কর্মীর জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। আরিয়ান আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, হাসিবুল হাসান সবুজ ও ফিরোজ আলম খান শুভকে মানব পাচারের মিথ্যা অভিযোগে গত ১২ই সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে, আদালতের পরবর্তী কার্যক্রম পর্যন্ত তারা আটকাবস্থায় থাকবেন। আগামীকাল ২০শে সেপ্টেম্বর এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ১২ই সেপ্টেম্বর পথশিশুদের আশ্রয় দেয়া একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই ৪ মানবাধিকার কর্মী অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সংগঠনটির কর্মকা-ের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণে কোন নথিপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছেন।
আরিয়ান আরিফ নামেও পরিচিত আরিফুর রহমান। তিনি মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করেন এবং অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। জাকিয়া সুলতানা, হাসিবুল হাসান সবুজ ও ফিরোজ আলম খান শুভ স্বেচ্ছাসেবা কর্মী। অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন একটি যুব সংগঠন। পথশিশুদের ভালোমন্দ দেখাশোনা করে সংগঠনটি। যুব সংগঠনটি তাদের আশ্রয়, শিক্ষা, কম্পিউটার ও ভোকেশনাল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। সদরঘাট ও আগারগাঁওয়ে গৃহহীন শিশুদের জন্য দুটি স্কুলও পরিচালনা করে সংগঠনটি।
এতে আরও বলা হয়, অভিযানের সময় অ্যাপার্টমেন্টে থাকা সব শিশু নিশ্চিত করেছে যে, তারা গৃহহীন হওয়ায়, অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা তাদের আশ্রয় দিয়েছে। ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্স ৪ মানবাধিকার কর্মীর গ্রেপ্তার ও তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়ার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভিত্তিহীন অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তারের ঘটনাটি পুলিশের সামঞ্জস্যহীন প্রতিক্রিয়া বলেই প্রতীয়মান। সংগঠনটির সহায়তা পাওয়া শিশুগুলো অভিযোগের ভিত্তিহীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিকূল পরিবেশের প্রেক্ষাপটে তাদের গ্রেপ্তারের এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয় ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্সের ওই বিবৃতিতে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসে স্বৈরাচারের দোসরদের আস্ফালন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের দাবি নাসিম আহমদ চৌধুরীর

৪ মানবাধিকার কর্মীর মুক্তি দাবি ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্সের

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

1224
গত ১২ই সেপ্টেম্বর মানব পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় চার মানবাধিকার কর্মীকে। আরিয়ান আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, হাসিবুল হাসান সবুজ ও ফিরোজ আলম খান শুভর একটি জামিন আবেদন সম্প্রতি ঢাকার একটি আদালতে খারিজ করে দেয়া হয়। আগামীকাল ২০শে সেপ্টেম্বর আদালতের পরবর্তী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে গতকাল ১৮ই সেপ্টেম্বর ওই ৪ মানবাধিকার কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও বাংলাদেশের সব মানবাধিকার কর্মীকে নির্বিঘে তাদের মানবাধিকার কর্মকা- পরিচালনার নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেছে মানবাধিকার সংগঠন ‘ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্স’। নিচে বিবৃতিটি তুলে ধরা হলো:

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্সের অনুরোধ:
আরিয়ান আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, হাসিবুল হাসান সবুজ ও ফিরোজ আলম শুভকে অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার আতঙ্ক ও নির্বিঘে সকল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সব মানবাধিকার কর্মী যাতে তাদের বৈধ মানবাধিকার কর্মকা- পরিচালনা করতে পারেন, তার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
ওই বিবৃতির শুরুতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালত মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত আটক ৪ কর্মীর জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। আরিয়ান আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, হাসিবুল হাসান সবুজ ও ফিরোজ আলম খান শুভকে মানব পাচারের মিথ্যা অভিযোগে গত ১২ই সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে, আদালতের পরবর্তী কার্যক্রম পর্যন্ত তারা আটকাবস্থায় থাকবেন। আগামীকাল ২০শে সেপ্টেম্বর এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ১২ই সেপ্টেম্বর পথশিশুদের আশ্রয় দেয়া একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই ৪ মানবাধিকার কর্মী অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সংগঠনটির কর্মকা-ের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণে কোন নথিপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছেন।
আরিয়ান আরিফ নামেও পরিচিত আরিফুর রহমান। তিনি মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করেন এবং অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। জাকিয়া সুলতানা, হাসিবুল হাসান সবুজ ও ফিরোজ আলম খান শুভ স্বেচ্ছাসেবা কর্মী। অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন একটি যুব সংগঠন। পথশিশুদের ভালোমন্দ দেখাশোনা করে সংগঠনটি। যুব সংগঠনটি তাদের আশ্রয়, শিক্ষা, কম্পিউটার ও ভোকেশনাল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। সদরঘাট ও আগারগাঁওয়ে গৃহহীন শিশুদের জন্য দুটি স্কুলও পরিচালনা করে সংগঠনটি।
এতে আরও বলা হয়, অভিযানের সময় অ্যাপার্টমেন্টে থাকা সব শিশু নিশ্চিত করেছে যে, তারা গৃহহীন হওয়ায়, অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা তাদের আশ্রয় দিয়েছে। ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্স ৪ মানবাধিকার কর্মীর গ্রেপ্তার ও তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়ার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভিত্তিহীন অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তারের ঘটনাটি পুলিশের সামঞ্জস্যহীন প্রতিক্রিয়া বলেই প্রতীয়মান। সংগঠনটির সহায়তা পাওয়া শিশুগুলো অভিযোগের ভিত্তিহীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিকূল পরিবেশের প্রেক্ষাপটে তাদের গ্রেপ্তারের এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয় ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্সের ওই বিবৃতিতে।