ঢাকা ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মো. ফয়সল মাধবপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-চুরির মামলা চাঞ্চল্যকর জিয়া হত্যা: দীর্ঘ এক বছর পর আপন ভাই বাবুল গ্রেফতার, পরিবারের দিকেই সন্দেহের তীর গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র দ্বীবার্ষিক সম্মেলন ও নতুন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রেলের টিকেট ঘরে বসে বুকিং আর নয়, স্টেশনে গেলেই “দৈত্যের” হাতে মিলবে রেলের টিকিট! আমিরাতে লটারি জিতে একসঙ্গে ভাগ্য খুলে গেল দুই বাংলাদেশির মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম ১২ কর্মকর্তাকে ঢাকায় না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ সড়ক উপদেষ্টার “সিলেট পলিটেকনিকে দিনব্যাপী স্কিলস এন্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন সম্পন্ন” চোরাচালান দমনে কড়াকড়ি বিজিবির জালে কোটি টাকার পণ্য

৫৫তম জন্মদিনে ম্যারাডোনার

2082
দিয়েগো ম্যারাডোনার আজ ৫৫তম জন্মদিন। ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ার্সের ভিলা ফিওরিওতিওতে জন্মগ্রহণ করেন ফুটবলের এ জীবন্ত কিংবদন্তি। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের মতো তিনিও গরীব ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন কারখানা শ্রমিক। ৮ ভাই-বোনের মধ্যে ম্যারডোনা ছিলেন চতুর্থ। টানা তিন বোনের পর ম্যারাডোনার জন্ম হয়। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার জীবনে তিনি প্রথম ফুটবল উপহার পন তৃতীয় জন্মদিনে তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে। ৯ বছর বয়স পর্যন্ত চাচাতো ভাইয়ের দেয়া ওই বল নিয়েই তিনি রাতে ঘুমাতেন। ৮ বছর বয়সে স্থানীয় একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় তার প্রতি নজর পড়ে একজন স্কাউটের। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই বালকের মধ্যে একজন বিশ্বমানের ফুটবলারর হওয়ার সব মাল-মশলা আছে। ওই স্কাউটই তাকে ফুটবলার হওয়ার প্রথম ধাপে এগিয়ে দেন। ৯ বছর বয়সে প্রথম আনুষ্ঠাতিক ফুটবল দীক্ষা পান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাবে তাকে ভর্তি করে নেয়া হয়। ১৯৭২ সালে তার বয়স যখন ১১ বছর তখন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জেতে। তখন এ ক্লাবটি টানা ১৪০ ম্যাচ জেতার বিরল রেকর্ড গড়ে। আর এই রেকর্ড গড়তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পুচকে ম্যারাডোনা। ওই বছরই ক্লাবটি তাকে ১০ নম্বর জার্সি পরতে দেয়। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো, তাকে প্রথমবারের মতো ১০ জার্সি পরিয়ে দেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা উদযাপনের জন্য আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাবটি পেলেকে আমন্ত্রণ জানায়। ওই ১০ নম্বর জার্সি পরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ইতিহাস গড়ে গেছেন একের পর এক। বাল্যকালে ১০ নম্বর জার্সি পরিয়ে দেয়া সেই কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে এক সময় তার তুলনা চলে আসে। এমন কি এখন পর্যন্ত প্রশ্ন সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে- পেলে নাকি ম্যারাডোনা? আর্জেন্টিনার এ ফুটবল কিংবদন্তির ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কিছু জানা-অজানা তথ্য নিচে দেয়া হলো-

– তার পুরো নাম দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা ফ্রান্সো।
– তার ডাকনাম ছিল ‘এল পিবে দে ওরো’। যার অর্থ ‘দ্য গোল্ডেন বয়’।
– ৮ বছর বয়সে বাড়ির পাশের এক মাঠে ফুটবল খেলতে গেলে তিনি এক স্কাউটের চোখে পড়েন। তার জীবনের মোড় ঘুরে যায় তখন।
– ম্যারাডোনার জুনিয়র ক্লাবের নাম ছিল ‘বুয়েন্স এয়ার্স আর্জেন্টিনোস’।
– ১৯৮১ সালে বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেন ম্যারাডোনা। ওই বছর তার দল আর্জেন্টিনার লীগ শিরোপা জেতে। ওটাই ছিল আর্জেন্টিনায় ম্যারাডোনার একমাত্র লীগ শিরোপা।
– ১৯৮২ সালে বোকা জুনিয়র্স থেকে বিশ্ব রেকর্ড ৭.৬ মিলিয়ন পাউন্ডে তাকে দলে ভেড়ায় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা।
– ১৯৮৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এল-ক্লাসিকো ম্যাচ জেতে বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে জয়সূচক গোলটি করেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। প্রথমবারের মতো সেবার রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা কোনো বার্সেলোনার খেলোয়াড়ের খেলায় হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।
– মাদক টেস্টে উত্তীর্ণ না হওয়ায় ম্যারাডোনা ১৫ মাস ফুটবলে নিষিদ্ধ হন।
– ক্যারিয়ারে ৬৮০ ম্যাচে ৩৪৫ গোল করেছেন ম্যারাডোনা।
– একটি নির্দিষ্ট টুর্নামেন্টের এক আসরে সর্বাধিক ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ড তার। ১৯৯০ বিশ্বকাপে তাকে ৫০ বার ফাউল করা হয়।
– এক ম্যাচে সর্বাধিক ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ডও তার। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে তিনি ২৩ বার ফাউলের শিকার হন।
– ১৯৮৬ সালে তিনি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান। ওই বিশ্বকাপে ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় দুটি গোল করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম গোলটি হাত দিয়ে করেন। যা এখনও ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে পরিরিচিত। আর দ্বিতীয় গোলটিকে এখনও বিশ্বকাপের সেরা গোল বলা হয়। এমন কি সেটা শতাব্দীর সেরা গোল।
– পেলের সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারর তিনি। এটা ফিফার জরিপের ফল।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মো. ফয়সল

৫৫তম জন্মদিনে ম্যারাডোনার

আপডেট সময় : ১১:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

2082
দিয়েগো ম্যারাডোনার আজ ৫৫তম জন্মদিন। ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ার্সের ভিলা ফিওরিওতিওতে জন্মগ্রহণ করেন ফুটবলের এ জীবন্ত কিংবদন্তি। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের মতো তিনিও গরীব ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন কারখানা শ্রমিক। ৮ ভাই-বোনের মধ্যে ম্যারডোনা ছিলেন চতুর্থ। টানা তিন বোনের পর ম্যারাডোনার জন্ম হয়। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার জীবনে তিনি প্রথম ফুটবল উপহার পন তৃতীয় জন্মদিনে তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে। ৯ বছর বয়স পর্যন্ত চাচাতো ভাইয়ের দেয়া ওই বল নিয়েই তিনি রাতে ঘুমাতেন। ৮ বছর বয়সে স্থানীয় একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় তার প্রতি নজর পড়ে একজন স্কাউটের। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই বালকের মধ্যে একজন বিশ্বমানের ফুটবলারর হওয়ার সব মাল-মশলা আছে। ওই স্কাউটই তাকে ফুটবলার হওয়ার প্রথম ধাপে এগিয়ে দেন। ৯ বছর বয়সে প্রথম আনুষ্ঠাতিক ফুটবল দীক্ষা পান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাবে তাকে ভর্তি করে নেয়া হয়। ১৯৭২ সালে তার বয়স যখন ১১ বছর তখন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জেতে। তখন এ ক্লাবটি টানা ১৪০ ম্যাচ জেতার বিরল রেকর্ড গড়ে। আর এই রেকর্ড গড়তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পুচকে ম্যারাডোনা। ওই বছরই ক্লাবটি তাকে ১০ নম্বর জার্সি পরতে দেয়। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো, তাকে প্রথমবারের মতো ১০ জার্সি পরিয়ে দেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা উদযাপনের জন্য আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাবটি পেলেকে আমন্ত্রণ জানায়। ওই ১০ নম্বর জার্সি পরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ইতিহাস গড়ে গেছেন একের পর এক। বাল্যকালে ১০ নম্বর জার্সি পরিয়ে দেয়া সেই কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে এক সময় তার তুলনা চলে আসে। এমন কি এখন পর্যন্ত প্রশ্ন সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে- পেলে নাকি ম্যারাডোনা? আর্জেন্টিনার এ ফুটবল কিংবদন্তির ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কিছু জানা-অজানা তথ্য নিচে দেয়া হলো-

– তার পুরো নাম দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা ফ্রান্সো।
– তার ডাকনাম ছিল ‘এল পিবে দে ওরো’। যার অর্থ ‘দ্য গোল্ডেন বয়’।
– ৮ বছর বয়সে বাড়ির পাশের এক মাঠে ফুটবল খেলতে গেলে তিনি এক স্কাউটের চোখে পড়েন। তার জীবনের মোড় ঘুরে যায় তখন।
– ম্যারাডোনার জুনিয়র ক্লাবের নাম ছিল ‘বুয়েন্স এয়ার্স আর্জেন্টিনোস’।
– ১৯৮১ সালে বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেন ম্যারাডোনা। ওই বছর তার দল আর্জেন্টিনার লীগ শিরোপা জেতে। ওটাই ছিল আর্জেন্টিনায় ম্যারাডোনার একমাত্র লীগ শিরোপা।
– ১৯৮২ সালে বোকা জুনিয়র্স থেকে বিশ্ব রেকর্ড ৭.৬ মিলিয়ন পাউন্ডে তাকে দলে ভেড়ায় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা।
– ১৯৮৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এল-ক্লাসিকো ম্যাচ জেতে বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে জয়সূচক গোলটি করেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। প্রথমবারের মতো সেবার রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা কোনো বার্সেলোনার খেলোয়াড়ের খেলায় হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।
– মাদক টেস্টে উত্তীর্ণ না হওয়ায় ম্যারাডোনা ১৫ মাস ফুটবলে নিষিদ্ধ হন।
– ক্যারিয়ারে ৬৮০ ম্যাচে ৩৪৫ গোল করেছেন ম্যারাডোনা।
– একটি নির্দিষ্ট টুর্নামেন্টের এক আসরে সর্বাধিক ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ড তার। ১৯৯০ বিশ্বকাপে তাকে ৫০ বার ফাউল করা হয়।
– এক ম্যাচে সর্বাধিক ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ডও তার। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে তিনি ২৩ বার ফাউলের শিকার হন।
– ১৯৮৬ সালে তিনি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান। ওই বিশ্বকাপে ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় দুটি গোল করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম গোলটি হাত দিয়ে করেন। যা এখনও ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে পরিরিচিত। আর দ্বিতীয় গোলটিকে এখনও বিশ্বকাপের সেরা গোল বলা হয়। এমন কি সেটা শতাব্দীর সেরা গোল।
– পেলের সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারর তিনি। এটা ফিফার জরিপের ফল।