ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র প্রথম মত বিনিময় সভা ও নৈশভোজ। যাত্রী আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে হরষপুর পর্যন্ত আন্দোলন করলেও মৌলভীবাজার লাভবান হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মো. ফয়সল মাধবপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-চুরির মামলা চাঞ্চল্যকর জিয়া হত্যা: দীর্ঘ এক বছর পর আপন ভাই বাবুল গ্রেফতার, পরিবারের দিকেই সন্দেহের তীর গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র দ্বীবার্ষিক সম্মেলন ও নতুন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রেলের টিকেট ঘরে বসে বুকিং আর নয়, স্টেশনে গেলেই “দৈত্যের” হাতে মিলবে রেলের টিকিট! আমিরাতে লটারি জিতে একসঙ্গে ভাগ্য খুলে গেল দুই বাংলাদেশির মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম ১২ কর্মকর্তাকে ঢাকায় না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ সড়ক উপদেষ্টার

ড. ইউনুসের প্রশংসা করায় অর্থমন্ত্রীর কড়া সমালোচায় প্রধানমন্ত্রী


দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে ড. ইউনুসের প্রশংসা করায় অর্থমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য বিমোচন নয়, দারিদ্র্য লালন করে।

তিনি বলেছেন, ‘আমার দুঃখ লাগে সেদিন অর্থমন্ত্রী এমন একজনের প্রশংসা করে ফেললেন, যার কারণে আমার পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বিশ্ব ব্যাংক। এরপর আমাকে আমেরিকা থেকে বারবার থ্রেট (হুমকি) করা হয়। অথচ তিনি তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যাই হোক, এটা তাদের চিন্তা ভাবনা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নয়, সরকারের পদক্ষেপের ফলেই দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে।

আজ শনিবার রাজধানীর ‍কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেছিলেন, ‘একসময় এদেশে ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। সেখান থেকে এখন ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। গ্রামীণ ব্যাংক এ ভূমিকাটি সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছে’।

অর্থমন্ত্রী ওই বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখলাম মাননীয় অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করলেন। যারা ক্ষুদ্র ঋণ দেয়, তারা ধনশালী হয়। তারা ব্যবসা করে’।

‘তারা চায় না, মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসুক। মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসলে তারা ব্যবসা কী নিয়ে করবে’।

দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে আসার দিকে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কার আমলে দারিদ্র্য ২২ শতাংশে নেমে এসেছে? আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই তা হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনে আমরা সফল হয়েছি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি’।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় অর্থমন্ত্রী এমন একজনের কথা বললেন, যার কারণে আমাদের পদ্মা সেতুর কাজ পিছিয়ে গেছে’।

ড. ইউনূসকে ‘সুদখোর’ বলেও বিভিন্ন সময় আখ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র প্রথম মত বিনিময় সভা ও নৈশভোজ।

ড. ইউনুসের প্রশংসা করায় অর্থমন্ত্রীর কড়া সমালোচায় প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭


দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে ড. ইউনুসের প্রশংসা করায় অর্থমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য বিমোচন নয়, দারিদ্র্য লালন করে।

তিনি বলেছেন, ‘আমার দুঃখ লাগে সেদিন অর্থমন্ত্রী এমন একজনের প্রশংসা করে ফেললেন, যার কারণে আমার পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বিশ্ব ব্যাংক। এরপর আমাকে আমেরিকা থেকে বারবার থ্রেট (হুমকি) করা হয়। অথচ তিনি তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যাই হোক, এটা তাদের চিন্তা ভাবনা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নয়, সরকারের পদক্ষেপের ফলেই দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে।

আজ শনিবার রাজধানীর ‍কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেছিলেন, ‘একসময় এদেশে ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। সেখান থেকে এখন ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। গ্রামীণ ব্যাংক এ ভূমিকাটি সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছে’।

অর্থমন্ত্রী ওই বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখলাম মাননীয় অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করলেন। যারা ক্ষুদ্র ঋণ দেয়, তারা ধনশালী হয়। তারা ব্যবসা করে’।

‘তারা চায় না, মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসুক। মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসলে তারা ব্যবসা কী নিয়ে করবে’।

দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে আসার দিকে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কার আমলে দারিদ্র্য ২২ শতাংশে নেমে এসেছে? আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই তা হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনে আমরা সফল হয়েছি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি’।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় অর্থমন্ত্রী এমন একজনের কথা বললেন, যার কারণে আমাদের পদ্মা সেতুর কাজ পিছিয়ে গেছে’।

ড. ইউনূসকে ‘সুদখোর’ বলেও বিভিন্ন সময় আখ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।