ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র প্রথম মত বিনিময় সভা ও নৈশভোজ। যাত্রী আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে হরষপুর পর্যন্ত আন্দোলন করলেও মৌলভীবাজার লাভবান হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মো. ফয়সল মাধবপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-চুরির মামলা চাঞ্চল্যকর জিয়া হত্যা: দীর্ঘ এক বছর পর আপন ভাই বাবুল গ্রেফতার, পরিবারের দিকেই সন্দেহের তীর গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র দ্বীবার্ষিক সম্মেলন ও নতুন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রেলের টিকেট ঘরে বসে বুকিং আর নয়, স্টেশনে গেলেই “দৈত্যের” হাতে মিলবে রেলের টিকিট! আমিরাতে লটারি জিতে একসঙ্গে ভাগ্য খুলে গেল দুই বাংলাদেশির মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম ১২ কর্মকর্তাকে ঢাকায় না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ সড়ক উপদেষ্টার

দাবানল ঠেকাবে ‘ছাগল বিগ্রেড’

নিউজ ডেস্ক:: সাধারণত কোথাও আগুন লাগলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটালো পর্তুগাল। দাবানল নেভানোর কাজে ৩৭০টি ছাগলের একটি ব্রিগেড ব্যবহার করছে দেশটি।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রত্যেকবার দাবানলে ধ্বংস হয়ে যায় পর্তুগালের অসংখ্য বনভূমি। মারা যায় অসংখ্য বন্যপশু ও পাখি। আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় অসংখ্য খামার বাড়ি ও শস্য মজুদ করার ছোট ছোট গুদাম। তবে এবার গ্রীষ্মকালের অনেক আগেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে পর্তুগাল প্রশাসন। তবে এ সতর্কতা হিসেবে কোনো দমকল বাহিনী নিয়োগ করে বন, জঙ্গলে পানি ছেটানোর ব্যবস্থা করেনি সরকার। করেনি গাছ কাটার ব্যবস্থাও। এমনকি কোনো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যেও দাবানল নেভানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। এসব বাদে ছাগলদের একটা বড় ব্রিগেডকে দাবানল প্রতিরোধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে পর্তুগাল সরকার। ৩৭০টি ছাগ সেনার একটি ব্রিগেডকে দাবানল নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পর্তুগালের পার্বত্য অঞ্চলের কোলে বেড়ে ওঠা জঙ্গল ও বনভূমিগুলোতে।

সংবাদমাধ্যমটি আরও বলছে,দেশের প্রায় ১০০ পশুপালকের কাছ থেকে এই ছাগলগুলোকে ভাড়া করেছে প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমিতে এদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।মনের সুখে বনের ঘাস-পাতা খেয়ে সাফ করে দিচ্ছে ছাগলের দল।বড় গাছ না খেতে পারলেও, চারাগাছ থেকে শুরু করে লতাপাতা সবই চলে যাচ্ছে এই ছাগসেনার পেটে।

প্রশাসনের দাবি, দাবানলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো আগুন ছড়িয়ে পড়া।একটা বনে আগুন ধরলে মুহূর্তের মধ্যে তা আশপাশের বনগুলোতে ছড়িয়ে যায়।আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে শুকনো পাতা ও ছোট ঘাস।এই ছাগ বাহিনী নিয়োগের ফলে সেই আগুন ছড়ানোকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

পর্তুগালে প্রত্যেক বছর এই দাবানলের ফলে কেবল প্রাকৃতিক সম্পদই নষ্ট হয় না;পাশাপাশি প্রাণ যায় প্রচুর মানুষের।গত বছরই প্রায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে এই ভয়ঙ্কর দাবানলে।

পর্তুগাল প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান,এই দাবানলের ফলে দেশের পর্যটন ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছে।অনেক পর্যটক এই স্থানগুলোতে যেতে চাইছেন না।এই বিপদ দূর করতেই এমন অভিনব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।এই পদক্ষেপের ফলাফল পেতেও যে সরকারকে অপেক্ষা করতে হবে তা-ও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র প্রথম মত বিনিময় সভা ও নৈশভোজ।

দাবানল ঠেকাবে ‘ছাগল বিগ্রেড’

আপডেট সময় : ১২:১১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:: সাধারণত কোথাও আগুন লাগলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটালো পর্তুগাল। দাবানল নেভানোর কাজে ৩৭০টি ছাগলের একটি ব্রিগেড ব্যবহার করছে দেশটি।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রত্যেকবার দাবানলে ধ্বংস হয়ে যায় পর্তুগালের অসংখ্য বনভূমি। মারা যায় অসংখ্য বন্যপশু ও পাখি। আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় অসংখ্য খামার বাড়ি ও শস্য মজুদ করার ছোট ছোট গুদাম। তবে এবার গ্রীষ্মকালের অনেক আগেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে পর্তুগাল প্রশাসন। তবে এ সতর্কতা হিসেবে কোনো দমকল বাহিনী নিয়োগ করে বন, জঙ্গলে পানি ছেটানোর ব্যবস্থা করেনি সরকার। করেনি গাছ কাটার ব্যবস্থাও। এমনকি কোনো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যেও দাবানল নেভানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। এসব বাদে ছাগলদের একটা বড় ব্রিগেডকে দাবানল প্রতিরোধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে পর্তুগাল সরকার। ৩৭০টি ছাগ সেনার একটি ব্রিগেডকে দাবানল নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পর্তুগালের পার্বত্য অঞ্চলের কোলে বেড়ে ওঠা জঙ্গল ও বনভূমিগুলোতে।

সংবাদমাধ্যমটি আরও বলছে,দেশের প্রায় ১০০ পশুপালকের কাছ থেকে এই ছাগলগুলোকে ভাড়া করেছে প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমিতে এদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।মনের সুখে বনের ঘাস-পাতা খেয়ে সাফ করে দিচ্ছে ছাগলের দল।বড় গাছ না খেতে পারলেও, চারাগাছ থেকে শুরু করে লতাপাতা সবই চলে যাচ্ছে এই ছাগসেনার পেটে।

প্রশাসনের দাবি, দাবানলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো আগুন ছড়িয়ে পড়া।একটা বনে আগুন ধরলে মুহূর্তের মধ্যে তা আশপাশের বনগুলোতে ছড়িয়ে যায়।আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে শুকনো পাতা ও ছোট ঘাস।এই ছাগ বাহিনী নিয়োগের ফলে সেই আগুন ছড়ানোকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

পর্তুগালে প্রত্যেক বছর এই দাবানলের ফলে কেবল প্রাকৃতিক সম্পদই নষ্ট হয় না;পাশাপাশি প্রাণ যায় প্রচুর মানুষের।গত বছরই প্রায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে এই ভয়ঙ্কর দাবানলে।

পর্তুগাল প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান,এই দাবানলের ফলে দেশের পর্যটন ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছে।অনেক পর্যটক এই স্থানগুলোতে যেতে চাইছেন না।এই বিপদ দূর করতেই এমন অভিনব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।এই পদক্ষেপের ফলাফল পেতেও যে সরকারকে অপেক্ষা করতে হবে তা-ও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।