মাহফুজুল আলম মাহফুজ, ফ্লোরিডা থেকে
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য টেক্সাসের একটি মসজিদ সম্পূর্ণ আগুনে পুড়েছে। সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশ জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই আগুনের ঘটনা ঘটলো। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বিচ্ছিন্ন ঘটনা একের পর এক হয়েই চলেছে। আমেরিকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা ঘটেছে এর পরপরই।
মসজিদে এই আগুন লাগার কারণ দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, তা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঘটনার জের হিসেবে ফ্লোরিডার হলিউডে ৩০ জানুয়ারি রবিবার দুই কিলোমিটার ব্যবধানে পরপর দুটি মসজিদে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে গেলে তালাবদ্ধ দেখা যায়। বেলা তিনটায় ফ্লোরিডার হলিউড দারুল উলুম মসজিদ এবং পরে বেলা সাড়ে ৫টায় অপর মসজিদে গেলে নামাজ আদায় করতে পারেনি এমন দুজন মুসল্লির হতাশায় বিষয়টি উঠে আসে। তবে কেউ কেউ বলছেন পূর্বে প্রায় সবসময় মসজিদগুলো খোলা থাকলেও এখন এ সময়টি আলাদাভাবে দেখা হচ্ছে।
কিছু মসজিদ নামাজের সময় ছাড়াও উপস্থিত মুসল্লির কথা বিবেচনা করে দীর্ঘ সময় খোলা রাখতো। তবে এখন এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
কখনো কখনো এমন সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তিবিশেষের জন্য শুধু নামাজের সময় ছাড়া অথবা পরিচিত উপস্থিত মুসল্লির অবস্থান বাদে মসজিদ খোলা রাখা হচ্ছে না। এমন সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন মসজিদে খলিলের নামাজ আদায়কারী মুসলিম ব্রাদার জনাব জিয়া।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, বেশ কয়েক বছর আগেও একবার ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার শিকার হয়েছিল টেক্সাসের ওই মসজিদটি। কিছুদিন আগে সেখানে চুরিও হয়েছিল। তাই পুরো আমেরিকার মুসলিম কমিউনিটি এখন ভীত অবস্থায় আছে। তাই আমেরিকার মসজিদগুলো কতটা সতর্ক সেটা আর কদিন গেলেই আরও পরিষ্কার হয়ে উঠবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মুসলিমদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেয়ার কথা বলা হয়। শুধু এ বিষয়ে ঘোষণা দুই দিন ঘুরতেই কয়েকজন অভিবাসী বাসিন্দাদেরও ফিরে দেয়া শুরু হয়েছে। তা নিয়েও প্রচণ্ড ক্ষোভের কথা জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আমেরিকান মুসল্লি জানান, বিমানবালাকে লাথি মারার ঘটনাকে আমেরিকার মুসলিমদের ওপর একটি বিশেষ মানষিক চাপ ও বিপর্যয় বলে তার ধারণা। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাবে বলে তিনি মনে করেন।