আজ নন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২৮:৫৬,অপরাহ্ন ১৩ নভেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ৪৬১ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক:: নন্দিত নরকে উপন্যাসের আশ্রয়ে সাহিত্যের আকাশে জ্বলে উঠেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। ’৭২ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। সহজ-সরল ভাষার সঙ্গে সংলাপধর্মী উপন্যাসটি সহজেই আকৃষ্ট করে সাহিত্যানুরাগীর মনন। পরের গল্পটি শুধুই এগিয়ে যাওয়ার। টানা চার দশক আপন সৃষ্টিতে মোহাচ্ছন্ন করে রাখে পাঠককে। সেই সূত্রে ধারণ করেছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও জননন্দিত কথাসাহিত্যিকের পরিচয়টি। কীর্তিমান মানুষটি একই সঙ্গে সাহিত্য ও শিল্পের বর্ণময় পথে হেঁটেছেন।
সরল রেখার মতোই সহজ ছিল তার লেখার ভাষা। গল্প বা উপন্যাসের উদ্দীপক কিংবা রহস্যময় বুনটে বিভোর করে রাখেন পাঠককে। এদেশের সাহিত্যভুবনে ভারতীয় লেখকদের একচেটিয়া আধিপত্য ম্লান করে অনবদ্য আপন লেখনীর গড়ে দিয়েছেন সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পের ভিত্তিভূমি। একইভাবে বিচিত্র বিষয়ের নাটক কিংবা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিল্পরসিকদের দিয়েছেন বিশুদ্ধ বিনোদনের খোরাক।
আজ ১৩ নভেম্বর বাংলা সাহিত্যের এই জ্যোতির্ময় লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকারের ৭১তম জন্মদিন। ’৪৮ সালের এই দিনে তিনি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুরে নানা বাড়িতে জš§গ্রহণ করেন। দেশের সবচেয়ে জননন্দিত এই কথাশিল্পীর জন্ম দিনে বিশেষ প্রবন্ধ, নিবন্ধসহ নানা প্রতিবেদন ছেপেছে পত্রিকাগুলো। লেখকের জন্মদিন উপলক্ষে পরিবারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও টিভি চ্যানেল নিয়েছে নানা কর্মসূচী।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর লেখকের ‘দখিন হাওয়া’ ফ্ল্যাটে কাটা হয়েছে জন্মদিনের কেক।হুমায়ূনকে স্মরণ করে দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে কেক কেটেছেন লেখকের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওন।এ ছাড়া আজ ভোরে শাওন তার দুই ছেলেকে নিয়ে চলে যাবেন হুমায়ূনের স্মৃতিধন্য গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নূহাশপল্লীতে। সেখানে লেখকের সমাধিতে নিবেদন করবেন ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি। মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হবে।