ভূতের ভয়ে বন্ধ স্কুল!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪৩:০২,অপরাহ্ন ২১ নভেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ৩৩৯ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: কোনও মতেই তাড়ানো যাচ্ছে না ভূতের আতঙ্ক।গোটা স্কুল ভূতের ভয়ে তটস্থ। অভিভাবক থেকে শিক্ষকরা অনেক বুঝিয়েও খুদে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করাতে পারছেন না।
ভুতের এই আতঙ্ক গ্রাস করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুরের চৌধুরিপাড়া গ্রামের গোমস্তাপাড়া মোহনচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। চৌধুরিপাড়া ও তার আশপাশের গ্রামগুলিতে এখন সন্ধ্যা নামলেই তাড়া করে ফিরছে ভূতের ভয়। পড়ুয়াদের আতঙ্ক স্কুলে গেলেই ঘাড়ে চেপে বসবে ভূত। আর পড়ুয়াদের অনুপস্থিতিতে কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে পাহাড়পুরের চৌধুরিপাড়া গ্রামের গোমস্তাপাড়া মোহনচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জানা গিয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর বুধবার সকালে। স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক আচরনকে কেন্দ্র করে ভূতের আতঙ্ক ছড়ায় গোটা স্কুলে। চৌধুরিপাড়া ও তার আশপাশের গ্রামে রটে যায় যে, স্কুল থেকে ফেরার পথে ভূতে ধরেছে ওই ছাত্রীকে।
ওই ছাত্রীর বাবা কাশিম আলি জানান, স্কুল থেকে ফেরার পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে তার মেয়ে। একা একাই হাসতে থাকে। আর সেই হাসির শব্দে নাকি গাঁয়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে সকলের। সুরে হাসতে হাসতে মেয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলতে থাকে, আমার জন্য প্রার্থনা কর, না হলে ক্ষতি করবো।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ওই স্কুলের পাশে আত্মহত্যা করেছিলো এক নারী। চৌধুরিপাড়ার বাসিন্দাদের ধারনা, ওই নারীর অতৃপ্ত আত্মাই ভর করেছে ওই ছাত্রীর উপর। ফলে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সকলের মধ্যে। লোকমুখে এই ভূতের গল্প ছড়িয়ে পড়তেই ওই স্কুলমুখী হচ্ছেন না স্থানীয় চৌধুরিপাড়া ও আশপাশের গ্রামের পড়ুয়ারা।
গোমস্তাপাড়া মোহনচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১৫৫ জন। স্কুলের শিক্ষিকা জ্যোতি রায় জানান, বাচ্চাদের মনে আতঙ্ক চেপে বসেছে, ফলে স্কুলমখী হতে চাচ্ছে না পড়ুয়ারা।
এদিকে ভূতে ধরা ছাত্রীর বাবা কাশিম আলি জানান, মেয়ের আপাতত চিকিৎসা করছেন এক ওঝা। সেই ওঝার চিকিৎসায় কাজ না হলে তিনি মেয়েকে ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যাবেন বলে জানান।
যদিও এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক রাজা রাউত জানান, ভূত বলে কিছু নেই। সবটাই মনের ভুল।