শুল্ক বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রে পচছে সয়াবিন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২৫:৫৭,অপরাহ্ন ২২ নভেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ২৭৭ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের খেসারত দিচ্ছেন সয়াবিনচাষিরা। অধিক লাভের আশায় সয়াবিন চাষ করে এখন বড় সমস্যায় পড়েছেন তারা।এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে আট কোটি ৯১ লাখ একর জমিতে সয়াবিনের চাষ হয়েছিল, যা এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। চীনে সয়াবিনের চাহিদা বাড়তে থাকায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে সয়াবিনে বেশি লাভের আশায় তারা সয়াবিন চাষে মনোযোগী হয়।
ওয়াশিংটন চীনা রফতানির ওপর শুল্কারোপের পাল্টায় বেইজিংও যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। আর এ কারণেই চীনা ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।গত বছর প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার এসেছিল এ খাত থেকে। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন রফতানির ৬০ শতাংশই হয় চীনে।
লুইজিয়ানার কৃষক রিচার্ড ফনটেনট তার এক হাজার একর জমিতে সয়াবিন চাষ করেছিলেন।এখান থেকে তিন লাখ ডলার মূল্যের বীজ সংগ্রহ করতে পারতেন তিনি।তা না করে বীজওয়ালা গাছগুলো মাটিতে ফেলে রাখেন।অন্য সময়ে তিনি সেগুলো স্থানীয় গুদামঘরে বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু এবার ওই গুদামগুলো এরই মধ্যে ভরে ওঠায় সে সুযোগও তিনি পাচ্ছেন না।
এ পরিস্থিতিতে সয়াবিন ক্ষেতের ওপর ট্রাক্টর চালিয়ে দেন ফনটেনট। শুধু তিনিই নন, তার মতো অনেকেই জমিতে এগুলো নষ্ট করে দিচ্ছেন।লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির কর্মীরা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, লুইজিয়ানার ১৫ শতাংশের মতো তৈল বীজ ট্রাক্টর চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে বা সেগুলোর অবস্থা এত খারাপ যে তা বাজারে তোলার উপযুক্ত নয়। মিসিসিপি ও আরকানসাসের অনেক এলাকায়ও শস্য নষ্ট হচ্ছে। নর্থ ও সাউথ ডাকোটায় শস্যের স্তূপ ঢাকা পড়েছে তুষারে। ইলিনয় ও ইন্ডিয়ায় পশুর আক্রমণ থেকে শস্য ভরা ব্যাগ রক্ষায় লড়ছেন।
এদিকে কৃষকরা যাতে বাণিজ্যযুদ্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন, সে জন্য প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।