১ ভরি স্বর্ণের দাম পড়েছে ৩ হাজার টাকা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩৮:২৪,অপরাহ্ন ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ২৯৮ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক:: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আকতারের বার্ষিক আয় বাড়লেও তার কাছে সংরক্ষিত স্বর্ণের দাম বাড়েনি। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তার ব্যবহার্য স্বর্ণালঙ্কারের পরিমাণ যেমন বাড়েনি, তেমনি মূল্যও বাড়েনি বলে দাবি করেছেন তিনি। গত ২৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় শাহীন আকতার উল্লেখ করেছেন তার ১৫ ভরি স্বর্ণের সোনার দাম ৪৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়েছে ৩ হাজার টাকা।
নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া হলফ নামায় দেখা যায়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কক্সবাজার-৪ আসনে মনোয়নপত্র জমা দেন শাহীন আকতার। এ সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেয়া হলফনামায় তার ১৫ ভরি স্বর্ণের দাম ধরা হয় ৪৫ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এসেও তিনি একই হিসাব দাখিল করেছেন। অর্থাৎ দীর্ঘ ১১ বছর পরেও তার প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ধরা হয়েছে ৩ হাজার টাকা।
স্বর্ণের দাম না বাড়লেও শাহীন আকতারের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণ। বেড়েছে তার স্বামী সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিরও সম্পদের পরিমাণ।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি সুভাষ ধর জানান, ২০০৮ সালে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ২৩ হাজার টাকা, ২০০৯ সালে দাম ছিল ২৫-২৬ হাজার টাকা। আর বর্তমানে প্রতি ভরির দাম ৪৭ হাজার টাকা। তবে ৯০ দশকের পর প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার টাকা কোনও সময় হয়নি।
শুধু স্বর্ণই নয়, বদির স্ত্রীর হলফনামায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ঘরে ইলেকট্রনিক সামগ্রী বলতে শুধুমাত্র একটি ফ্রিজ ও একটি রঙিন টিভি রয়েছে। আর কিছুই নেই। এই দুটিই তাদের বিয়েতে উপহার পেয়েছেন।এছাড়াও আসবাবপত্রের মধ্যে রয়েছে ডাইনিং টেবিল, সোফা, খাট, আলমিরা, ওয়ারড্রব, ড্রেসিং টেবিল, শোকেস, আলনা, মিটসেট। হলফনামায় এইসব কিছুর মূল্য মাত্র ৩০ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
হলফনামায় বদির স্ত্রী নিজেকে ‘বিএ পাস’ ও ‘ধান, চাল, ও লবণ মাঠ লাগিয়ত ব্যবসায়ী’ দাবি করেছেন। ব্যবসা থেকে বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আয় তার।নগদ ও ব্যাংক ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে বদির ধারে কাছে নেই তার স্ত্রী। হলফনামায় বদির স্ত্রীর ব্যাংক ব্যালেন্স মাত্র ১০ হাজার ও তার স্বামীর ব্যাংক জমা ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও হলফনামায় শাহীন আক্তারের দুটি দোকানের মূল্য ২ লাখ টাকা, প্রায় সোয়া ৫ একর জমির দাম ১০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমদ বলেন, চলতি নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজের হফলনামায় কে কি দিল সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। এগুলো দেখার জন্য রয়েছে এনবিআর ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ কারণে আইনে কি আছে এই মুহুর্তে আমি বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আক্তারকে একাধিকবার ফোন দিলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।