নিহত ছাত্রদল নেতা নির্বাচনী সহিংসতার মামলার আসামি!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪৬:৪৭,অপরাহ্ন ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | সংবাদটি ২৩২ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক:: সিলেটে কোতোয়ালি থানাধীন কানিশাইল খেয়াঘাটের সামনে গত রোববার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণায় হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়।আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০১২ সালে খুন হওয়া এক ছাত্রদল নেতাকে।
সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন এবং ১২০ আসামির নাম উল্লেখসহ দায়ের করা মামলাটির ২৭ নম্বরে রয়েছে নিহত সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকতের নাম।এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী নগরীর নাইওরপুর মৌবন ১২/১ বাসার বাসিন্দা মো. ফাহিম আহমদ হামীম।তার অভিযোগ, রাত ৯টায় খেয়াঘাটের সামনে রিকশায় করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকা প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন বাদী।
এ সময় আসামিরা পথরোধ করে রিকশা থেকে প্রচার মাইক খুলে নেন। বাধা দিলে তাকে গালিগালাজ, মারধরসহ হুমকি দেন এবং তার চারপাশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে কোতোয়ালি থানার টহল পুলিশ এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়।ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাল স্কচটেপ মোড়ানো দুটি ককটেল উদ্ধার করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করেন ফাহিম।মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে নগরীর উপশহরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ খুন হন।
এভাবে একজন মৃত ব্যক্তিকে আসামি করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।বিএনপি নেতারা এটাকে গায়েবি মামলা হিসেবে অভিহিত করে বলেন,একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের আরও অনেক কিছুই হবে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. সেলিম মিয়া বলেন, একজন এলাকাবাসী বাদী মামলাটি হয়ে করেছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে নিহত ছাত্রদল নেতার নাম বাদ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।