সিলেটের স্বায়ত্ব শাসন- নতুবা স্বাধীনতা- অন্য জেলার লোকদেরকে ভালোবাসি শ্রদ্ধা করি—।
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৫:২৯,অপরাহ্ন ২৩ মে ২০২০ | সংবাদটি ২৩৬৫৫ বার পঠিত
(এক) রবিন্দ্রনাথ বলেছিলেন তার সমস্ত সৃষ্টির কথা মানুষ যদি একদিন ভূলেও যায় তবুও তার গানের মৃত্যু হবেনা। বাঙালীকে তার গান গাইতেই হবে।
সিলেটকে সিলেটের মানুষের অবদানকে যদি বাংলাদেশ ছোট করে দেখে তাহলে সিলেটের মৃত্যু হবেনা। স্বাধীনতার পর ১১ পাউন্ডের বাংলাদেশ ব্যংকের রিজার্ভ থেকে হাফ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত নেওয়া সে-তো আমাদের লন্ডন প্রবাসী সিলেটি বাপ চাচাদের অবদান। সেদিন আর কেউ প্রবাসী ছিলেননা। বাংলাদেশ বিমানের প্রথম উড়োজাহাজটি ক্রয়ের পয়সার যোগান দিয়েছিলেন লন্ডন প্রবাসী সিলেটিরা। অতএব যে যাই বলুন সিলেটিদের অবদানের ইতিহাস স্বরন রাখতে হবে। সিলেটিদের গান বাঙালীদের গাইতেই হবে।
(দুই) লন্ডনে বাঙালী কমিউনিটি গড়ে[ তোলার জন্য প্রথম শহীদ আলতাব আলী সিলেটেরই লোক। এই কমিউনিটি তো একদিনে গড়ে উঠেনি। তিলে তিলে গড়ে উঠেছে। ইষ্ট লন্ডনে আমাদের মা চাচীদের উপরে কিছু সংখ্যক সাদা বর্ণবাদীরা যে নেপী ফেলে দিত বিল্ডিংএর উপর থেকে সে ইতিহাস কয়জনের জানা? ইষ্ট লন্ডনের ব্রিকলেইনের যে পার-টাইম পুলিশ ষ্টেশনটি রয়েছে সেটির ইতিহাস কয়জন জানেন? একটু জেনে নেয়া দরকার নয় কি? এই পুলিশ ষ্টেশনের আশে-পাশেই আমাদের পূর্ব পুরুষরা বর্ণবাদীদের সাথে মারামারি করেছেন। ব্লাকবেল্ট খ্যাত সিলেটের সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আমার বন্ধু মরহুম আজাদের বড় ভাই মরহুম নেজাবত মিয়া নিয়াজী ভাইকে পুলিশ কেন বেন্ড করেছিল সেই ইতিহাস অনেকেরই অজানা। আজকে অনেকেই বর্ণবাদী আন্দোলনের নেতা সেজেছেন। সবার অবগতির জন্য বলি নিয়াজি ভাই মারা যাওয়ার অনেক আগে আমাকে একদিন তার ব্রিকলেইনের বাসায় বলেছিলেন কারা বর্ণবাদী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন আর কারা বাংলাদেশের ভূয়া মুক্তিযুদ্ধাদের মত বর্ণবাদী আন্দোলনের নেতা সেজে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে বেড়ান।
(তিন) ৭০ দশকের শেষের দিকে আমাদের পূর্ব পুরুষরাই তো বর্ণবাদীদের ইষ্ট লন্ডন থেকে মেরে বিদায় করে দিয়ে আজকে বৃটিশ বাঙালীদের জন্য এ এলাকাকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলেছেন। কেউ কেউ এখনো জীবিত তাদের কথা কয়জন জানেন? সমালোচনার আগে এসব ইতিহাস জেনে নেয়া উচিৎ নয় কি? ৯০ দশকের শেষ দিকে ব্রিকলেইনকে বাংলা টাউন নামকরন করতে গিয়ে কি পরিমাণ কষ্ট করতে হয়েছে সেটির ইতিহাস তো অনেকেরই অজানা। তারপরও যখন বাংলা টাউন ঘোষনা করা হলো, আমরা খুশী হলাম। কিছুুদিন যেতে না যেতেই ইষ্ট লন্ডন এডভাটাইজার নিউজ করেছিল “বাংলা টাউন ভিটেন“ অর্থাৎ বাংল্ াটাউন পরাজিত। তৎকালীন সময়ের কাউন্সিলর কেভিন মটন বলেছিলেন বাংলা টাউন ওয়েল তট নয়। এটা সময়ের দাবী ছিল। সময় শেষ হলে এটিও শেষ হয়ে যাবে। সে খবরটি ইষ্ট লন্ডন এডভারটাইজারে প্রকাশিত হলে আমি সাপ্তাহিক জনমতের অগ্রজ সাংবাদিক (বর্তমানে আওয়ামী সাংবাদিক) সুজাত মনসুর ভাইকে ফোন করে বলেছিলাম সুজাত ভাই- ইষ্ট লন্ডন এডভাটাইজারে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে বাংলা টাউনের ব্যপারে আপনি দেখুন। সুজাত ভাই উত্তর দিয়েছিলেন, ফয়সল আমি খুবই ব্যস্ত আব্দুল গাফফার চৌধুরী- গাফফার ভাইর বাংলাদেশ বিষয়ক লেখা নিয়ে, পারলে তোমি সংবাদটি নিয়ে জনমতে চলে আসো, আমি নিউজটি টাইপ করে যেহেতু আজ বুধবার ছেড়ে দিব, পত্রিকা প্রতি বৃহস্পতিবারে বাজারে আসে। আমি জনমতে পৌছে নিউজটি লিখে দিলে সুজাত ভাই যতœ সহকারে ব্লাক বর্ডার দিয়ে আমার নাম যুক্ত করে প্রথম পৃষ্টায় নিউজ করেছিলেন “সেইভ দ্য বাংলা টাউন“ জনমতে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর আমাদের কমিউনিটি নেতাদের সেদিন টনক নড়েছিল। স্মৃতি যদি আমার সাথে প্রতারণা না করে তৎকালীন সময়ে কমিউনিটির বেশ কিছু নেতৃবৃন্দ এমএরহিম ভাই সহ বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতা, বাউন্ডারী কমিশনে বাংলা টাউনের নাম মুছে ফেলার বিরুদ্ধে এপিল করেছিলেন এবং মানুষের দস্তখত নিয়ে পিটিশিন করেছিলেন। সেই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতেই বাউন্ডারী কমিশন স্পিটালফিল্ডস ওয়ার্ডের নাম পরিবর্তন করে স্পিটালফিল্ডস এন্ড বাংলা টাউন নামকরন করেছিল। সেটি কয়জন জানেন? বাংলা টাউন কাগজে তাকলেও বাস্তবতায় নেই। ২০০৭ এ টাওয়ার-হ্যমলেটস কাউন্সিলের তৎকালীন লিডার প্রপেসার মাইকেল কীথকে অনুরোধ করেছিলাম বাংলা টাউন লিখে ব্রিকলেইনের সম্মুখে একটি সাইনবোড টানানোর জন্য, কিন্তু কে শুনে কার কথা। তারপর টেমসের পানি গড়িয়ে আটলান্টীকে প্রবাহিত হয়েছে। টাওয়ার হ্যমলেটস কাউন্সিল লিডার লিড কাউন্সিল থেকে মেয়র লিড কাউন্সিল হলো, বাঙালী মেয়র হলেন লুৎফুর রহমান। অনেকেই সুযোগ সুবিধা নিলেন মেয়র লুৎফুর রহমান সাহেবের কাছ থেকে। কিন্তু বাংলা টাউনের গেইট আর বাংলা- ইংরেজীতে কেউ লিখতে পারলেন না। বর্তমানে যারা কাউন্সিলর লোক মুখে শুনেছি তারা নাকি বেশীরভাগই মেয়র জন বিগসের চামচা। ইয়েস মিনিষ্টার টাইপের। তাদেরকে চামচা বললে আবার তেলে বেগুনে জেলে উঠেন তারা।
(চার) সে যাক যেদিন তাজমহল তৈরী শেষ হলো সেদিন মমতাজের মৃত্যুর জন্য শাহজাহান খুশীই হয়েছিলেন। তার স্বপ্নকে অমর করার জন্য এই মৃত্যুর দরকার ছিল। এই মৃত্যুই মমতাজের সবচেয়ে বড় প্রেমের দান। তাজ মহলে শাহজাহানের শোক প্রকাশ পায়নি, তার আনন্দ রুপ ধরেছে।
অনেকেই বলেন এটি রবিন্দ্রনাথের শেষের কবিতায় নাকি বলা হয়েছে। আমি তার কোনো সত্যতা খোজে পাইনি। রবীন্দ্রনাথ এভাবে লিখতে পারেন আমার বিশ্বাস হয়না। তারপরও বলতে হবে শাহাজাহানের অমর কীর্তির পরও শাহাজাহান কিন্তু প্রেম প্রেম করেছেন। ভালোবেসেছেন আবার বিয়েও করেছেন। মেয়েরা তার স্বামীকে প্রায়ই বলে আমি মরে গেলে তোমি ৪০ দিন পরেই বিয়ে করে ফেলবে। আমি মনে মনে বলি ৪০ দিন তো অনেক লম্বা সময় ৪ দিন। ৪দিন পরেই বিয়ে করা উচিৎ। সে বিতর্কে যেতে চাইনা। তাহলে আরেকটি বিতর্ক শুরু হবে। আমার আফসোস তাজমহল কিন্তু শাহজাহানের স্ত্রী দেখে যেতে পারেননি। আমিও বোধহয় বাংলা টাউনের বাংলা এবং ইংরেজীতে লেখা একটি সাইনবোড দেখে যেতে পারবো-না!!! আমার আফসোস থাকবে এখনকার বড় বড় কবি সাহিত্যিকরা যে বাংলা টাউনের বুকের উপর দিয়ে হাটে সে বাংলা টাউনের ইতিহাস সে জানেনা। সে মনে করে দেশ থেকে কবি সাহিত্যিক নিয়ে এসে এখানে একটি প্রগ্রাম করে ফেললেই এবং ফেইসবুকে সে অনুষ্টানের ছবি দিয়ে দিলেই ষোল কলা পূর্ণ হয়ে গেল। তিনি রচনা করে ফেললেন গৌরব জনক এক ইতিহাসের, যে ইতিহাস ওয়ার্ল্ড মিউজিয়ামে স্থান পাবে। আফসোস।
(পাচ) আমার সিলেটি নন সিলেটি লেখাটি নিয়ে অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন দুঃখ পেয়েছেন। আমার সমালোচনা করেছেন অনেকেই। করতেই পারেন। সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা আমার আছে। কিন্তু সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকেই আমার ব্যাক্তিগত চরিত্র নিয়েও কথা বলেছেন। কেউ কেউ লেখালেখির বিষয়ে টেলিভিশনের বিষয়েও জ্ঞান দান করার চেষ্টা করেছেন। এমনকি সাংবাদিকতার বিষয়েও জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমি আমাদের সমাজের মানুষদের একটি বিষয় লক্ষ করেছি তারা যখন সমালোচনা করেন তখন নিজের দিকে কেউ তাকাননা, বা তাকাতে চাননা। ভূলেও একবার নিজেকে জিজ্ঞাস করেননা তিনি কে? কোথা থেকে এসে তিনি কার সমালোচনা করছেন? দোষে গুনে মিলেই মানুষ। বৃটিশরা অথবা পশ্চিমা বিশ্ব কেন উন্নতী করেছে কারন তারা স্থান কাল পাত্র বুঝে। একটি ঘটনার কথা বলি। আমি তখন রেষ্টুরেন্টে কাজ করতাম। ৯০ দশকের কথা। লন্ডনের ভিক্টোরিয়া ষ্টেশনের পাশ থেকে কোচে যাবো আমি অক্সোফোর্ডে। আমি তখন অক্সফোর্ডের উয়িটনীতে আমার বন্ধু-আতœীয় ইসলাম ভাইর রেষ্টেুরেন্টে কাজ করতাম। কোচে উঠে দেখি ড্রাইভার সাহেব পত্রিকা পড়ছেন। আমিই প্রথম যাত্রী। খাতির জমানের জন্য বলেছিলাম তোমি কি নিয়মিত নিউজ-পেপার পড়ো? ড্রাইভার বলেছিলেন কেউ যদি ফেলে যায় তাহলে পড়ি। বলেছিলাম বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বৃটেনকে কি ঠিকমত নেতৃত্ব দিচ্ছেন? ড্রাইভার হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত কথা বলার সাহস বা যোগ্যতা কোনটিই আমার নেই। তিনি পত্রিকার ভিতরের একটি কলামের কাগজটুকু আমাকে হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন তোমি এটি পড়লে বুঝে নিতে পারবে সরকার কি রকম দেশ চালাচ্ছে। আমি কাগজটি নিয়ে চলে আসছি ড্রাইভার অপলক দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকালেন। আমি বুঝলাম ইংলিশ ড্রাইভার আমাকে পাগলই ভাবছে। কারন আমার পরনের কাপর চোপর দেখে তার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল যে আমি কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করি। ড্রাইভারের তাকানো দেখে সাহস পাইনি জিজ্ঞাস করতে কেন তিনি এভাবে তাকাচ্ছেন———।
(ছয়) মাহি ফেরাদউস জলিল সাহেবকে নিয়ে লেখা আমার কলাম পড়ে যারা সমালোচনা করেছেন তাদের সমালোচনার জবাব দেওয়ার সাহস এবং যোগ্যতা আমার কোনটিই নেই। তবে সবিনয়ে একটি অনুরোধ করবো একজন টেলিভিশন মালিকের সমালোচনা করার আগে আপনি একটি টেলিভিশন করে ১৫/২০ বছর চালিয়ে তারপর কথা বলুন প্লিজ। এক পাউন্ড দিয়ে ডমিন ক্রয় করে অনলাইন পোর্টাল করে অথবা বিনাপয়সায় ফেইসবুকে লিখে দিয়ে কারো চোদ্দ গোষ্টী উদ্ধার করা এক জিনিস আর দেড় দুই মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে জিটিভি সনি টিভির দাপটকে বাঙালী কমিউনিটি থেকে বিদায় করে টেলিভিশন মিডিয়া চালানো আরেক জিনিস। আমি বেশ আগে লিখেছিলাম টেলিভিশন চালাতে গিয়ে আমার কতটাকা লোন হয়েছে কতটাকা খরচ হয়েছে। একজন আমার লেখার নীচে মন্তব্য করেছিলেন এসব মিথ্যা কথা। যিনি লিখেছেন খোজ খবর নিয়ে জেনেছি তিনি বিয়ে করে এদেশে এসেছেন এবং আসার পর থেকেই কিন্তু তিনি কাজও করছেন এবং বেনিফিটও নিচ্ছেন। আমার তো টেলিভিশন বন্ধ হওয়ার পর থেকে গত দুবছর না যেতে পারছি কাজে না যেতে পারছি বেনিফিটে।
(সাত) যাক এসব লিখে পাঠকের বিরক্তির কারন হতে চাইনা। আমার বেশ কিছু সিলেটের বাইরের বন্ধু বান্ধব শুভানুধ্যায়ি আমার গত লেখায় কষ্ট পেয়েছেন। যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে আমার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে বা লিখতে পছন্দ করিনা। তবে লেখায় অনেক সময় সমালোচনা চলে আসে। সে সমালোচনা ব্যাক্তিগত কোনো সমালোচনা নয়, সেটি সমাজকে কেন্দ্র করেই, এ সহজ বিষয়টি যারা বুঝেননা তারা দয়া করে আরো কিছু পড়াশুনা করে নিলে তা যেমন নিজের জন্য মঙ্গল তেমনি সমাজের জন্যও মঙ্গলজনক হবে। এর আগে লিখেছিলাম বাংলাদেশী মহিলারা ব্রেইনলেস। শুধু প্রেম করতে পারে- সারা গিলভার্ট হতে পারেনা। সেখানেও কেউ কেউ কষ্ট পেয়েছেন। ভাবছি লেখালেখি ছেড়ে দেব। কারন এভাবে যদি প্রত্যেকটি লেখায় কষ্ট পান তাহলে তো লিখে কি লাভ? অথবা লেখার ধরন পাল্টাতে হবে। সবাইকে বলতে হবে আপনি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর, যিনি দেখতে সুন্দর অথবা সুন্দরী তাকে তো বলতে হবে, আর যিনি সুন্দর অথবা সুন্দরী নন তাকেও বলতে হবে আপনাকে দেখতে সালমান খান আর রেখার মত লাগছে। মোট কথা আমাকেও টাওয়ার হ্যমলেটসের বেশ কিছু কাউন্সিলরদের মত চামচামীর অভিনয় করতে হবে।
(আট) আমি লিখেছিলাম আমি বঙ্গবন্ধু হতে আসিনি, আমি সিলেট স্বাধীন করতেও আসিনি। এটি নিয়েও নাকি সমালোচনা হয়েছে। বলা হচ্ছে আমি সিলেটের স্বাধীনতা ঘোষনা করে ফেলেছি। সিলেটের স্বাধীনতা আমি ঘোষনা করিনি। আমি স্বায়ত্ব শাসন চাই। সরকার মহোদয়ের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ দয়া করে সিলেটকে স্বায়ত্ব শাসন দিয়ে বাধিত করুন।
যারা সরকার সমর্থক যাদের বাড়ী সিলেটে তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ আমাকে কোনো অবস্থাতেই হাইকোট সুপ্রিম কোট দেখানোর চেষ্টা করবেননা। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা দেখানোর চেষ্টা করবেননা। সিলেটি রাজাকার হওয়ার চেষ্টা করবেননা প্লিজ। আমি আগামী ছয়মাস দেখবো সরকার কি করেন সিলেটের ব্যপারে। ৬ মাসের মধ্যে যদি স্বায়ত্ব শাসন না দেয় সরকার তাহলে পরবর্তী কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে। ঢাকায় রাজউক আছে চট্রগ্রামেও রাউজকের মত উন্নয়ন সংস্থা আছে। কিন্তু সিলেটে তার কিছুই নেই। সিলেট একটি দুর্গন্ধময় আবর্জনার জনপদ। সিলেট এক অবহেলিত জনপদের নাম। আমাকে অনেকে বলেন দেশে যান না আপনি? আমি কিছুই বলিনা। আজ বলি- দেশে যাবো কি করে? যে দেশে কোনো কিছুর ঠিক নেই সে দেশে আমি যেতে চাইনা। তবে যাবো, সিলেটকে স্বায়ত্ব শাসন দিলে যাবো- আর না দিলে সিলেটকে স্বাধীন করে যাবো। তবে আমি স্বায়ত্ব শাসনের অপেক্ষায় রইলাম আগামী ৬ মাস। সবাই ভালো থাকবেন। সবার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা।
শেষ কথাঃ আমার লেখার ব্যপারে কেউ যদি ভিন্নমত পোষন করেন তহালে অবশ্যই আপনার লেখা বাংলা স্টেটমেন্ট বরাবরে পাঠাতে হবে। আমাকেও সরাসরি পাঠাতে পারেন। কথা দিচ্ছি লেখায় যদি কোনো রকম অকথ্য ভাষায় গালাগালি না থাকে তাহলে সম্পাদনা ছাড়াই আমি ছেপে দিবো। কারন আমার সমালোচনা সয্য করার ক্ষমতা আছে।
লেখক সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
লন্ডন ২৩ শে- মে ২০২০ ইংরেজী শুক্রবার।
Email rafcbanglastatement@yahoo.com