ইংল্যান্ডের স্থানীয় সরকার নির্বাচন “১৪৬ টি আসনের মধ্যে পুলিশি পহারা ছিলো শুধু বাঙ্গালী এলাকায়”
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১২:৪৫,অপরাহ্ন ০৮ মে ২০২২ | সংবাদটি ৪৫৭ বার পঠিত
বাংলা ভাষায় কিছু প্রবাদ আছে,যাহা চীর সত্য।যেমনঃ”বেটি ও মাটি বিবাদের ঘটি”
“যেখানে গুড় সেখানেই পিপড়া”
“বাঙ্গালী যেখানে সকল ঝঞ্জাট সেখানে” ইত্যাদি।
তীরন্দাজের ছুঁড়া তীর আর সৈনিকের ছুঁড়া বারুদের গতি যেমন ব্যাঘাত ঘটানো যায়না,তেমনি সে সকল প্রবাদের সত্যতা ও কটাক্ষ করা যায়না।
গতকাল ৫ মেয়ে বৃহস্পতিবার।সমগ্র ইংল্যান্ড জুড়ে চলছিলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন।এ নির্বাচনে গ্রেটার লন্ডনে ৩২ টি সহ সারা দেশে সর্বমোট ১৪৬ টি কাউন্সিলে নির্বাচন হয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন মানে বাসের খুটিতে রসি বেধে বেড়া, বাস বেধে বেড়া,পুলিশ,বিজিবি,আর্মি সহ মানা বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনী আর লাঠিপেটা,চারদিকে কারফিউ আর সেই সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করা।তা ও আবার যদি ভাগ্যে থেকে তবে।অন্যতায় দয়াল বাবার অদৃশ্য দয়ায় আগের রাতেই ভোট হাওয়া হয়ে যায়।সে ক্ষেত্রে শুধু লাইনে দাঁড়িয়ে বৃথা কষ্ট করা।
ইংল্যান্ডের স্থানীয় সহ জাতীয় পর্যন্ত সকল নির্বাচনই হয় কোন ধরণের বাহিনী,রসি,বাস আর লাঠিপেটা ছাড়া।তবে রাজধানী লন্ডন শহর ঘেঁষা টাওয়ার হেমলেট কাউন্সিলর বেলায় সে আইন ভিন্ন।কারণ এখানকার বাসিন্দা,মোট বসবাস কারী জনতার বেশির ভাগই বাঙ্গালী।এখানকার নেতারাও বাঙ্গালী।
কথা উঠেছে,কেউ কেউ বলেন এখানকার জননেতাদের বেশীরভাগই এদেশের ভাষায় সুউচ্চ সুরে কথা বলতে পারেন না।তাই বলে তারা নাকি তেল মারা স্টাইলের রাজনীতি করেন।এদেশের সাদা বর্ণের নেতারা সে কথা বুঝে গেছে।তাই তারা সে সকল নেতাদের সঙ্গে একধরনের গোলাম-মালিক সুলভ আচরণ করে থাকেন।
ইংল্যান্ডের ১৪৬ টি কাউন্সিলের মধ্যে একমাত্র টাওয়ার হেমলেট কাউন্সিলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।নির্বাচনের দিনে কেন্দ্রের সামনে বিভিন্ন দলের বাঙ্গালী সমর্থকেরা দলবেঁধে দাঁড়িয়ে থাকলেন।এতেকরে ভোটাররা নানা ভাবে হয়রানির শিকার হন।স্থানীয় সহ সাদা বর্ণের ভিনদেশী লোকেরা তা সুন্দর ভাবে নেন না।এই ধরণের আচরণে বাংলা ও বাঙ্গালীর মানক্ষুন্ন হয়।
এবারের নির্বাচনের দিন কেন্দ্রের সামনে দুপক্ষের মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ও ঘটেছে।সে কারনে দেশটির স্থায়ী বাসিন্দারা বাঙ্গালী সমাজকে ঘৃনার চোখে দেখে।
সত্যি বাঙালী জাতি একটি অদ্ভুত জাতি।এমন আচরণের কারণে একদিন হয়তো বাঙ্গালী সমাজের সরব উপস্থিতি নিরবচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
লেখক
এস এম শামসুর সুমেল
সাংবাদিক
সাংস্কৃতি কর্মী
লন্ডন
ইমেইল ঃ shamsursumel@yahoo.com