ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৮নং ওয়ার্ড শিয়ালউড়ী বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী প্রস্তুতী ও পরামর্শ সভার আয়োজন গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র প্রথম মত বিনিময় সভা ও নৈশভোজ। যাত্রী আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে হরষপুর পর্যন্ত আন্দোলন করলেও মৌলভীবাজার লাভবান হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মো. ফয়সল মাধবপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-চুরির মামলা চাঞ্চল্যকর জিয়া হত্যা: দীর্ঘ এক বছর পর আপন ভাই বাবুল গ্রেফতার, পরিবারের দিকেই সন্দেহের তীর গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র দ্বীবার্ষিক সম্মেলন ও নতুন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রেলের টিকেট ঘরে বসে বুকিং আর নয়, স্টেশনে গেলেই “দৈত্যের” হাতে মিলবে রেলের টিকিট! আমিরাতে লটারি জিতে একসঙ্গে ভাগ্য খুলে গেল দুই বাংলাদেশির মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম

সৌদি আরবে গুড়িয়ে দেওয়া হলো সন্ত্রাসী পরিবারের আস্তানা


সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের কাতিফ এলাকার আল-আওয়ামীয়া নামক স্থানে একই পরিবারের ছয় সদস্যের এক সন্ত্রাসী দলকে শনাক্ত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির গণমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সন্ত্রাসী সন্দেহে গত বুধবার মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিরাপত্তা বাহিনী একই পরিবারের ছয় জনকে সন্ত্রাসী হিসেবে শনাক্ত করে এবং তাদের আস্তানা ধ্বংস করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উন্মুক্তস্থানে মানুষের ওপর গুলি করায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজকে খুঁজছিল। এছাড়াও সে কাতিফে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

ওই সন্ত্রাসী দলের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ আলী আব্দুল রহিম আল-ফারাজ। তিনি মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজের বাবা। গত বুধবার আওয়ামীয়ায় নিজ বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তিনি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মাজেদ আলী আব্দুলরহিম আল ফারাজ সন্ত্রাসী দলের আরেক সদস্য। তবে তাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আটক করতে পারেনি। তার ভাই আব্দুল রহীমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তাকে খুঁজছে। তার অপরাধের মধ্যে রয়েছে- পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া, এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং অস্ত্র লুট করা।

সালমান আলী সালমান আর ফারাজ সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মোস্ট ওয়ানটেড ২৩ আসামির অন্যতম। ভাই আব্দুল রহিমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তাকেও খুঁজছে।

এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আলী বিন আহমাদ আল-ফারাজ এবং তার চাচাতো ভাই হুসাইন মদন আল ফারাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আল ফারাজ পরিবার আওয়ামীয়ার পার্শ্ববর্তী আল মাসুরায় বাস করে। পূর্ব প্রদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৮নং ওয়ার্ড শিয়ালউড়ী বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী প্রস্তুতী ও পরামর্শ সভার আয়োজন

সৌদি আরবে গুড়িয়ে দেওয়া হলো সন্ত্রাসী পরিবারের আস্তানা

আপডেট সময় : ০৬:০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৭


সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের কাতিফ এলাকার আল-আওয়ামীয়া নামক স্থানে একই পরিবারের ছয় সদস্যের এক সন্ত্রাসী দলকে শনাক্ত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির গণমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সন্ত্রাসী সন্দেহে গত বুধবার মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিরাপত্তা বাহিনী একই পরিবারের ছয় জনকে সন্ত্রাসী হিসেবে শনাক্ত করে এবং তাদের আস্তানা ধ্বংস করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উন্মুক্তস্থানে মানুষের ওপর গুলি করায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজকে খুঁজছিল। এছাড়াও সে কাতিফে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

ওই সন্ত্রাসী দলের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ আলী আব্দুল রহিম আল-ফারাজ। তিনি মোহাম্মদ হুসাইন আল-ফারাজের বাবা। গত বুধবার আওয়ামীয়ায় নিজ বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তিনি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মাজেদ আলী আব্দুলরহিম আল ফারাজ সন্ত্রাসী দলের আরেক সদস্য। তবে তাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আটক করতে পারেনি। তার ভাই আব্দুল রহীমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তাকে খুঁজছে। তার অপরাধের মধ্যে রয়েছে- পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া, এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং অস্ত্র লুট করা।

সালমান আলী সালমান আর ফারাজ সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মোস্ট ওয়ানটেড ২৩ আসামির অন্যতম। ভাই আব্দুল রহিমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তাকেও খুঁজছে।

এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আলী বিন আহমাদ আল-ফারাজ এবং তার চাচাতো ভাই হুসাইন মদন আল ফারাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আল ফারাজ পরিবার আওয়ামীয়ার পার্শ্ববর্তী আল মাসুরায় বাস করে। পূর্ব প্রদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।