ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৮নং ওয়ার্ড শিয়ালউড়ী বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী প্রস্তুতী ও পরামর্শ সভার আয়োজন গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র প্রথম মত বিনিময় সভা ও নৈশভোজ। যাত্রী আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে হরষপুর পর্যন্ত আন্দোলন করলেও মৌলভীবাজার লাভবান হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মো. ফয়সল মাধবপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি-চুরির মামলা চাঞ্চল্যকর জিয়া হত্যা: দীর্ঘ এক বছর পর আপন ভাই বাবুল গ্রেফতার, পরিবারের দিকেই সন্দেহের তীর গোপশহর প্রবাসী ট্রাস্ট ইউকে’র দ্বীবার্ষিক সম্মেলন ও নতুন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রেলের টিকেট ঘরে বসে বুকিং আর নয়, স্টেশনে গেলেই “দৈত্যের” হাতে মিলবে রেলের টিকিট! আমিরাতে লটারি জিতে একসঙ্গে ভাগ্য খুলে গেল দুই বাংলাদেশির মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম

জয়ন্তিকা-উপবন ও পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস আধুনিকায়ন

সিলেটের রেলপথের দুটি ট্রেন নতুন বগি দিয়ে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারা ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেসের বগি সংখ্যা বাড়িয়ে এ আধুনিকায়ন করা করছেন। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোবাইল ফোনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক রেলওয়ের নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন জয়ন্তিকা ও উপবন ১৬টি বগি দিয়ে চালানো হবে। একইভাবে এ মাসেই সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে বগি সংখ্যা বাড়‍ানো হবে।

দীর্ঘদিন থেকে এই চারটি ট্রেনে বগি সংকট ছিলো। যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনা করে রেলওয়ে এখন বগি বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করা হবে।রেলমন্ত্রী জানান, ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের তুর্ণা প্রভাতীসহ অন্য ট্রেনগুলো থেকে অবমুক্ত করা বগি দিয়েই চালানো হবে জয়ন্তিকা ও উপবন। ২৩ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে এই বগি চলা শুরু করবে।

নতুন বগি বাংলাদেশে এলে প্রথমেই সিলেট রুটের ট্রেনে সংযোজন করা হবে, জানান রেলমন্ত্রী।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিলেট-চট্টগ্রামের প্রাণভোমরা হিসেবে পরিচিত পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি দীঘদিন ধরে অবহেলিত ছিলো। অনেক যাত্রী অভিযোগ জানান, ট্রেন দু’টির বেশিরভাগ আসনই শোভন শ্রেণীর। ১০ ঘণ্টা কোমর সোজা করে ৩৭৭ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ খুবই কষ্টের।

উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম ছাড়ে পৌনে ১০টায় এবং সিলেট পৌঁছে ভোর ৬টা ৫৫ মিনিটে। আবার সিলেট ছাড়ে রাত ৯টা ২০ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম পৌঁছে ৬টা ৩৫ মিনিটে।

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেট ছাড়ে সকাল সোয়া ১০টায় এবং চট্টগ্রাম পৌঁছে রাত ৮টায়। পাহাড়িকা চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছাড়ে সকাল সোয়া ৮টায় এবং সিলেটে পৌঁছে বিকেল সাড়ে ৫টায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস মাত্র একটি এসি চেয়ার, একটি নন এসি কেবিন, দু’টি শোভন চেয়ার ও একটি ডাইনিং শোভন চেয়ার, বাকিগুলো শোভন শ্রেণীর আসন নিয়ে চলছিলো।

অন্যদিকে জয়ন্তিকা ট্রেনে যাত্রীর চাপ থাকলেও প্রথম শ্রেণীর আসন ও এসি বগি ছিলো না। এখন নতুন করে বগি সংযোজনে আসন ও এসি আসন বাড়বে।

জয়ন্তিকা ঢাকা ছাড়ে দুপুর ১২টায় এবং সিলেট পৌঁছে রাত পৌনে ৮টায়। আগে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে সিলেটে ঢুকে পড়তো। আবার জয়ন্তিকা সিলেট ছাড়ে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকা আসে বিকেল ৪টা ২০মিনিটে।

উপবন ট্রেন ঢাকা ছাড়ে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে এবং সিলেট পৌঁছে ভোর সাড়ে ৫টায়। আবার সিলেট থেকে ছেড়ে আসে রাত ১০টায় এবং ঢাকা আসে ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৮নং ওয়ার্ড শিয়ালউড়ী বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী প্রস্তুতী ও পরামর্শ সভার আয়োজন

জয়ন্তিকা-উপবন ও পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস আধুনিকায়ন

আপডেট সময় : ০৭:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

সিলেটের রেলপথের দুটি ট্রেন নতুন বগি দিয়ে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারা ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেসের বগি সংখ্যা বাড়িয়ে এ আধুনিকায়ন করা করছেন। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোবাইল ফোনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক রেলওয়ের নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন জয়ন্তিকা ও উপবন ১৬টি বগি দিয়ে চালানো হবে। একইভাবে এ মাসেই সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে বগি সংখ্যা বাড়‍ানো হবে।

দীর্ঘদিন থেকে এই চারটি ট্রেনে বগি সংকট ছিলো। যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনা করে রেলওয়ে এখন বগি বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করা হবে।রেলমন্ত্রী জানান, ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের তুর্ণা প্রভাতীসহ অন্য ট্রেনগুলো থেকে অবমুক্ত করা বগি দিয়েই চালানো হবে জয়ন্তিকা ও উপবন। ২৩ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে এই বগি চলা শুরু করবে।

নতুন বগি বাংলাদেশে এলে প্রথমেই সিলেট রুটের ট্রেনে সংযোজন করা হবে, জানান রেলমন্ত্রী।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিলেট-চট্টগ্রামের প্রাণভোমরা হিসেবে পরিচিত পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি দীঘদিন ধরে অবহেলিত ছিলো। অনেক যাত্রী অভিযোগ জানান, ট্রেন দু’টির বেশিরভাগ আসনই শোভন শ্রেণীর। ১০ ঘণ্টা কোমর সোজা করে ৩৭৭ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ খুবই কষ্টের।

উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম ছাড়ে পৌনে ১০টায় এবং সিলেট পৌঁছে ভোর ৬টা ৫৫ মিনিটে। আবার সিলেট ছাড়ে রাত ৯টা ২০ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম পৌঁছে ৬টা ৩৫ মিনিটে।

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেট ছাড়ে সকাল সোয়া ১০টায় এবং চট্টগ্রাম পৌঁছে রাত ৮টায়। পাহাড়িকা চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছাড়ে সকাল সোয়া ৮টায় এবং সিলেটে পৌঁছে বিকেল সাড়ে ৫টায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস মাত্র একটি এসি চেয়ার, একটি নন এসি কেবিন, দু’টি শোভন চেয়ার ও একটি ডাইনিং শোভন চেয়ার, বাকিগুলো শোভন শ্রেণীর আসন নিয়ে চলছিলো।

অন্যদিকে জয়ন্তিকা ট্রেনে যাত্রীর চাপ থাকলেও প্রথম শ্রেণীর আসন ও এসি বগি ছিলো না। এখন নতুন করে বগি সংযোজনে আসন ও এসি আসন বাড়বে।

জয়ন্তিকা ঢাকা ছাড়ে দুপুর ১২টায় এবং সিলেট পৌঁছে রাত পৌনে ৮টায়। আগে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে সিলেটে ঢুকে পড়তো। আবার জয়ন্তিকা সিলেট ছাড়ে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকা আসে বিকেল ৪টা ২০মিনিটে।

উপবন ট্রেন ঢাকা ছাড়ে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে এবং সিলেট পৌঁছে ভোর সাড়ে ৫টায়। আবার সিলেট থেকে ছেড়ে আসে রাত ১০টায় এবং ঢাকা আসে ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে।