প্রতিনিধির নাম 
শাব্বীর আহমদ ফয়েজ : নেতাদের লড়াইয়ে আটকে গেল সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র কমিটি। গত এক সপ্তাহ্ ধরে ঢাকায় অবস্থান করে কমিটি অনুমোদন করাতে ব্যার্থ হয়ে সিলেট ফিরে গেলেন সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নাসিম হোসাই, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জ্বামান সেলিম।
অন্যদিকে দলের ত্যাগি ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের দাবী জানানো সিলেট বিএনপি’র ইলিয়াস আলী ও ডাক্তার শাহরিয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত চার শীর্ষ নেতা এখনো ঢাকায় অবস্থান করছেন।
সিলেট মহানগর বিএনপি’র কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিকটতম প্রতিদন্ধী কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপি’র নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকি, মহানগর বিএনপি’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি জেলা বিএনপি’র কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১ (এক) ভোটে পরাজিত আব্দুল আহাদ খান জামাল আজ সিলেট ফিরতে পারেন।
২০১৬ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারী সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিলে জেলার ৪টি ও মহানগরে ৩টি পদ ঘোষনা করা হয়। ১ (এক) মাসের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গের কথা থাকলেও ১ (এক) বছরেও জেলা ও মহানগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে না পারায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপাক্ষোভ ও অসন্তোষের জন্ম হয়।
অসন্তোষ ও বিদ্রোহ ঠেকাতে তড়িগড়ি করে গত সপ্তাহে নিজ অনুসারীদের দিয়ে চুপিসারে কমিটি অনুমোদনের জন্য ৪ (চার) নেতার ঢাকায় যাওয়ার সংবাদটি জানাজানি হলে ঢাকায় পাল্টা অবস্থান নেন প্রতিদ্বন্ধী নেতারা। তারা ঢাকায় অবস্থান করে কেন্দ্রীয় নেতাদের একপেশে কমিটি অনুমোদন না করে দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আন্দোলন সংগ্রামে যারা সক্রিয় ছিলেন মামলা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবি জানান।
সূত্র জানায় দাবির প্রেক্ষিতে বিএনপি’র হাই কমান্ডের নির্দেশে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: শাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও দিলদার হোসেন সেলিম ঢাকায় দফায় দফায় বৈঠক করেন।
দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সমস্যা সমাধানে একটি সাংগঠনিক প্রতিবেদনও জমা দেন তারা। এর পেক্ষিতে বুধবার কমিটি অনুমোদনের সম্ভবনা থাকলেও দুই পক্ষের অনমনীয় মনোভাবের কারণে আটকে যায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র কমিটি অনুমোদন প্রক্রিয়া। কবে নাগাদ কমিটি অনুমোদন হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই।
কমিটি আটকে যাওয়ায় অনেকটা ব্যর্থতা নিয়েই ইতিমধ্যে সিলেট ফিরেছেন আবুল কাহের শামীম, নাসিম হোসাইন, বদরুজ্জ্বামান সেলিম ও আলী আহমদ। অন্যদিকে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া নেতা কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, মিফতাহ সিদ্দিকি ও আব্দুল আহাদ খাঁন জামাল আজ সিলেট ফিরছেন।
গত এক সপ্তাহ ধরে সিলেট বিএনপি’র উত্তাপ ছিল ঢাকায়। গত এক সপ্তাহে দুপক্ষের হয়ে সিলেট বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, ডা: শাহরিয়ার চৌধুরী সহ অনেকেই ঢাকায় ছুটে যান এবং তাদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তুলে ধরেন।
সূত্র জানায় সিলেট বিএনপি’র কমিটি অনুমোদন নিয়ে যে দ্বন্দ দেখা দিয়েছে তা সহসা নিরসন না হলে সংঘাত সংঘর্ষেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
