বাংলাদেশ রেলওয়ের নানান অভিযোগের মাধ্যমে চলছে দেশের একমাত্র যান চলাচলের মাধ্যম রেলপথ। বর্তমান দেশের কোন স্থানীয় সরকার না থাকায় সড়কপথের বেহাল দশা তীব্র যানযটের কারণে জনগন চলাচলের মাধ্যম বেচে নিয়েছে রেলকে আর সেইসাথে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন অনেক দূর এগিয়েছে। রেলের টিকেট ব্যাংকিং থেকে শুরু করে হাসপাতাল কিংবা শিক্ষা—সবখানেই প্রযুক্তির ছোঁয়া। রেলও পিছিয়ে নেই! এখন ঘরে বসেই সহজে মোবাইল অ্যাপ বা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
কিন্তু বাস্তব চিত্রটা কি সত্যিই এতটা সহজ? অনেক যাত্রীদের অভিযোগ করছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এ্যাপে লগইন করলেও টিকিট পাওয়া যায় না! “No tickets available” বার্তা দেখিয়ে অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। অথচ স্টেশনে গেলেই দেখা যায়, অতিরিক্ত দামে সেই টিকিট সহজেই মিলে যাচ্ছে—তাও চোখের সামনেই। ফুটপাতের দোকানদারের হাতে যা আমার ভাষায় “দৈত্যের হাতে মিলবে রেলের টিকেট” আর যাত্রীদের ভাষায়, “এ যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ থেকে দৈত্য বের হয়ে টিকিট এনে দেয়!” শুধু ডাবল নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনগুণ দামেও টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদ, পূজা বা সরকারি ছুটির সময়ে এই বাণিজ্য চরম আকার ধারণ করে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, “আমরা অনিয়ম ঠেকাতে নিয়মিত মনিটরিং করছি।” কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়—এই অনিয়ম আসলে কে করছে? সিস্টেমের ত্রুটি, নাকি ভিতরের দালাল চক্রের হাত? জনমনে তাই প্রশ্ন—এই টিকিট বাণিজ্যের শেষ কোথায়? প্রযুক্তির যুগেও কি মানুষের মৌলিক সেবা পেতে ঘুষ বা বাড়তি টাকা দিতে হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, কঠোর নজরদারি, রেলওয়ে কর্মীদের ডিজিটাল আইডি ট্র্যাকিং এবং অনলাইন সিস্টেমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। শেষমেশ, সবাই একটাই চায়—
“অনলাইনে আর টিকিট নয়, স্টেশনে গিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়। আর না হোক প্রযুক্তিই আমাদের ভরসা!”
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন 












