আমরা এখন আর প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবি না
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৬:৩৪,অপরাহ্ন ১০ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৫৪৫ বার পঠিত
খেলাধুলা প্রতিনিধি,
লম্বা ছুটিতে আছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সেই সুযোগে পরিবার-পরিজন নিয়ে যেমন ব্যস্ততা তেমনি ব্যস্ততা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মডেলিংয়েও। এরমধ্যে তারকা খ্যাতির শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানের ব্যস্ততাটা অনেক বেশি। ঘরে-বাইরে এখন তাকে সমান তালেই ছুটতে হচ্ছে। বিশেষ করে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরকে তো সময় দিতে হচ্ছে আলাদাভাবে। তবে এ মাসের শেষ দিকে মাঠে ফিরবেন, আবারও হাতে তুলে নিবেন ব্যাট-বল। প্রস্তুতি নিতে হবে অস্ট্রেলিয়া মিশনের জন্য। অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের আগে প্রস্তুতি নিয়ে সাকিব বলেন, ‘কোন সিরিজের আগে যদি প্রস্তুতি ভাল করতে পারি তাহলে অবশ্যই তা ভাল খেলতে সাহায্য করে। আমাদের ভাল একটা সময় শেষ হলো। এখন আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। আমরা এভাবে অনুশীলন করবো যাতে করে আমাদের যখন পরবর্তী বড় একটা মওসুম আসছে তখন যেন আমরা সেটা ভালভাবে কাজে লাগাতে পারি।’
এরই মধ্যে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ভরাডুবিতে অনেক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। ক্রিকেটেপ্রেমীরা আশা করছেন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়াকে প্রচণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে। কেউ কেউ টেস্ট জয়ের স্বপ্নও দেখছেন। কিন্তু কেমন হবে অজিদের বিপক্ষে লড়াই? সাকিব অবশ্য এ নিয়ে আগাম কিছুই বলতে চান না। এখন তার ভাবনা শুধু পরিবার ও ছুটি। তিনি বলেন, ‘এখনও বলা মুশকিল। আমি যেটা বলছি যে আসলে এখন এগুলো নিয়ে কেউ ফোকাস করছি না। সবার ভাবনা এখন পরিবারকেন্দ্রিক, ছুটিকেন্দ্রিক। ছটিটা সবাই উপভোগ করার চেষ্টা করছে।’ জাতীয় দল ওয়ানডেতে যতটা ভাল করছে ততোটা ভাল করছে না টেস্টে। এই বাস্তবতা সবারই জানা। তবে সাকিব মনে করেন ওয়ানডের মতো টেস্টেও দল সঠিক পথেই হাঁটছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা সঠিক রাস্তাতেই আছি। আপনি যেটা বললেন ওয়ানডেতে ওটা খুব ভালভাবে প্রতিফলন হচ্ছে, কিন্তু টেস্টে হয়তো ভালভাবে হচ্ছে না। কিন্তু আমার মনে হয় বৃষ্টি না হলে হয়তো আমরা অনেক কিছু দেখতে পারতাম। যেটাতে আমরা বুঝতে পারতাম আমরা কতটুকু উন্নতি করেছি। যেহেতু বৃষ্টির কারণে আমাদের খেলাগুলো পুরো হয়নি তো ওই জায়গাটাতে এখনও আমরা সঠিকভাবে জানি না আমরা কতদূর গেছি। আমরা অনুভব করি যে, উন্নতি করছি। টেস্টে আশা করি পরবর্তীতে যখন খেলবো তখন যদি ভাল খেলি উন্নতিটা অনেক বেশি চোখে পড়বে।’
অস্ট্রেলিয়ার বাজে সময় যাচ্ছে। সেই সুযোগটা কি নিতে পারবে বাংলাদেশ? এ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমরা এখন চিন্তা করি যে, আমরা আমাদের সেরাটা কিভাবে দিতে পারি মাঠে এবং প্রতিদিন কিভাবে উন্নতি করতে পারি। আমরা এখন আসলে বেশি প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা করি না। আমরা যদি আমাদের খেলাটায় উন্নতি করতে থাকি যেভাবে করছি আমার কাছে মনে হয় খুবই ভাল লড়াই হবে।’ প্রতিটি মিশনেই দলের লক্ষ্য থাকে। আর তার পূর্ণতা পায় যখন ক্রিকেটাররা মাঠে তাদের ব্যক্তিগত অর্জনগুলো তুলে নিতে পারে। সাকিবও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এখনই তিনি নিজের কোন লক্ষ্য স্থির করেননি। তিনি বলেন, ‘এখনও কোন লক্ষ্য স্থির করিনি।’ এবার বাংলাদেশে আসছে না অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। এরই মধ্যে অ্যাশেজে বাজেভাবে হেরে দলের দলকে বিদায়ও বলে দিয়েছেন। কিন্তু এই গ্রেট ক্রিকেটারকে মিস করবেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘প্রথমত সে (ক্লার্ক) গ্রেট ক্রিকেটার, গ্রেট লিডার, খবুই ভালো একজন মানুষ। অবশ্যই ক্রিকেট ওকে মিস করবে। আরও অনেক ক্রিকেটারই আছেন সম্প্রতি যারা বিদায় নিয়েছেন তাদেরকেও মিস করবে। ও অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে ওর রেকর্ড ওর হয়ে কথা বলে। এখানে বড় করে কিছু বলার নেই।