রাজউকের নোটিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৩:৩১,অপরাহ্ন ১১ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৫০৯ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার,
রাজধানীর মিরপুর, রূপনগরসহ বেশ কিছু এলাকায় নকশাবহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। নোটিশকৃত এসব ভবনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভবনগুলো রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী করা হয়নি। এছাড়া ভবনগুলো নির্মাণের সময় ভবন অনুমোদনের যাবতীয় তথ্যসম্বলিত বিলবোড/সাইবোর্ড স্থাপনের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। নোটিশকৃত ভবনগুলো হল, মিরপুর এলাকার ৬ নং সেকশনস্থ ডি ব্লকের ২০ নং রোডের ২০ ও ক/৬ নং হোল্ডিং, সি ব্লকের ১৭ নং রোডের ২২৯-৩০ ও ২২৫-২৬ নং হোল্ডিং। রুপনগর এলাকার ১০ নং রোডের ১৪ নং হোল্ডিং, ১২ নং রোডের ১১ নং হোল্ডিং, ১৫ নং রোডের ৮ নং হোল্ডিং ও ১৮ নং রোডের ১০ নং হোল্ডিং এর ওপর নির্মানাধীন ভবন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর, রুপনগর, পল্লবী, শাহআলীসহ আশে-পাশের সমগ্র এলাকায় যত্রতত্র রাজউক অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। মাঝে মাঝে কিছু ভবন রয়েছে, যেগুলো রাজউকের নিয়মানুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ ভবনগুলোই রাজউককের নিয়ম-নীতিকে থোরাই তোয়াক্কা করে যে যার ইচ্ছেমত ভবন নির্মাণ করেছে বা করছে। এসব নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাজউক কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে নোটিশ প্রেরণ করলেও অদৃশ্য বা প্রভাবশালীদের দাপটের কারনে এসব নোটিশের কার্যকারিতা হারিয়ে যায়।
মিরপুর এলাকার নির্মানাধীন কিছু ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, ওই এলাকার প্রায় ভবনগুলোই পৌনে দুই কাঠা ভূমির উপর নির্মিত। এতটুকু ভূমিতে রাজউকের প্লান অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করলে লাভবান হওয়াতো দুরের কথা, ভবন নির্মানের খরচই ওঠানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়েই তারা নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করে থাকে। এছাড়া রাজউকেরই কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এই অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত।
ওই এলাকার অথরাইজড অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম। তাঁর সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখতে পেয়েছেন, সেখানকার প্রায় ভবনগুলোই নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মিত হয়েছে বা হচ্ছে। ভবন নির্মাণের সময় বিধি মোতাবেগ ভবন তৈরীর যাবতীয় তথ্যসহ বিলবোড/সাইবোর্ড দেয়ার কথা থাকলেও সেসব লাগানো হয়নি। তাই তিনি প্রাথমিকভাবে বেশকিছু ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। আর বাকীগুলোর বিরুদ্ধে নোটিশ প্রেরণের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো জানান, যেসব ভবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হবে সেসব ভবন অবশ্যই ভেঙ্গে ফেলা হবে।
রাজউক সূত্র জানায়, একটি ভবনের নকশা অনুমোদনের পর থেকে ভবনটি ঠিকমত তৈরী হচ্ছে কিনা তা দেখভালের দায়িত্বে থাকেন সংশ্লিষ্ট এলাকার একজন পরিদর্শক। তিনিই এসব ভবনের সমস্ত দায় দায়িত্ব বহন করেন। এক্ষেত্রে ওইসব পরিদর্শকরা মিলে গোপন একটি সিন্ডিকেট গঠন করেছে। যারা এসব অবৈধভাবে নির্মিত ভবন মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিয়ে এসব নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মানে তাদের সহায়তা করছে। মিরপুর এলাকায় পরিদর্শকের দায়িত্বে রয়েছেন ইন্সপেক্টর মোঃ শওকত হোসেন এবং রুপনগর এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন মোঃ মোস্তফা জামান । এ ব্যপারে এসব নোটিশকৃত ভবন সম্পর্কে জানতে তাঁদের সাথে টেলিফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কখনই ফোন রিসিভ করেননি।