জিএসপি পুনর্বহালে শর্ত পূরণের পরামর্শ দিলেন বার্নিকাট
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০৩:৫২,অপরাহ্ন ১৯ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৪৭০ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার,
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা বা জিএসপি ফিরে পেতে বেঁধে দেয়া শর্ত বাস্তবায়নে আরো অগ্রগতির পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট। তিনি বলেন, জিএসপি পুনর্বহালের জন্য যে ১৬টি কর্মপরিকল্পনা (শর্ত) দেয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও কিছু ক্ষেত্রে আরো অগ্রগতি করার প্রয়োজন। যেমন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের স্বাধীনতা প্রদান, কারখানা পরিদর্শন মূল্যায়ন তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নের মত বিষয়ে আরো অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রচেষ্টায় মার্কিন সরকার বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী আছে বলে তিনি জানান।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সাথে এক বৈঠকশেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছাড়াও কানাডার হাইকমিশনার বিনোট-পিয়েরি লারানি, ডেনিশ রাষ্ট্রদূত হ্যানি ফুগল ইসকেজার, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মার্টিন ভ্যান হুগস্ট্রাটেন ও যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (ডিএফআইডি) আবাসিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
সম্প্রতি ১২২টি স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করা হয়েছে। তবে এ তালিকায় বাংলাদেশ নেই। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের জেরে শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা মানে বাংলাদেশের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে জিএসপি স্থগিত করে দেশটি। এরপর জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালে মার্কিন সরকার বাংলাদেশকে ১৬টি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের শর্ত বেঁধে দেয়।
গতকালকের বৈঠক সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচ দেশের কূটনীতিকদের সাথে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি জিএসপি পুনর্বহালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ১৬টি শর্ত দিয়েছিল তা পূরণ করতে পেরেছি। শ্রম আইন বিধি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। আশা করি আগামী ২/১ সপ্তাহের মধ্যে এটি চূড়ান্ত হবে। আর এটি চূড়ান্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের শতভাগ শর্ত পূরণ করবে। তাই জিএসপি ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোন বাঁধা আছে বলে মনে করি না। বৈঠকে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক ও শ্রম সচিব মিকাইল শিপার উপস্থিত ছিলেন।