এদের নিয়ে আগামীর কথা ভাবছেন সালাউদ্দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৮:৫১,অপরাহ্ন ২০ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩১৫ বার পঠিত
স্পোর্টস রিপোর্টার,
ফুটবলের বড় কোন আসরে বাংলাদেশের সফলতা নেই এক যুগ ধরে। সর্বশেষ সাফ ফুটবলের শিরোপা জিতেছিল ২০০৩ সালে। এরপর আন্তর্জাতিক ফুটবলের নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, পাকিস্তানের মতো দলকে পরাস্ত করতে পারলেও কোন আসরে শিরোপার দেখা পাচ্ছিল না লাল-সবুজরা। অবশেষে কিশোর ফুটবলারদের হাত ধরে এক যুগের আক্ষেপ ঘুচেছে বাংলাদেশের। সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের শিরোপা জিতেছে স্বাগতিকরা। এমন শিরোপা জয়ে আপ্লুত বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও। সাফ সভাপতি হিসেবে কিশোর ফুটবলারদের হাতে ট্রফি তুলে দিতে পেরে নিজের কষ্ট লাঘবের কথাও বলছিলেন বাফুফে বস। তাইতো তিনি এদের নিয়ে ভাবছেন আগামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা। অথচ এত বড় অর্জনের কথা কাজী সালাউদ্দিনও কিন্তু টুর্নামেন্টের আগে ভাবতে পারেননি। সাফের বড়-ছোট প্রতি আসরে মার খেতে খেতে বাফুফে সভাপতিও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন। সাফের সভাপতি হিসেবে এটা তাঁর জন্য লজ্জারও বটে। তাই এ শিরোপা তাঁর জীবনেও ভীষণ আনন্দের এক মুহূর্ত, ‘আমার স্বপ্ন ছিল নিজের দলের হাতে সাফ ট্রফি তুলে দেয়ার। বারবার অন্য দেশকে সেটি তুলে দিতে হয়েছিল। এবার অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার মাধ্যমে আমার স্বপ্নটা অর্ধেক পূরণ হয়েছে। বাকিটা পূরণ হবে যদি ডিসেম্বরে সিনিয়র দলের হাতে ট্রফি তুলে দিতে পারি।’ ইতিমধ্যে আবার নেপালে শুরু হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ দল সেখানে রওনা হয়েছে শিরোপার স্বপ্ন নিয়ে। সেটা হলে বাংলাদেশের আরেকটি বড় অর্জন হবে। তবে সিলেটের অর্জনের পরও সালাউদ্দিন আবেগে ভাসছেন না। তাদের জন্য কোন বোনাসের ঘোষণা দিতে চান না বরং নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাইছেন, ‘আমি চাইলে তাদের টাকা-পয়সা দিয়ে খুশি করতে পারতাম। তারা এত ছোট যে, অর্থ পুরস্কার হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং তাদের আগামী চার বছরের জন্য বাফুফে একাডেমিতে রেখে আরও বড় ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তাদের জন্য একাডেমিতে সত্বর আনা হবে বিদেশী কোচিং স্টাফ। এটাই তাদের জন্য আমার পুরস্কার। এদিকে ট্রফি নিয়ে গতকাল ঢাকা ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দল। মিশন এবার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। শুরুতে ‘ডি’ গ্রুপে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান, সৌদি আরব ও আরব আমিরাত। কিন্তু দু’দিন আগে পাকিস্তান তাদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে তিন দল নিয়ে ডি গ্রুপের খেলা শুরু হবে ১৬ সেপ্টম্বর। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ওইদিন শাওনদের প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। ১৮ই সেপ্টেম্বব বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত।