দিপাইয়ে আলোকিত ওল্ড ট্র্যাফোর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক ,
549
লুইস ভ্যান গালের আস্থার প্রতিদান দিলের মেম্ফিস দিপাই। চলতি মওসুমের শুরুতে ৩১ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে ডাচ্‌ এ স্ট্রাইকারকে দলে ভিড়িয়েছেন তিনি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে নতুন মওসুমের প্রথম দুই ম্যাচ খেলেছেন। তবে গোল করতে পারেননি। কিন্তু ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের প্লে অফে কড়ায়-গণ্ডায় পূরণ করে দিলেন তা। ২১ বছর বয়সী এ ডাচ্‌ স্ট্রাইকারের আলোয় আলোকিত হলো পুরো ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজকে মঙ্গলবার ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যানইউর তিনটি গোলেই অবদান তরুণ দিপাইয়ের। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দুটি গোল করার পাশাপাশি অন্য গোলটিতে অ্যাসিস্ট করেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে এক নম্বর স্ট্রাইকার ওয়েইন রুনির পেছনে খেলানো হয় তাকে। কিন্তু এদিন তার জায়গা বদল করে বাঁ-দিকে খেলান কোচ ভ্যান গাল। আর কোচের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতার প্রমাণ দেন প্রথম ম্যাচেই। এদিন ম্যাচের ৮ মিনিটে অবশ্য ধাক্কা খায় ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানইউ। গোল বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে ফেলেন ম্যানইউর মাইকেল ক্যারিক। তবে ১৩ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান মেম্ফিস দিপাই। ২৫ গজ দূর থেকে তার নেয়া শটটি ছিল অসাধারণ। ম্যানইউতে খেলার ১৬৩ মিনিটে তিনি প্রথম গোল করলেন। এ ক্ষেত্রে ৭ নম্বর জার্সি পরে তিনি সাবেক খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে। ২০০৩-০৪ মওসুমে ম্যানইউতে খেলার ৪৮৯ মিনিট পর প্রথম গোল পান সাত নম্বর জার্সি পরিহিত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে ট্রেডমার্ক এ জার্সি পরে ম্যানইউকে সবচেয়ে দ্রুততম সময় ৫৯ মিনিটেই গোল করেন ডেভিড বেকহ্যাম। ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোল করার ক্ষমতা মঙ্গলবার ফের দেখালেন দিপাই। ক্যারিয়ারে সর্বশেষ ৩০ গোলের ৯ গোলই করলেন ডি-বক্সের বাইরে থেকে। ইংলিশ এ জায়ান্ট ক্লাবের হয়ে এটি তার প্রথম গোল। এরপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মাত্র ২ মিনিট আগে ম্যানইউকে এগিয়ে দেন দিপাই। আর ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে রেড ডেভিলদের বড় জয় নিশ্চিত করেন মারুয়ান ফেলাইনি। স্বদেশী ক্লাবের বিপক্ষে তার এ গোলে বল যোগান দেন তরুণ দিপাই। একই ম্যাচে দুই গোল ও এক গোলে অ্যাসিস্ট করার ঘটনা ম্যানইউতে সর্বশেষ ঘটেছিল ২০১৩ সালে। সেবার ওয়েইন রুনি এই কাজটি করেন। আর তার আগে ২০০৯ সালে বর্তমান রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ম্যানইউর হয়ে তিন গোলে অবদান রাখেন। মঙ্গলবার ক্লাব ব্রুজকে দাঁড়াতেই দেয়নি ম্যানইউ। তারা ৬৯ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে। আর প্রতিপক্ষের গোলমুখে ম্যানইউর ১৯ শটের বিপরীতে ক্লাব ব্রুজ মাত্র এক শট নিতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

K. A. Rahim Sablu