ডব্লিউডি হার্ডডিস্কে ‘রি-সার্টিফায়েড প্রতারণা’
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০০:৩৯,অপরাহ্ন ২৬ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩৯৬ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার,
অভিজ্ঞতা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীদের ক্ষপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন হার্ডডিস্ক ক্রেতারা। ‘রি-সার্টিফায়েড’ সত্যায়নের নামে বিশ্বসেরা হার্ডডিস্ক কোম্পানি ডব্লিউডি হার্ডডিস্ক নিয়ে চলছে এমন প্রতারণা। ডব্লিউডি হার্ডডিস্কের বাংলাদেশী পরিবেশক এবং প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার সোর্স দেশের বিভিন্ন আইটি মার্কেট অনুসন্ধানে ব্র্যান্ডেটির হার্ডডিস্ক নিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম খুঁজে পান।
সুত্র মতে, মেয়াদ উত্তীর্ণ, পুরোনো, ব্যবহৃত ও ত্রুটিপূর্ণ হার্ডডিস্ক নতুন করে মোড়কজাত করে সাশ্রয়ী দামের নামে দেশের বিভিন্ন আইটি মার্কেটে চলছে এই প্রতারণার মহোৎসব।
ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু নকল হার্ডডিস্ক সনাক্ত করেছে এবং বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছে। পাশাপাশি প্রতিটি আইটি মার্কেটে এ বিষয়ে চলছে সচেতনতা কার্যক্রম। আসল ডব্লিউডি হার্ডডিস্ক সনাক্তকরণ ও বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে ‘বাই ৪৮’ হলোগ্রাফিক স্টিকার।
এ বিষয়ে কম্পিউটার সোর্সের পণ্য ব্যবস্থাপক (ডব্লিউডি) ও স্পেশাল বিজনেস ইউনিট প্রধান মেহেদী জামান তানিম বলেন, কেবল ডব্লিউডি নয়, ৪ থেকে ৫ বছর আগে বন্ধ অথবা হার্ডডিস্ক তৈরিই করে না এমন নামের অনেক হার্ডডিস্কও বাজারে পাওয়া যায়।
তিনি জানান, ক্রেতারা হার্ডডিস্কের পেছনের লেখা কিংবা এর প্যাকেজিং যাচাই না করেই হার্ডডিস্ক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। এ ধরনের কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী নষ্ট হার্ডডিস্ক সংস্কার করে তা কম দামে বিক্রির প্রলোভন দেখান ক্রেতাদের। এছাড়া হার্ডিস্কের পেছনে সাধারণত ‘রি-সার্টিফায়েড’ লিখিত এসব রিফার্বিস হার্ডডিস্কে ছয় মাসের মধ্যে ক্রুটি দেখা দেয়। এরমাধ্যমে কেনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাচার হতে পারে।
বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেই হার্ডডিস্কের ক্ষেত্রে ‘বাই-৪৮’ সেবা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ক্রেতারা ডব্লিউডির আসল হার্ডডিস্ক চেনার পাশাপাশি সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে।