ঘরেই তৈরি করুন বনসাই
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৯:৩৪,অপরাহ্ন ২৭ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৫৫৪ বার পঠিত
বনসাই অর্থ জীবন্ত ভাস্কর্য্য। গাছকে নির্দিষ্ট একটি রূপ দেয়ার নামই বনসাই। বনসাইয়ের ইতিহাস বহু পুরনো। ধারণা করা হয়, প্রায় দুই হাজার বছর আগে চীনে বনসাইয়ের কালচার শুরু হয়। বর্তমানে সারা বিশ্বে এর সমান কদর রয়েছে। বনসাই করে পরিবেশ দুষণ রোধ করার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন এবং ঘরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করা যায়।
বনসাই করতে হলে
বর্ষা ঋতুর সময়েই বনসাইয়ের গাছ লাগানো উচিত। বনসাইয়ের জন্য মাটি বা চিনামাটির পাত্র কিংবা টব প্রয়োজন। পাত্র বা টবটির নিচের দিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিদ্র থাকতে হবে। গাছ তার দিয়ে বেঁধে রাখার জন্য কিনারা বরাবর ছিদ্র থাকতে হবে। মাটি তৈরির ক্ষেত্রে জৈব সারের পরিমাণ বেশি প্রয়োজন। সবক্ষেত্রেই দোআঁশ বা পলিমাটি ব্যবহার করা ভালো। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বনসাইয়েরও পরিবর্তন দেখা দেয়। ফুল-ফল উৎপন্ন হয়। গাছের পাতা ঝরে যায়। যদি বীজ থেকে চারা উৎপন্ন করতে হয়, তাহলে মাটি প্রস্তুত করার পর তাতে বীজ বপন করতে হবে। আর যদি বীজ থেকে চারা উৎপন্ন করতে না চান, তাহলে পছন্দের গাছের ছোট চারা সংগ্রহ করুন। মাটি তৈরি করে তাতে চারা রোপণ করুন। এরপর চারাটিকে তামার তার দিয়ে পাত্রের কিনারার ছিদ্রের সঙ্গে শক্ত করে বেঁধে দিন, যাতে উপর দিকে চারার বৃদ্ধি না ঘটে। ঘরের আলো-বাতাসযুক্ত জায়গায় রেখে দিন। এতে গাছের বৃদ্ধি রহিত হবে। এরপর নিয়মিত চারাটিকে কাটিং, পিঞ্চিং ও অন্যান্য পরিচর্যা করতে থাকুন।
যা মনে রাখতে হবে
বনসাই পরিচর্যা করতে যেসব যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়, শুধু সেগুলোই ব্যবহার করা ভালো। বনসাইয়ের উচ্চতা সাধারণত ৩ থেকে ৫ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই গাছের উচ্চতা অনুযায়ী পাত্রের ব্যবস্থা করতে হবে। গাছের খাদ্য হলো কালো মাটি, বালি, ইটের চূর্ণ, সরষে বা নিমের খোল। প্রয়োজন মতো গাছকে খাদ্য দিতে হবে। প্রয়োজন না হলে গাছ ছোঁয়ার কোনো দরকার নেই। এতে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য সঠিক ব্যবস্থা থাকতে হবে। শীতের সময় একদিন অন্তর গাছে পানি দিতে হবে।