নেতৃত্ব শুন্য পতনঊষার ইউ পি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১০:৫৬,অপরাহ্ন ২৯ আগস্ট ২০১৫ | সংবাদটি ৩৮৭ বার পঠিত
মো:নজরুল ইসলাম
কমলগঞ্জ -মৌলভীবাজার
@@@@@@@@@@@
নেতৃত্ব শূন্য ২ নং পতনঊষার ইউপি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিশেষ প্রতিনিধি: কমলগনজ উপজেলার
২ নং পতনঊষার ইউপির কমপ্লেক্স
নির্মাণ সময়ের দাবী।
সরকারী ভাবে বরাদ্দ দেওয়া ১ কোটি
১৫ লক্ষ টাকা যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে
কাজে লাগছেনা। ” নেতৃত্ব শূন্য
পতনঊষার ইউপি ” শিরোনামটি চোখে
পড়লেই হয়তো বা এক শ্রেণীর
রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক এবং
জনপ্রতিনিধিদের অন্তরে আঘাত
লাগতেই পারে, আর লাগবেই না বা
কেন? জনপ্রতিনিধি হওয়ার পূর্বে
জনগনের সাথে দেওয়া কমিটমেন্ট
রক্ষা
করতে না পারলে কষ্ট আর আঘাত
থাকতেই পারে। যদি যোগ্য ব্যাক্তির
নেতৃত্ব ইউপি জনগনের প্রতি সহনশীল
থাকতো, তাহলে পতনঊষারের জনগন
সরকারের বরাদ্দকৃত ১কোটি ১৫ লক্ষ
টাকা কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজে
লাগতো। আজ যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে
সে টাকা পূনরায় সরকারের ফান্ডে
চলে
যাচ্ছে। অনেকে চেষ্টা করেও বরাদ্দ
পায় না, আর আমরা পতনঊষার বাসী
বরাদ্দ পাওয়ার পর হারাচ্ছি। এটা
বাস্তবে মেনে নিতে কষ্ট হয়।
যেখানে
সুন্দর সুখী সমৃদ্ধ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে
কাজ করছে সরকার, আমরা আছি তার
বিপরিতমুখী হয়ে, অতীতের দুঃখ আর
কষ্টে ভরা মন নিয়ে ইউপি ৬ শতাংশ
ভূমির উপর নির্মিত জনমিলন কেন্দ্রে
পুরাতন একটি ভবনে ইউপি কার্যক্রম আর
ভাড়াটি একটি দোকান কোটায় ইউপি
তথ্য সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করে
আসছি। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক
হলেও আমাদের সমাজ সেবকবৃন্দ নিজের
প্রভাব প্রতিপত্তি দেখাতে গিয়ে, সব
স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছেন।
গ্রাম্য একটি প্রবাদ আছে, ” পাটায়
পুতাইলে ঝগড়া করে ; আর মধ্যখানে
মরিচ পিষে শেষ ” এমনটাই ঘটছে
আমাদের পতনঊষার ইউপিতে। সাধারণ
জনগন যানেনা কেন? আমরা চোট
পরিসরে একটি ভবনের উপর ইউপি
কার্যক্রম চালাই, আমরা কি অন্যান্য
ইউপি হতে ভিন্ন। না ; আমরা ভিন্ন
নহে, বরং সরকার আমাদের প্রতি
যতেষ্ট সহনশীল। অনুদান দেওয়া
সরকারের কাজ, আর কাজে লাগানো
জনগনের, জনপ্রতিনিধিদের কাজ, কিন্তু
অন্যান্য ইউপিতে এরকম করলেও আমরা
একটু ভিন্ন ষ্টাইলে চলি। কেননা
আমাদের ইউপিতে রাজনীতিবিদ,
সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ২
ভাগে বিভক্ত ১ টি হলো পশ্চিম
পাকিস্থান আর অন্যটি হলো পূর্ব-
পাকিস্থান অর্থাৎ লাঘাটা নদীর পূর্ব
পাড় আর পশ্চিম পাড়।
কিন্তু পূর্বে এরকম মন্তব্য করলে মেনে
নেওয়া যেত, এখনতো লাঘাটা নদীর
ব্রিজ হয়েগেছে, তাহলে বিভক্ত
কোনটি। তবে হে বিভক্ত আছে একটি
মাত্র আর তাহলো নেতৃত্ব নিয়ে। ইউপি
কমপ্লেক্স হবে সত্য কিন্তু এটা কোথায়
হবে, এই প্রশ্নে মাথাই নষ্ট নেতাদের।
জায়গা ক্রয় করা হয়েছে রসুলপুর ময়না
মিয়ার মিলে পার্শ্বে মেইন রোর্ড
সংলগ্ন, ভূমির পরিমান ৫২ শতাংশ। আর
এটা করা হয়েছে জরিপ মতে ভৌগলিক
অবস্থান মতে, জনগনের কেন্দ্রস্থলে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি কাহারো এই স্থান
নিয়ে দিধা-বিভক্তি থাকে তাহলে
জায়গা রেডি করেন সমপরিমান, তারপর
মন্তব্য করেন। কারন যেখানেই হোকনা
কেন ভূমিতো অবশ্যই লাগবে। এখন
জায়গা নেই, হিসাব নেই, নিকাশ নেই
আবার আপত্তি করে সরকারের দেওয়া
বরাদ্দ হতে ইউপির জনগন বঞ্চিত হচ্ছে।
এটা কেমন কথা;
আমরা চাই পতনঊষার ইউপির নতুন একটি
কমপ্লেক্স, যেখানে থাকবে ইউপি
জনমিলন কেন্দ্র, তথ্য সেবা কেন্দ্র,
চেয়ারম্যান কার্যালয়, গ্রাম্য আদালত
কেন্দ্র এবং মসজিদ। এতো বিশাল
একটি প্রকল্প কে নিবে হাতে? কার
নেতৃত্বে হবে এই কাজ? কোথায় হবে এই
স্বপ্নের ইউপি কমপ্লেক্স? এমনটাই প্রশ্ন
ইউপির বর্তমান প্রজন্মের সকল
রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক আর
জনপ্রতিনিধিদের কাছে।